হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় ও হাই প্রেসারের ওষুধের নাম কি

হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় ও হাই প্রেসারের ওষুধের নাম কি এই সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। যারা হাই পেশার কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন বা যারা হাই প্রেসার ওষুধের মাধ্যমে কমাতে চাচ্ছেন আজকের দুইটি টপিক তাদের জন্য।উচ্চ রক্তচাপের কারণে অনেকেই নানা ধরনের সমস্যায় ভোগেন।
রক্তচাপ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেরি হতে পারে। যাতে রক্তচাপ বা হাই প্রেসার অনেক বেশি তাদের অনেক সময় নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। আবার অনেকেই হাই পেশার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। চলুন আর দেরি না করে হাই প্রেসার কমানো ঘরোয়া উপায় ও হাই প্রেসার এর ওষুধের নাম কি জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্র: হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় ও হাই প্রেসারের ওষুধের নাম কি 

.

হাই পেশার কমানোর ঘরোয়া উপায়

হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকা ভালো। কারণ আমাদের শরীরের রক্তচাপ অনেক সময় বেড়ে যায়। নানা ধরনের হাই প্রেসার এর মেডিসিন খেয়েও হাই প্রেসার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই আমাদের কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা ভালো যার মাধ্যমে আমরা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক হাই প্রেশার কমানো ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

১। রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। ময়দা, চিনি, সাদা ভাত, কেক, প্যাটি, বার্গার, সাদা পাঁউরুটি মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এমনি আটার রুটি বদলে জোয়ার, বাজরা, রাগির রুটি খেতে পারেন। সাধারণত ইডলি - ধোসার বদলে সুজি বা রাগির ইডলি খান। হোল-হুইট গ্রেনের আটা পাউরুটি খান। ওজন যত নিয়ন্ত্রণ রাখবেন, তত রক্তচাপ কম থাকবে।

২। ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণ রাখতে অবশ্যই নিয়মিত শরীর চর্চা ও প্রয়োজন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের প্রত্যেকদিন অন্তত 30 থেকে 40 মিনিট শরীর চর্চা করা আবশ্যিক। যত কার্ডিয়ো করবেন, তত রক্ত চলাচল বেশি হবে, তত হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে। কোনরকম দীর্ঘ অসুখ বা হৃদরোগের আশঙ্কা কমবে। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত বা নিয়মিত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীর চর্চা করা উচিত।

৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে প্রত্যেকদিন ৫ গ্রামের বেশি ধন খাওয়া উচিত নয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারার নুন থেকে বিরত থাকুন, তাদের নুন খাওয়া একদমই উচিত নয়। বিশেষ করে আমরা অনেকেই সব বুঝতে পারিনা বাহিরের জাম্ক ফুড বা বিস্কুট চানাচুর ও কতটা লবণ থাকে। তাই যে কোন বাহিরের খাবার খাওয়ার আগে সাবধান হন।

৪। পটাশিয়াম বেশি থাকতে হবে বা যেতে হবে শরীরে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরী পুষ্টি। তাই কলা, অ্যাভোক্যাডো, টমেটো, রাঙা আলু, স্যামন মাছ, টুনা, বাদাম, দইয়ের মতো খাবার নিত্য খাদ্য তালিকায় রাখুন।

৫। ধূমপান, মদ পান অবশ্যই কমিয়ে ফেলুন। ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপান ও মদ পানের জন্য মানুষের শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। হালের গবেষণা বলেছে অ্যালকোহল প্রায় ১৬ শতাংশ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। নিকোটিন ও আমাদের রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

৬। যদি স্বাস্থ্যকর জীবন বেছে নিন, তাহলে ধীরে ধীরে নিচ থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, পানি পান করা এবং মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকা এতে শরীরের অনেক সমস্যা কমে যেতে পারে।

হাই প্রেসারের ওষুধের নাম কি?

হাই প্রেসার ওষুধের নাম কি? বা হাই প্রেসার এর জন্য আমরা ঠিক ওষুধটা খাচ্ছি তো এমন প্রশ্ন আমাদের মনে আসে। তার কারণ হলো আমরা হাই প্রেসার এর ওষুধ খাই কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্তনে আসে না। হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের হাই প্রেসার এর ঔষধ খেয়ে থাকি। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিনই মেডিসিন খেতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক উচ্চ রক্তচাপের কিছু ভালো ওষুধের নাম।

সাধারণভাবে প্রচলিত ঔষধসমূহের মধ্যে রয়েছে, বিটা ব্লকার যেমনঃ metoprolol, atenolol, labetalol, carvedilol,

এসিই নিরোধক যেমনঃ lisinopril, quinapril, fosinopril, captopril, enalapril, ramipril;

এনজিওটেসটিন রিসিপটর ব্লকার (এআরবি) যেমনঃ losartan, valsartan, irbesartan;

ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার যেমনঃ amlodipine, verapamil;

ডাইইউরেটিকস, যেমন chlortalidone, hydrochlorothiazide

(এইচসিটিজেট), মিশ্র ঔষধ (সাধারণত এইচসিটিজেট এবং অন্য একটি ঔষধ একত্রে), এবং আলফা ব্লকার যেমন terazosin এবং prazosin.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url