ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩ - ২০২৪
ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩ - ২০২৪ সালে কত টাকা লাগতে পারে তা নিয়ে আজকের পোস্ট। ইতালি পশ্চিম ইউরোপের একটি সংযুক্ত প্রজাতান্ত্রিক সংসদীয় প্রাচীন রাষ্ট্র। এই দেশটি ইতালি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে হলে ভিসার খরচ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। প্রথমত ভিসার ধরন, ভিসার মেয়াদ, সার্ভিস চার্জ এবং ইতালির মুদ্রার বিনিময় হার।
তবে সব মিলিয়ে বর্তমানে ইতালির ভিসা খরচ বা ইতালির যেতে ন্যূনতম ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এবং সর্বোচ্চ ইতালি ভিসা খরচ হয়ে থাকে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। তবে অপরিচিত দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমিক ইটালির ভিসা তৈরি করতে গেলে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। অর্থাৎ দীর্ঘ মেয়াদী ইতালি থেকে যেকোনো ধরনের ভিসা খরচ হিসেবে অনুমানিক ৮ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হতে পারে।
সূচিপত্র: ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩ - ২০২৪
.
ইতালি ভিসা খরচ ২০২৪
বর্তমান ২০২৪ সালে ইতালিতে দুইভাবে যেতে পারবেন। প্রথমত সমসাময়িক ( শর্ট টাইম ভিসা ) এবং দীর্ঘসাময়িক ( লং টাইম ভিসা )। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ নাগরিক দীর্ঘ মেয়াদী অর্থাৎ লং টাইম ভিসা তৈরি করে থাকি। হট পরবর্তীতে ভিসা অনুযায়ী ইতালি ভিসা ফরজ নির্ভর করে। যেমন বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার যায়। অতএব চৈতালি ভিসা খরচ নিচে উল্লেখ করা হলো :
1. ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা আনুমানিক ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
2. ইটালি ওয়ার্ক পারমিট মিশান ন্যূনতম ৮ থেকে ১০ লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা।
3. ইতালি কৃষি ভিসা ৭ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা।
4. ইতালি টুরিস্ট ভিসা খরচ ন্যূনতম তিন লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা।
5. ইতালির স্পন্সর ভিসার খরচ আনুমান ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
6. ইতালি কনস্ট্রাকশন ভিসার খরচ ১০ লক্ষ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার নাগরিক কৃষি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ও টুরিস্ট ভিসায় ইতালি পৌঁছে থাকেন। তবে বর্তমান ইটালি যেতে কত টাকা খরচ হবে তার সম্পূর্ণ ভিসার ধরন এবং ব্যক্তির বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
তবে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ভিসা নিয়ে ইতালি যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সরকারি অবেসরকারি ভাবে যাওয়ার মধ্য ভিসার খরচের অনেকটা পার্থক রয়েছে। যেমন সরকারিভাবে ইটালি ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা যাওয়া যায় আর বেসরকারি আর্থিক ৮ লক্ষ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ ২০২৪
উচ্চশিক্ষার জন্য একজন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের জন্য ইতালি যেতে পারেন। তবে সাধারণত ইতালির স্টুডেন্ট এর ভিসা সর্বোচ্চ মেয়াদ পাঁচ বছর হয়ে থাকে। এই খরচ আনুমানিক ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। তবে সরকারিভাবে কলারসিপ নিয়ে গেলে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়ে থাকে।
ইতালি টুরিস্ট ভিসার খরচ দেয়ার ২০২৪
সট টাম ভিসা গুলো সাধারণত টুরিস্ট ভিসা হয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে ইতালির টুরিস্ট ভিসার খরচ অনেকটা কম। সময় এবং গন্তব্যস্থান অনুযায়ী ইতালি টুরিস্ট ভিসার খরচে ন্যূনতম ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
ইতালি ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে?
মিশর ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তা পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে ইতালি ভিসা আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র অবশ্যই লাগবে তা হচ্ছে :
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ভিসা আবেদনপত্র
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ
- স্বাস্থ্য বীমা
- ভ্রমণের উদ্দেশ্যর প্রমাণ
- আপনার কাজের প্রমাণ ( যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয় )
- IEL TS স্কোর এবং সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ ( যদি স্টুডেন্ট ভিসা হয় )
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্ম্র সার্টিফিকেট
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় ২০২৪
বৈধ এবং অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ইটালি যাওয়া যায়। তবে সব সময় চেষ্টা করবেন বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার। প্রথমত আপনার পাসপোর্ট দিয়ে নির্ধারিত আবেদনের সময় ইতালির আবেদন করুন। আবেদন সম্পন্ন হলে বেইমানের টিকিট ক্রয় করে বাংলাদেশ থেকে ইটালি যেতে পারবেন।
অনেকেই ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইটালি পৌঁছে থাকেন। যা জীবনের জন্য অনেকটাই হুমকিস্বরুপ। চেষ্টা করবেন বৈধভাবে ইটালি যাওয়ার জন্য। এবং অপরিচিত দালালের সাহায্য ভিসা তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন।
ইতালির ভিসা পেতে কত দিন লাগে?
প্রিয় পাঠক, আপনারা ইতালির ভিসা পেতে কতদিন লাগে? এই বিষয়ে জানার জন্য আপনারা অনলাইনে নানা জায়গায় সার্চ দিয়ে খুঁজে থাকেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। সাধারণত ইতালি ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ১৫ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে হাওয়া হয়ে যায়।
তবে কিছু ক্ষেত্রে, প্রক্রিয়া টিয়া আরও বেশি সময় নিতে পারে। যদি ভিসা করার সময় কোন ত্রুটি থাকে। এক্ষেত্রে আপনার কাছে থেকে অতিরিক্ত তথ্য বা দস্তাবেজ চাইতে পারি। এই প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। তাই ১৫ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে সঠিক তথ্য অনুযায়ী ভিসার আবেদন করতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তা হলো: ইতালির ভিসার খরচ ২০২৪ এসে কত হতে পারে এবং ইতালি যার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে, ইতালির স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত, ইতালি টুরিস্ট ভিসার খরচ কত, ইতালির ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে, বাংলাদেশ থেকে ইটালি যাওয়ার ভালো উপায়, ইতালির হিসাব এতে কতদিন লাগে এই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে।
আশা করছি ইতিমধ্যে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর যারা এখনো জানতে পারেন নাই তাহলে আমার এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পরে জেনে নিন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url