বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে বরই পাতার ব্যবহার। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি এই পাতার মধ্যে রয়েছে ঔষধি সব গুণ। বরই পাতার রস, রোগ, নিরাময়ে অতুলনীয় কাজ করে প্রক্রিয়া জাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে।
বড়ই পাতা একটি উষ্ণতা-সহনশীল বন্য উদ্ভিদ যা প্রাকৃতিকভাবে এন্টিহিস্টামিন উৎস হিসাবে কাজ করতে পারে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যার মধ্যে এন্টিহিস্টামিন কাজ করে এবং এলার্জির উপস্থিতি থেকে রাহত পাওয়া যেতে পারে।

সূচিপত্র: বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

.

বরই পাতার উপকারিতা

পাতা হওয়ার শর্তেও বড়ই পাতার হাজার হাজার উপকারিতা রয়েছে এর মধ্য থেকে আজ আমরা আপনাদের জানাবো শারীরিকভাবে এর কিছু অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:

আচ্ছা আমি যদি আপনাদের জিজ্ঞাসা করি যে, কোন খাদ্যগুলো আমাদের ওজন বাড়তে সহায়তা করে? বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত যে, ধরনের ফ্যাট জাতীয় খাদ্যগুলো প্রধারনত আমাদের মানুষের দেহের ওজন বৃদ্ধিতে বিপুল ভূমিকা রাখে। 

বড়ই এবং তার পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। যা আমাদের দেহে শক্তির যোগান দেয়। যেহেতু ফ্যাট প্রায় শূণ্য, এজন্য পরোক্ষভাবে বরই পাতা আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

চর্মরোগ নিরাময় করে:

চর্মরোগ নিরাময়ে আদিকাল থেকে আমাদের পূর্বপুরুষগণ বড়ই পাতা ব্যবহার করে আসছেন। এবং বাস্তবে তা খুব কার্যকারী। সাধারণত আমাদের চামড়ার সৃষ্টি হওয়া এলার্জি, বা আরেক যেকোনো ধরনের চর্মরোগ সারাতে আপনি বরই পত্রের রস ব্যবহার করতে পারেন। 

সাধারণত যদি আপনি চর্ম এলার্জি নিরাময় করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনি কতগুলো বরই পল্লব এনে ক্লিয়ারভাবে ধুঁয়ে নিন। অতঃপর সেই পাতাগুলোকে ক্লিয়ারভাবে পেস্ট বা ব্লান্ডার করুন। এই সময়ে চা কাপের হাফ গ্লাস সংখ্যা রস নিন। 

এবং এই রসের সাথে এক চা চামচ কালো জিরার গুড়ো অ্যাড করুণ। এই সময়ে ক্লিয়ারভাবে মিক্স করুন। ডেইলি রাতেরবেলা এক টানা ৭ দিন বা আরো কয়েকটি দিন এ রস খাওয়ার চেষ্টা করুণ। এতে করে আপনার চর্মে থাকা এলার্জি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে

আলসার প্রতিরোধ করে:

গ্যাস্ট্রিক থেকে অনেকের পাকস্থলিলে আলসার তৈরি হয়ে থাকে। এমতোবস্থায় আপনি এর হতে অব্যাহতি পেতে পারেন বরই পাতা সেবনের মাধ্যমে। বড়ই পাতাতে অ্যান্টি উপাদান হিসেবে সোডিয়াম ও বালপোরেটরের মতো কার্যকারী ঔষধীগুণ সম্পন্ন রাসায়নিক উপকরণ থাকে। 

এ ক্ষেত্রে কেমনে বরই পত্র ইউজ করবো? এর জন্য ডেইলি আপনাকে কয়েকটি পরিষ্কার বরই পত্র উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করে পরিষ্কারভাবে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। এভাবে কয়েকদিন খেলে আলসার দুর হয়ে যাবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:

সাধারণত বড়ুই সহ এর পাতাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এগুলো ছাড়াও এর মধ্যে ভিটামিন সি, এ, বি২, ফাইটোকেমিক্যাল প্রভৃতি মঙ্গলময় ভিটামিন পাওয়া যায় । যেগুলো মূলত আমাদের গাত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আপনিও বড়ই পত্রের ইউজ বাড়াতে পারেন।

চুল পড়া বন্ধ করে:

চুল পাড়া নিয়ে প্রায় আমাদের মধ্যে সবারই একটা মডেলের ভয় কাজ করে। চুল পাড়া বন্ধ করতে আমরা অনেক কিছুই করে থাকি এবং প্রয়োজনে অনেকে চিকিৎসকের কাছেও যেয়ে থাকি। তবুও প্রাকৃতিক বড়ই পাতার দ্বারা উক্ত সমস্যা আমরা খুব সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারি। 

যাইহোক, কিভাবে বড়ই পাতা ইউজ করবো? এর জন্য শুরুতে কয়েকটি বড়ই পাতা নিয়ে পরিষ্কার পানি দ্ধারা ধৌত করুণ। এরপর এর সাথে তুলসি পাতা এবং আমলা মিশিয়ে নিন। এবার পরিষ্কারভাবে তা পেস্ট করুণ। এখন সময় এসেছে তা আপনার চুলে দেওয়ার। 

অনেক সতর্ক থেকে ক্লিয়ারভাবে চুলে লাগিয়ে নিন মিক্সটি। তারপর ১০-২০ মিনিট পর সেই পেস্ট পানির ভিতরে পরিষ্কারভাবে ধুয়ে নিন। এভাবে কয়েকদিন ইউজ করে কেশ পড়া বন্ধ করতে পারেন অতিশয় সহজেই

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে:

আচ্ছা আমাদের ত্বক ম্লান হয় কেন? মূলত ত্বকে যখন প্রচুর পুষ্টি না থাকে, তখন ত্বক পুষ্টিহীনতায় ভুগে এবং রেজাল্ট সরূপ ত্বকের প্রখরতা নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান বড়ই পাতাতে রয়েছে অনেক সংখ্যায় অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন, স্কোয়াট অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিক্যালস। 

উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের সব ধরনের পুষ্টির ঘাটতি মুছে করে। মাঝে মাঝে আমাদের ত্বকে কিছু কয়েকটি স্পষ্ট বলিরেখা লক্ষ্য দেয়। এগুলোও চমৎকারভাবে দূর হয়ে যায়। এর জন্য প্রথমে আপনি কতগুলো ক্লিয়ার বড়ই পত্র নিন। অতঃপর পরিষ্কারভাবে সেগুলো পেস্ট করে নিন। সাথে কিছু মধু যোগ করুন। 

এই সময়ে সেই পেস্টটি আপনার মুখ-মন্ডলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিট এভাবে মুখে রেখে পরোক্ষণে তা ক্লিয়ারভাবে ধুয়ে নিন। অবশ্যই রাতে ঘুমানোর পূর্বে কার্যখানা করবেন। এভাবে টানা ১০-১৫ দিন মান্য করার দ্বারা আপনার ত্বকে সৌন্দর্য ফিরেয়ে আনতে পারেন ভীষণ সহজেই।

গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা

সাধারণত গর্ভাবস্থায় বরই পাতাচেয়ে বরই খাওয়ার উপকারিতাই বেশি বরই খাওয়ার দ্বারা একজন গর্ভধারিণী বেশ অনেকগুলো উপকারিতা পেতে পারে।

এলার্জি সারাতে বরই পাতার গুনাগুন

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আমরা বড়ই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করতে চলেছি বড়ই পাতা একটি ওষুধ সম্পূর্ণ গাছ এ রয়েছে বিশেষ কার্যকারিতা এবং এলার্জি সারাতে পাতার গুনাগুন অনেক এটি কঠিন থেকে কঠিনতার এলার্জি সমস্যা গুলো দূর করতে সক্ষম।

তাহলে চলুন এলার্জি সারাতে বড়ই পাতার গুনাগুন ও কার্যকারিতা কতটুকু তা জেনে নি।এটি মানুষের ৫০ বছরের পুরনো এলার্জি সমস্যা ও দূর করতে একটি বিশেষ কার্যকারী পাতা। বরই ফলের চাইতে বড়ই পাতার রয়েছে বিশেষ গুণ ও কার্যকারিতা।

এ পাতার ব্যবহার আদিকাল থেকে চলে আসছে। এ পাতায় রয়েছে বিশেষ কিছু অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। যা পানির সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করলেই এর আঠারো নির্যাস বেরিয়ে মিশে যায়। আর এই নির্যাস গুলো মানুষের শরীরের জীবাণুমুক্ত অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।

এলার্জি বা চুলকানি খুবই বিরক্তকর একটি সমস্যা। যে এ সমস্যায় ভোগেন সেই জানেন এর জ্বালা কত। যারা এলাজিজ সমস্যায় ভোগেন তারা একনাগাড়ে চুলকাতেই থাকেন। যত চুলকান ততই মজা লাগে, কিন্তু চুলকানোর কিছুক্ষণ পরেই সেই স্থানটি ফুলে যায়।এবং রক্ত বের হয়। অনেক সময় আবার সেই স্থানটি চুলকানোর ফলে ঘা সৃষ্টি হয়।

আর এই এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে বাঁচতে সবাই মেডিকেল বিভিন্ন বড় বড় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু কোন ফল পান না। আর এই চুলকানি জনিত সমস্যাগুলো দূর করতে একটি বিশেষ ও কার্যকারী ওষুধের কথা আপনাদের জানাবো তা হল বরই পাত।
বরই পাতার অপকারিতা


যদিও বরই পাতার অপকারিতা নাই বললেই চলে অথচ বরই এর বেশ কয়েকটি উপকারিতার একসাথে অপকারিতাও রয়েছে। আর সেগুলো হলো-যাদের শ্বাস-কষ্ট রয়েছে, সেই ব্যক্তিদের বরই খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তাই এ দিকটিকে অবশ্যই বরই খাওয়ার সময় প্রাধান্য দেওয়ার জন্য হবে।

আবার যাদের ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও বরেই বেশ ক্ষতিকর। রিজন বরইতে থাকা চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এ কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের সমীচীন সীমিত হিসাব বরই খাওয়া।

মৃত ব্যক্তির গোসলে বরই পাতার ব্যবহার

কোন মুসলমান যদি মারা যায় তাকে গোসল করানো ফরজ হয়ে যায়। মুসলমানের উপর মৃতের গোসল কাফন পরানো, জানাজা করানো, দাফন করা, এইগুলো বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। কেউ যদি মারা যায় তাহলে তাকে দ্রুত এই কাজগুলো সম্পাদন করতে হবে। 

হাদিসে এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে চলুন জেনে নেয়া যাক মৃতের গোসলে বরই পাতা ব্যবহার করা হয় কেন। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বলেন যে, হে হযরত আলী (রাঃ) তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে সময় বিলম্ব করবেন না।

নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবেন নাদুই নাম্বার মৃত ব্যক্তির জানাযা যখন উপস্থিত হবেন তখন কাফন দাফন সম্পূর্ণ করতে দেরি করবেন নাকোনো অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে বরের হাতে সমর্পিত করা থেকে বিলম্ব করবেন না।

একজন মুসলমানের কাজ অন্য মুসলমানের জানাযায় শরিক হওয়া। জানাযা দাফন কাফন করা একজন মুসলমানের অধিকার। হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, এক মুসলিমের ওপর অন্য মুসলিমের পাঁচটি অধিকার রয়েছে বলে জানান।

যখন কোন মুসলমানের সাথে দেখা হবে তখন অবশ্যই সালাম দেবে।কোন মুসলমান যদি ডাক দেয় তাহলে সেই ডাকে সাড়া দেবে।কেউ যদি তোমার কাছ থেকে সত্য পরামর্শ চাই তাহলে তুমি তাকে সত্য পরামর্শ দিবে।কোন মুসলমান যদি হাচি দেয় হাসিদাতা আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে বলবে যে ইয়ারহামুকাল্লাহ।কোন মুসলমান যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে সেবা করবে ৬ নম্বর কোন মুসলমান যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার জানা যায় শরীক হবেন।

আরো পড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা প্রয়োজন। আমরা অনেকেই জানি যে মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া ফরজে কেফায়া। অনেকে এই গোসলকে ওয়াজিব বলে থাকেন। তবে মানুষ যদি মারা যায় তাহলে গোসল দেওয়া উত্তম। বরই পাতা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো হয়। মৃত ব্যক্তিকে বরই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করানোর কারণ কি আর মৃতের গোসলে বড়ই পাতা ব্যবহার করা হয় কেন? এই গুলো নিশ্চয়ই আপনার জানার দরকার। তাহলে চলুন জেনে নেই-

মুসলমান পরিবারের মানুষ যদি মারা যায় তাহলে বড়ই পাতা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করানো হয়। কিন্তু কেন বড়ই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করানো হয় এই বিষয়টি অনেক মানুষ জানে না। মৃত ব্যক্তিকে বড়ই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করানো এই কথা বলেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হাদিসে এসেছে যে, এক ব্যক্তি আরাফাতে যাওয়ার পথে তার উটনি থেকে পড়ে যেয়ে সে ব্যক্তি মারা যান।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তাকে বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল করাও এবং দুই কাপড়ে তাকে কাফন দেওয়ার ব্যবস্থা করো। তাকে সুগন্ধি লাগানোর প্রয়োজন নেই এবং তার মাথা ঢাকার কোন প্রয়োজন নেই। কেননা কেয়ামতের দিন এই ব্যক্তি তালবিয়া পাট করতে করতে উঠবে। বরই পাতা দিয়ে গোসল করানো এইটা ইসলামী শরীয়ত সম্মত একটা রীতি।

তবে যদি বরইপাতা না পাওয়া যায় তাহলে সাবান বা অন্য এই রকম কিছু ব্যবহার করায় যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। বরই পাতা মেশানো পানিতে গোসল করানো হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত আদায় হয়।

বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম

আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগবালায় দূর করতে আমরা ফলমূল খেয়ে পুষ্টি সঞ্চয় করে থাকি শুধু ফলমূল এই যে রোগ বালাই দূর করে থাকে তা নয় অনেক ফলের পাতাও আমাদের রোগ বালাই সারাতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে তেমনি একটি গাছ হল বড়ই গাছ । 

এই গাছের পাতায় রয়েছে বিশেষ কিছু গুণাবলী সে সঠিক নিয়মে গুনাবলী গুলো পেতে হলে বড়ই পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা জরুরী আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আমরা বড়ই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি চলুন তাহলে বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম কি তা জেনে নি। 

প্রতিদিন আপনার দেহকে সুস্থ রাখতে দিনে দুই থেকে তিনটি বরই পাতা ভালোভাবে ধুয়ে যে কোন সময় সেবন করুন। এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এই দুই থেকে তিনটি পাতা

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার

আপনারা হয়তো জানেন না যে বাড়ির আশেপাশে থাকা বরই গাছের পাতা দিয়ে কি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন আজকে জেনে নিয়া যাক চুলকানিতে বড়ই পাতার ব্যবহার। আপনারা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন যে এই পাতা দিয়ে আবার কি হয়। এই বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক মানুষ আছে জানেনা।

এ পাতার বিশেষ একটি গুন আছে সেটি হচ্ছে এলার্জির চুলকানি দূর করা। এই পাতার ব্যবহারে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে অনেক বছরের পুরনো এলার্জি চুলকানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এই বরই গাছের পাতার ব্যবহারের ফলে। এই বড়ই গাছের পাতা যদি কেউ নিয়মিত ব্যবহার করে তাহলে তার এলার্জি চুলকানি দূর হয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে বলেন যে, এই পাতায় কিছু অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। পরিষ্কার বরই পাতা নিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর সুন্দর করে বাটা দিয়ে পিষে রস করে প্রতিদিন খেতে হবে তাহলে এলার্জি চুলকানি দূর হয়ে যাবে। মানুষের শরীরে জীবাণুমুক্ত দূর করার কার্যকারী একটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এই বরই পাতা।

প্রিয় দর্শক মেডিকেলের ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, এলার্জি হচ্ছে শরীরের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এই এলার্জির বাংলা শব্দ সহ্য হয় না। অর্থাৎ কোন খাবার খেলে যদি শরীরে অস্বাভাবিকভাবে চুলকায় তাহলে সেটাকে এলার্জির বলা হয়। এই চুলকানি খুব তীব্র একটি সমস্যা যা একজন মানুষকে অস্বাভাবিক করে দেয়। এলার্জির যে চুলকানি সেই চুলকানির ফলে শরীরের চামড়া উঠে যায়। ফলে সেখানে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে এবং অনেক বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সেজন্য বরই পাতা খেয়ে চুলকানি কমিয়ে ফেলুন এতে করে আপনার শরীরে কোন সমস্যা হবে না। আপনি দেখবেন যে একটানা ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলকানোর পর চুলকানি শেষ হয় না। ফলে সেখানে চামড়ায় ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। শরীরে চুলকানোর সময় অনেক ভালো লাগে এবং মজা লাগে।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সেই স্থান- ফুলে যায়, রক্ত বের হয়, এবং বড় ধরনের ক্ষতি সৃষ্টি হয়। এই এলার্জি বা চুলকানি হাত থেকে বাঁচতে অনেক মানুষ অনেক কেমিকালাইজড ওষুধ সেবন করে থাকেন কিন্তু কোন কাজ হয় না।

প্রিয় দর্শক এই বড়ই গাছ কিন্তু আপনার চুলকানি চিরতরে দূর করে দিতে পারে। এই গাছের পাতা আপনার শরীরে একেবারে ভেতর থেকে যে চুলকানির সমস্যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণভাবে দূর করে দিতে পারে। বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরো আলোচনা করেছি। সেজন্য আপনাকে যা করতে হবে-

আপনাকে সর্বপ্রথম বরই গাছ থেকে কচি সুন্দর পাতা নিতে হবে এক থেকে দুই মোঠ। তারপর সুন্দর করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর এক থেকে দুই মোট পাতা সুন্দর করে শিল পাটা দিয়ে পিষে নিতে হবে। তারপর সুন্দর করে সেই পিশা বরই পাতার রস ছাকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়ার পর এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ লবণ দিতে হবে। 

দেয়ার পর সুন্দর করে মিশ্রণ করে নিতে হবে। তারপর সকাল বেলা খালি পেটে খেতে হবে। এইভাবে প্রতিদিন সকালে খেতে হবে। আপনার দীর্ঘদিনের এলার্জি বা চুলকানি দূর হয়ে যাবে। এইভাবে খেতে হবে এক মাস পর্যন্ত। তাহলে সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যাবে। এই বড়ই পাতা শুধু চুলকানি দূর করে না সেইসাথে আপনার যদি ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেটাও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনি যদি বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন।

আপনার যদি এই রকম পোষ্ট আরো জানার প্রয়োজন থাকে তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। আমাদের পোস্ট পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url