অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আজকের আর্টিকেল। ওর জন্য ঝাল ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ প্রতিরোধও এর ছাল ভেজানো জল খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
হার মজবুত করে- অনেকেই ভাঙ্গা হাড় জুড়তে এই গাছের ছাল ব্যবহার করেন। আসলে ওজন প্রচুর পরিমাণ হার মজবুত করার উপাদান পাওয়া যায়। চলুন আর দেরি না করে অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক।
সূচিপত্র: অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
.
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
অর্জুন গাছ, যাতে পেয়ারা গাছের অনুরূপ পাতা রয়েছে কিন্তু এটি আকারে অনেক বড়, এর বৈজ্ঞানিক নাম হল টার্মিমিনেলিয়া অর্জুন। বিভিন্ন অঞ্চলে, এটি ধাওয়াল, কুকুভ এবং নাদিসারজ নামেও পরিচিত। অর্জুন গাছ চিরহরিৎ বৃক্ষ। প্রধান ঔষধি গাছের মধ্যে একটি অন্যতম গাছ হল অর্জুন গাছ।
এটি প্রাচীন কাল থেকে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে। অর্জুনের গাছের ছাল পাউডার, ডিকোশন, স্কুর ইত্যাদি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অতএব আমাদের অর্জুন গাছের ছালের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী তা জানা দরকার।অর্জুনের ছাল উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ
অর্জুন গাছের ছাল বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। আসলে তার বাকল, লিপিড ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করার মাধ্যমে কোলেস্টেরল হ্রাস করে। এই ছালের সেবন রক্ত প্রবাহের বাধা দূর করে। এর জন্য, অর্জুন গাছের ছালের এক চামচ পাউডার, দুই গ্লাস জলে অর্ধেক রয়ে যাওয়া পর্যন্ত গরম ক'রে সকালে ও সন্ধ্যায় পান করা উচিত। এই ভাবে বন্ধ ধমনী খুলবে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পাবে।
উন্নত চুলের জন্যঃ চুলের বৃদ্ধির জন্য আমরা অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারি। মাথার চুলের মধ্যে অর্জুনের গাছের ছাল এবং হেনার মিশ্রণ চুলে লাগানোর ফলে চুল সাদা থেকে কালো হয়। একই সাথে এটা চুল শক্তিশালী করে।
কাশির উপশমেঃ শুকনো অর্জুনের গাছের ছালের পাউডার, তাজা সবুজ ছোট পাতার রসের সাথে মিশিয়ে দিয়ে আবার শুকিয়ে নিন। এভাবেই সাত বার মেশানোর পর যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে চূর্ণ প্রস্তুত করা হয়। এর সাথে মধু দিয়ে রোগীকে সেবন করালে তিনি আরাম অনুভব করেন।
মেদ দূর করতেঃ অতিরিক্ত মেদ নিয়ে সমস্যায় ভোগা মানুষ প্রত্যহ সকাল, সন্ধ্যায় অর্জুনের গাছের ছালের মিশ্রণ পান করলে তাঁদের সমস্যা কমে যেতে পারে অনেকটাই। এটি এত দ্রুত কাজ করে যে মাত্র এক মাসের মধ্যেই আপনি আপনার মেদের উপর এর প্রভাব অনুভব করতে পারবেন।
মধুমেহের (সুগার) উপশমেঃ মধুমেহ রোগীরা অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তাদের সমস্যাও শেষ করতে পারে। এর জন্য অর্জুন গাছের ছালের পাউডার, দেশী জাম বীজের চূর্ণ সমান পরিমাণে মিশিয়ে ঘুমের আগে উষ্ণ জল সহযোগে পান করুন। দ্বিতীয় বিকল্প হল অর্জুনের গাছের ছাল, কদম গাছের ছাল, জামুন গাছের ছাল ও পার্সলে এক সমান পরিমাণে মিশিয়ে এবং ভাল করে গুঁড়িয়ে পাউডার বানিয়ে নিন। ডিকোকেশনের জন্য অর্ধ লিটার জল যোগ করুন এবং সকালে 3 সপ্তাহ ধরে এই মিশ্রণটি ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে মধুমেহ থেকে পরিত্রাণ করতে পারে।
ত্বকের জন্যঃ অর্জুন গাছের ছালের প্রভাব অনেক ত্বকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর। অর্জুন গাছের ছাল, বাদাম, হলুদ এবং কর্পূর সমান পরিমাণ মিশিয়ে, পিষ্ট করে, ত্বকের উপর প্রয়োগ করলে, মুখের সমস্ত বলিরেখা দূর হয় এবং মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে।
মুখের ফোস্কার চিকিৎসায়ঃ মুখের ফোস্কার দ্বারা বিরক্ত ব্যক্তি অর্জুনের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, নারকেল তেলের সাথে অর্জুনের ছালের চূর্ণ যোগ করে তা আপনার মুখের ফোস্কার উপর প্রলেপ রূপে লাগালে আপনি কষ্ট থেকে অবশ্যই উপশম পাবেন। শুধু তাই নয়, এই মিশ্রণ অল্প গুড় সহযোগে সেবন করলে জ্বরের থেকেও ত্রাণ পাওয়া যায়।
প্রস্রাবের বাধা দূর করতেঃ অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তৈরি পানীয়, প্রস্রাবের বাধা দূর করে। এ জন্য, অর্জুনের গাছের ছাল পিষ্ট করুন এবং দুই কাপ জলে ফোটান। যখন পানি অর্ধেক হয়ে আসবে, তখন তা ঠান্ডা করতে দিন। এরপর ঠান্ডা হওয়ার পরে রোগীকে পান করান। দিনে একবার খাওয়ানো হলে, এটি প্রস্রাবের বাধা দূর করে।
প্রদাহ হ্রাস করাঃ অর্জুন গাছের বাকলও কিন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখে থাকে। এর জন্য, অর্জুনের গাছের ছাল পিষ্ট করে তার মিহি গুঁড়ো খরিপাক পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১০ গ্রাম পরিমাণে রোগীকে খাওয়ানো হলে, কার্ডিওভাসকুলার রোগের পাশাপাশি হৃদরোগের ঘটনা হ্রাস পায়। এ ছাড়া, প্রায় ১ থেকে ৩ গ্রাম পরিমাণ পাউডার খেলে প্রদাহ হ্রাস পায় এবং তার সাথে সম্পর্কিত সমস্যাও চলে যায়।
হৃদয়ের ব্যাধির নিরাময়েঃ অর্জুন গাছের ছাল অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, প্রদাহ ইত্যাদির মতো হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা দূর করতে সহায়ক। এটি স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। অর্জুন গাছের ছালের সাথে বন্য পেঁয়াজ একই পরিমাণ মিশিয়ে চূর্ণ বানান এবং এই চূর্ণের অর্ধেক চা চামচ হার্টের রোগীকে দৈনন্দিন দুধ সহযোগে পান করানো হলে রোগীর হৃদয়ের পেশি শক্তিশালী হবে। এটা হার্ট ব্লকেজের প্রতিরোধের জন্যও উপকারী। খাবার খাওয়ার পর প্রায় দুই চা চামচ বা প্রায় ২০ মিমি অর্জুনারিষ্ট অর্ধেক কাপ জলে মিশিয়ে দুই তিন মাস পান করলে প্রায় সব রকমের শারীরীক সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতাঃ
অর্জুন গাছের ছাল গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষতি করে, তাই তাঁদের এই ছাল ব্যবহারে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
সুগার রোগীদেরও অর্জুন গাছের ছাল যথেষ্ট সাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শের পরেই যতটা সম্ভব অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন।
অর্জুন গাছের ছাল কখন খেতে হয়?
অর্জুন গাছের ছাল কখন খেতে হয়? এবং অর্জুন গাছের ছাল কিভাবে খাবেন তা পর্যায়ক্রমে দেখানো হবে। চলুন আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক। প্রথমে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম অর্জুন গাছের ছাল কেটে পরিষ্কার করে কুচু কুচু করে বা ছোট ছোট পিচ করে রাতে ৫০০ মিলি জলে লোহার কড়াই বা মাটির পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে সেই ছালসহ জলটি ফুটিয়ে প্রায় ১৫০ মিলি পরিমাণ থাকতে নামিয়ে ছেকে নিন। এবার সমপরিমাণ দেশি গরুর দুধ মিলিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে ছেকে নিন। অর্ধেকটা হালকা গরম থাকতে থাকতে এক চামচ মধু বা তালমিছিরি মিশিয়ে সকালে সেবন করুন। বাকি অর্ধেক সন্ধ্যায় একইভাবে সেবন করুন।
অর্জুনের ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম
অর্জুন গাছের ছাল গুড়া l হৃদরোগের মহৌষধআমাদের প্রোডাক্ট ডেলিভারির জন্য রেডিl১০০% পিওর অর্গানিক পণ্য।অর্জুন গাছের ছাল গুড়া ১২৫ গ্রাম ১০০ টাকা (গুড়া, জার সহ) অর্জুন গাছের ছাল গুড়া ২৫০ গ্রাম ২০০ টাকা (গুড়া, জার সহ) কী কী রোগ থেকে মুক্তি দেয়? নানান রোগের থেকে মুক্তির পাশাপাশি অর্জুন গাছের ছাল ত্বক ও চুলের যত্ন নিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আজ এর নানান গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিন।
১. অ্যাজমা রোগের ওষুধ: অ্যাজমার ক্ষেত্রে কিন্তু অর্জুন গাছের ছাল অসাধারণ উপকার দেয়। আপনি যদি অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন নিয়মিত তাহলে এই অ্যাজমার সমস্যা অনেক কমে যাবে।
২. হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে: অর্জুন গাছের ছাল কিন্তু হার্টের সমস্যার খুব ভালো কাজ দেয়। এটি কার্ডিয়াক মাসল শক্তিশালী করে। হার্টের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। করোনারি হার্টের রোগ হতে দেয় না। অর্জুন গাছের ছাল সারা রাত জলে ভিজিয়ে পরের দিন বেটে দুধে মিশিয়ে খান। আর তা না হলে ছাল গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খেলেই হবে।
৩. ত্বকের পরিচর্যায়: আমরা জানিও না হয়তো, আমাদের ত্বকের জন্য এই অর্জুন গাছের ছাল কতটা উপকারী। এটি ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বকের কোষ মজবুত করে। অর্জুন গাছের ছাল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগালে তা কমে যায়। আবার আপনি যদি এই ছালের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে মেচেতার দাগও কমে যায়। অর্জুন গাছের ছাল ফেস প্যাক হিসেবে অনেকে নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন।
৪. ক্ষত হলে ব্যবহার করা যায়: অনেক সময়ে আমাদের খোস পাঁচড়া হয়ে থাকে। আর কিছুতেই এগুলি কমতে চায় না। তখন অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন। অর্জুন গাছের ছাল রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এই জল দিয়ে পরের দিন জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো জলে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ওই জায়গায় লাগান। ১৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে উপকার পাবেনই।
৫. আমাশয় মুক্তি দেয়: আমাশয় হলে আমরা খুবই কষ্ট পাই। পেট সব সময়ে ভার হয়ে থাকে আর নাভির কাছে যন্ত্রণা করে। কিছুই খেতে ইচ্ছে হয় না। আমাশয় হলে আপনি অর্জুন গাছের ছালের ক্কাথ ছাগলের দুধে মিশিয়ে খান। এতে আমাশয়ের সমস্যা কমে যাবে।
৬. হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে: আমাদের বাঙালিদের প্রধান সমস্যা কিন্তু এটিই। আর এই হজমের সমস্যা থেকেই গ্যাস, অম্বল আরও কত কী! কিন্তু অনেক ওষুধ খেয়েও এই সমস্যা কমে না। এবার অর্জুন গাছের ছালে বিশ্বাস রেখে দেখুন। রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে হাল্কা গরম জলে অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি রোজ রাতে খান নিয়ম করে। এতে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়বে।
৭. মাড়ির সমস্যা হয় না: মাড়ি থেকে রক্ত পড়া খুব সাধারণ সমস্যা। অনেক সময়ে মাড়ি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়। তখন খুব ব্যথা করে। অর্জুন গাছের ছালে আছে ট্যানিন। তাই এই ছাল মাড়ির সমস্যা থেকেও আপনাকে মুক্তি দেবে। অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে মাজনের মতো ব্যবহার করুন রোজ সকালে। তাহলেই উপকার পাবেন।
৮. বুক ধড়ফড় করলে: অনেক সময়েই আমাদের বুক ধড়ফড় করে। দূর থেকে হেঁটে আসলে বা খুব চিন্তায় পড়ে গেলে আমাদের বুক ধড়ফড় হয়। সেই সময়েও আমাদের সাহায্য করতে পারে অর্জুনের ছাল। ছাল শুকিয়ে নিয়ে দুধের সঙ্গে মিলিয়ে রোজ বিকেলে খান। তবে একটু ঠাণ্ডা করে খাবেন। এতে এই সমস্যা কমবে।
৯. যৌন উদ্দীপনা বাড়ায়: বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে যৌন উদ্দীপনার অভাব কিন্তু একটি গুরুতর সমস্যা। অনেক সময়ে অনেক টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করতে হয় এর। কিন্তু জানেন কী, অর্জুন গাছের ছাল এই সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়! এই ছালে আছে স্যাপোনিন, যা যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্র কম থাকলে অর্জুনের ছাল গুঁড়ো করে তা গরম জলে মিশিয়ে সেই জল ছেঁকে তার মধ্যে ১ চামচ শ্বেত চন্দন মিশিয়ে খান। এটি অসাধারণ কাজ দেয়।
১০. রক্তপিত্ত: অনেক সময়েই আমাদের রক্তপিত্ত হতে দেখা যায়। তখন আমরা খুবই ভয় পাই। কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেক সময়ে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে এটি হতেই পারে। তখন অর্জুনের ছালই আপনাকে রেহাই দেবে। আগের দিন জলে এই ছাল ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই জল পরের দিন সকালে ছেঁকে খেয়ে নিন। রোজ সকালে খান এটি। আপনি উপকার পাবেনই।
১১. কাশি কমাতে: অনেক সময়েই কারণ নেই, আমাদের খুব কাশি হতে শুরু করে। একে অনেক সময়ে ক্ষয় কাশিও বলা হয়। এর জন্যও সাহায্য নিন অর্জুন গাছের। অর্জুন গাছের ছাল বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর তা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিন। খুব কাশি হলে মধু বা মিছরির সঙ্গে খেয়ে নিন। আপনি এতে সহজেই উপকার পাবেন।
১২. লিভারের সমস্যায়: লিভার ভালো থাকা আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকার। ডাক্তাররা বলেন, লিভার ভালো থাকলে নাকি অনেক সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু সেই লিভারও তো অনেক সময়ে ঠিক মতো কাজ করে না। তাই লিভার সুস্থ রাখতে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন। অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সেই জল খেতে হবে। এটি লিভারসিরোসিসের টনিক হিসেবে কাজ করে।
১৩. ঋতুস্রাবের সমস্যায়: অনেক সময়েই মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। আর তার ফলেই পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এই সব হয়। আবার নিয়মিত ঋতুস্রাব হলেও এই সমস্যা যে হয় না তা নয়। আর এই ব্যথা কমানোর জন্য মেয়েরা সাধারণত কোনও ওষুধ খেতে চান না। তখন আপনি এই অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। হাল্কা গরম জলে অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন যখন খুব ব্যথা হবে। খানিক পর দেখবেন ব্যথা অনেক কমে এসেছে।
১৪. ক্যানসার প্রতিরোধে: গবেষণা করে দেখা গেছে, অর্জুন গাছের ছালে আছে গ্যালিক অ্যাসিড আর লুটেনোনিন। এই দুটি উপাদান ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি কমায়। তাই যদি আপনি নিয়ম করে এই ছাল ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু ক্যানসারের থেকে দূরে থাকতে পারবেন। সপ্তাহে দু দিন শুধু শুতে যাওয়ার আগে দুধে অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে উপকার পাবেন।
১৫. হাড় মচকে গেলে: চলতে চলতে অসাবধানতা বশত আপনার পায়ে চোট লাগতে পারে। সেখান থেকে হাড় মচকে যাওয়া বা চিড় খাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের ছাল বেটে তার সঙ্গে রসুন বাটা মিশিয়ে ওই ব্যথার জায়গার লাগিয়ে রাখুন। তার সঙ্গে রোজ রাতে অল্প দুধের সঙ্গে এই অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এটি সত্যি খুব ভালো কাজ দেবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url