অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? - অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় এই প্রশ্নটি সম্পর্কে আমরা কমবেশি অনেকেই জানার চেষ্টা করে থাকি। বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে, আমাজন আপেলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকেই লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এসিভ ইনকামের একটি পদ্ধতি হলো আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। তবে আপনি যদি আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রোডাক্ট এবং মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে।

আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অবসলিট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় এই বিষয়ে আমরা এ টু জেড আলোচনা করার চেষ্টা করব। আরো থাকবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা আসলে সর্বপ্রথম অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা মনে হয়। এফিলেট মার্কেটিং হলো একটি বিপণন ব্যবস্থা যেখানে অ্যাফিলিয়েটরা প্রতিটি ভিজিট, সাইন আপ বিক্রয়ের জন্য একটি কমিশন পায় যা তারা একজন ব্যবসায়ীর জন্য তৈরি করে। এই ব্যবস্থা ব্যবসার বিক্রয় প্রক্রিয়ার অংশ আউটসোর্সিং করতে অনুমতি দেয়। 

এটি পারফরম্যান্স ভিত্তিক বিপণনের একটি রোগ যেখানে কমিশন অধিভুক্তদের জন্য একটি প্রণোদনা হিসাবে কাজ করে; এই কমিশন সাধারণত বিক্রি করা অন্যের মূল্যের শতাংশ, তবে এটি প্রতি রেফারেলর ফ্ল্যাট রেটও হতে পারে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা এই বিষয়গুলো তৈরি করতে ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি, যার মধ্যে রয়েছে অর্গানিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান, পেইড সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন, অর্গানিক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং আরো অনেক কিছু। 

যদিও বৃহত্তম কোম্পানিগুলি তাদের নিজস্ব অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক চালায়, বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক গুলিতে যোগদান করে যা রিপোর্টিং টুল এবং পেমেন্ট প্রসেসিং প্রদান করে। অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি অন্য সব ধরনের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে সামঞ্জস্য রাখে। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট দের অর্থ প্রদান করা হয় যখন একজন রেফার করা অডিয়েন্স তাদের ওয়েবসাইট থেকে আমাজন প্লাটফর্মে যায় এবং কেনাকাটা করে। 

সুতরাং আমাজন এফিলিয়েট মারকেটিং করতে হলে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যার মাধ্যমে অডিয়েন্স অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম লিঙ্ক ক্লিক করে কেনাকাটা করে এবং আপনি কমিশনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আর এটি মূলত আমাজনেট মার্কেটিং এর ও কারভেদ এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই কমিশনের পরিমাপ মূলত নির্ভর করে মূল্যের উপর। এই কমিশন সাধারণত ৫% থেকে ৭০% পর্যন্ত প্রদান করে থাকে প্রোডাক্ট এর ওপর নির্ভর করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অন্যের উপাদানকারী সর্বপ্রথম একটি আপেলিয়েট প্রোগ্রাম তৈরি করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। 

এটার কোন লিমিট নেই যে যতটুকু কাজ করবে ঠিক তেমনি ইনকাম করতে পারবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর পরিমাণ ভিন্ন কারণে পরিবর্তনশীল হতে পারে। আমন্ত্রণকারী ওয়েবসাইটে এবং প্রোডাক্টের মান, বিজ্ঞাপনের প্রভাবশীলতা, ট্রাফিকের পরিমাণ, ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনের অনুমোদিত পরিমাণ এবং বিক্রিত প্রোডাক্টের মুনাফা ইত্যাদি এই আয়ের পরিমাণের গুরুত্বপূর্ণ উপায়। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে খুব সহজেই মাসে ১-২ লক্ষ টাকা বা তার থেকেও অনেক বেশি ইনকাম করা যায়। কিন্তু এটা তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়। কারণ এর জন্য দরকার experience আর ওয়েবসাইট ভাই ইউটিউবের এর ট্রাফিক। 

এখন ভারতবর্ষের ভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক রয়েছে যেগুলো জয়েন করে খুব ভালো ইনকাম করা সম্ভব। যেমন Amazon, Meesho, Earnkaro, Hosting Affiliate, Them Affiliate, Clickbank, DG24, JVZOO ইত্যাদি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার প্রথমে একটি নিবন্ধন করতে হবে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে। তারপরে আপনি এই অ্যাফিলিয়েট লিংগুলি আপনার ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম, ব্লগ, ইমেইল সংযোগ ইত্যাদি থেকে প্রচার করেন। যখন কেউ আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে পণ্য কিনে তখন আপনি কমিশন পান। 

আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লক তৈরী করতে পারেন যাতে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে পূর্ণ বাসে বা প্রচার করতে পারেন। বর্তমান সময় এ পড়াশোনা করার পাশাপাশি এপিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী বর্তমান নিয়োগ পরিস্থিতি তে পড়াশোনা করে ভালো চাকরি বা ভালো কাজ পাওয়া যাবে এর ওপর ওপরে আশা করা মুর্খামী ছাড়া আর কিছু নয়। 

তাই পড়াশোনা করার পাশাপাশি আপনি মার্কেটিং শুরু করে টাকায় উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান দিনে প্রযুক্তি ব্যাপক উন্নত হয়েছে, যার ফলে মানুষ কাজের গতি এমনকি সরলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময় মানুষ ইন্টারনেট থেকে আয় করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম / উপায় অবলম্বন করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতেছে আর সেসব মাধ্যমগুলোর মধ্যে একটি বহু প্রচলিত এবং জনপ্রিয়র মাধ্যম হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

আপনিও চাইলে অ্যাফিলিয়ে মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারে তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং, শুরু করতে চাইলে আপনার আগে জানতে হবে অ্যাপেলের মার্কেটিং কি যেটা আমরা এর আগে আলোচনা করে এসেছি। কিভাবে আফিলিক মার্কেটিং করতে হয়? এবং কিভাবে এফএনএফ মার্কেটিং থেকে টাকা আয় করবেন এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই আপনিও অন্যান্যদের মত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনারা কমবেশি সকলি জানতে চান যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় কলবো কীভাবে? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব জটিল কোন বিষয় নয়; বরং আপনার আপনার ওয়েব মাধ্যমে কোন ব্লক, ওয়েবসাইট, youtube চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে একটা অ্যাকাউন্ট থাকলে আপনি শুরু করতে পারবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

এটা এখন ফ্রিল্যান্সিং, এডসেন্সের মতোই টাকা আয়ের একটা লাভজনক প্রচলিত উপায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যদি আপনি সফল হতে চান এর সহজ উপায় হল বৃহত্তর অডিয়েন্স এর ট্রাফিক সোর্স। আপনার প্রোডাক্ট বাসে বা যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে আপনার সেল ততটা বাড়বে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এতো লেট করার জন্য বেশি কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম যেগুলোতে সহজেই টাকা ইনকাম করা যায়।

1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

2. ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

3. youtube মার্কেটিং

4. ইমেইল মার্কেটিং

5. এডভাটাইজমেন্ট মার্কেটিং

এই পাঁচটি বিষয়ে আপনার যদি সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকি তাহলে আপনি সহজেই এফিলেট মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে, আপনি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী উপন্যাস সেবা দিতে পারছেন কিনা। 

প্রত্যেক প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য আপনাকে কত টাকা কমিশন দিচ্ছে। অ্যাফিলিয়েট লিংক মাধ্যমে আপনি কয়টি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারছেন তার ওপর। আপনি যে প্রোডাক্টের জন্য মার্কেটিং করছেন তার চাহিদা আছে কিনা মার্কেট প্লেসে, এগুলোর ওপর সাধারণত নির্ভর করে আপনি ঠিক কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে কঠিন লাগতে পারে যেহেতু এটা পুরোটাই অনলাইনে ব্যবসা। অডিয়েন্স এর কাছে পণ্য চাহিদা ও বিশ্বস্ততার শহীদ প্রোডাক্ট সেল করা।

অনলাইন জগতে কাজ করার মানে পুরো বিশ্বটাই আপনার মার্কেট। শুধু একান্তভাবে লেগে থাকা অনলাইন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। ২০১৭ সালে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মার্কেট প্লেস আই এর পরিমাণ ছিল $ ৫.৫% বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২৩ সালে এসে এটি হয়েছে প্রায় $ ১৭ বিলিয়ন এর বেশি। 

ধারণা করা যাচ্ছে ২০৩০ সালের এর মধ্যে আশা করা যায় $ ৩৬.৯ বিলিয়ন গিয়ে দাঁড়াবে। তো আমরা আশা করতে পারি এফিলিয়েট মার্কেটিং ২০৩০ এর মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য পেশা। বর্তমান সময়ের ঘরে ইনকাম করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি লাভজনক পেশা। অ্যাফিলিয়েট এর ওপর পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে আপনিও লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

তবে এর জন্য আপনাকে জানতে হবে, সময় দিতে। নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলা কিভাবে সিলেক্ট হয়, মার্কেটপ্লেসে কেমন করে বাড়ানো যায় এই সম্পর্কে আপনাকে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে হবে। লেগে থাকুন সফলতা আসবেই।

প্রিয় বন্ধুগণ আমরা আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে এসে একটি বিষয় উল্লেখ করেছি যে এতো লেট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পার্সেন্ট কমিশন দেওয়া হয় এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করব কিভাবে? আপনারা যদি সঠিকভাবে পরিশ্রম সময় এবং অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন তবে কেবলমাত্র সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আমাদের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনার যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতিসত্বর সেটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করছি। আপনার যদি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আগে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।