প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জেনে নিন
প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ও ইউটিউব সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে আপনি প্রোফেশনাল ইউটিউবার হতে পারবেন না। যদি আপনি একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুধু আপনার জন্য। কারণ এই পোষ্টের মধ্যে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম তুলে ধরব। অলরেডি যাদের পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, তারা কিভাবে সেই পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল টা কে কিভাবে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেলে পরিণত করতে পারবেন আজকের আর্টিকেল সেই প্রসেসটা তুলে ধরা হবে।
আমরা আরো আপনাদের মাঝে তুলে ধরব একটা ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর সেটা কে কিভাবে সাজাতে হবে, ভিডিও কিভাবে আপলোড করতে হবে বা মনিটাইজেশনে কী কী শর্ত রয়েছে বা আপনি কিভাবে ব্যাংকে টাকা নিয়ে আসবেন এই সকল বিষয়ে আপনাদের মাজে তুলে ধরবো। আপনারা যারা প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান এবং ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তারা এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পুরুন।
সূচিপত্র: প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জেনে নিন
.
প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
প্রোফেশনাল ইউটিউবার হওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা প্রোফেশনাল ইউটিউবার হতে চাই। প্রোফেশনাল ইউটিউবার হতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
আপনারা চাইলে ইউটিউব চ্যানেল আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে খুলতে পারবেন আবার কম্পিউটার দিয়েও খুলতে পারবেন। হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ইউটিউব চ্যালেন খুলতে হলে, প্রথমে আপনাকে ক্রোম ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। ক্রোম ব্রাউজারে প্রবেশ করলে দেখতে পারবেন ইউটিউবের লোগো, লোগোতে ক্লিক করে ইউটিউবে প্রবেশ করবেন।
ইউটিউবে প্রবেশ করলে দেখতে পারবেন থ্রি ডট আইকন রয়েছে এক সাইডে, থ্রি ডট ক্লিক করবেন, ক্লিক করার পর নিচের দিকে দেখতে পাবেন (Desktop site) একটি অপশন রয়েছে, Desktop site অপশনটিতে একটা ক্লিক দিবেন, কি লিখতে দেওয়ার সাথে সাথে দেখবেন কম্পিউটারের যে ইন্টারফেস সেম কম্পিউটারের যে ইন্টারফেস ওইটা আপনার ফোনে চলে আসবে।
আপনি দেখতে পারবেন তখন কম্পিউটার আর মোবাইলের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। তারপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে, ফোনের স্কিনের উপরের সাইডের কর্নার sign in অপশন রয়েছে। sign in প্রবেশ করলে YouTube Studio অপশন পেয়ে যাবেন, অপশনটিতে ক্লিক করার পরে ডিফল্ডে একটি নাম দেখাবে।
আপনি যদি চান আপনার চ্যানেলের নাম এটাই থাকবে তাহলে এটাই রাখতে পারেন আর যদি চান পরিবর্তন করতে তাহলে পরিবর্তন করতে পারেন। তারপরে হ্যান্ডেল নামের একটি অপশন পেয়ে যাবেন সেটি আপনি পরিবর্তন করতে পারেন, পরিবর্তন না করলেও কোন সমস্যা হবে না। এরপরে দেখবেন নিচের দিকে Create Channel রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে, তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়ে গেল।
প্রোফেশনাল বা ব্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার নিয়ম
যারা নতুন ইউটিউব চ্যানেল কে প্রোফেশনাল বা ব্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চান তারা উভয় আমাদের আর্টিকেলকে ফলো করুন। আপনি আপনার পার্সোনাল ইউটিউব চলেন কে প্রফেশনাল বা ব্যান্ড ইউটিউব চ্যানেলে কনভার্ট করার জন্য, প্রোফাইলের যে পিকচার রয়েছে বা আইকন রয়েছে এটাতো একটা ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর নিচের দিকে দেখতে পারবেন Switch account রয়েছেন।
Switch account কিলিক দেওয়ার পর এখান থেকে দেখতে পারবেন View all channels নামে অপশন আছে আপনি অপশনটিতে ক্লিক করবেন। এবারে আপনার সামনে পুরাতন ইউটিউব চ্যানেল বা আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি দেখাচ্ছে, তার পাশেই রয়েছে Create a channel আপনি Create a channel এই বাটনটিতে একটা ক্লিক করবেন।
ক্লিক করার পরে আপনাদের সামনে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। এর পরে Add channel name এর জায়গায় আপনার চ্যানেলের নাম টুকু দিয়ে দিবেন। আপনি যেই চ্যানেলটি খুলেছেন সেই চ্যানেলের সেম নাম আপনাকে দিতে হবে। তার পরে টিক চিহ্নর একটি ঘর দেখতে পারবেন, টিক চিহ্নটি দিয়ে CREATE বাটনে একটা ক্লিক করবেন।
এবারে নতুন যেই চ্যানেলটি খুলেছে চ্যানেলটি কিন্তু আপনার সামনে শো করবে। তারপরে আপনাদের কাজ হল আপনাদের পুরাতন চ্যানেলটিকে শো করাতে হবে বা সিল্ক করতে হবে। এই জন্য আপনাকে চ্যানেলটির যে পিকচার রয়েছে, পিকচারে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করে দেখতে পারবেন switch account এখানে ক্লিক করতে হবে।
তারপরে আপনারা পুরাতন চ্যানেলটিকে সিলেক্ট করার জন্য পুরাতন চ্যানেলটির উপরে একটা ক্লিক করে দিবেন, এবার দেখতে পারবেন আপনার পুরাতন চ্যানেলটি সিলেক্ট হয়ে গেছে। তারপরে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে বাম পাশে নিচের দিকে ইস্কল করে আসলে Settings নামে একটা অপশন দেখতে পারবেন আর এই settings অপশন একটি ক্লিক করবেন।
আবারো আপনারা আপনাদের পুরাতন চ্যানেলটিকে দেখতে পাবেন। তবে আপনি নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে আপনার পুরাতন চ্যানেলটি স্কিনে শো করছে কিনা। চ্যানেলটি নিশ্চিত করার পর নিচের দিকে দেখতে পারবেন View advanced settings দেখতে পারবেন জাস্ট এখানে একটা ক্লিক করবেন।
ক্লিক করার পর Move channel to a brand account একটা অপশন দেখতে পারবেন, এবারে আপনি এখানে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার ইমেলটি উপরের সিলেক্ট করা থাকবে এবং নিচের দিকে আপনার ইমেইলের পাসওয়ার্ডটি দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এখন এখান থেকে পুরাতন চ্যানেলের ছবি এবং নাম দেখতে পারবেন আর ইস্কল করে নিচের দিকে গেলে আপনি নতুন চ্যানেলের নাম এবং আইকন দেখতে পারবেন। নতুন চ্যানেলের নামের পাশেই দেখবেন Replace নামে একটা বাটন রয়েছে, এখানে জাস্ট আপনাকে ক্লিক করতে হবে এবং Delete this channel এই প পটি আপনার সামনে চলে আসবে।
এটা দেখে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই আপনি পুরাতন চ্যানেলটাকে মোটেও ডিলিট করছেন না বরং আপনি নতুন যে চ্যানেলটিকে ক্রিয়েট করেছেন বরং সেই প্লেনটার মধ্যে পুরাতন চ্যানেল টা কনভার্ট হয়ে ঢুকে যাবে।
তারপরে আপনি নিচে একটি টিক চিহ্ন বক্স দেখতে পাবেন, টিক চিহ্নটি তুলে দিয়ে Delete channel ক্লিক করে দিবেন তার পরে একটি Move channel দেখতে পাবেন এখানে একটি ক্লিক করবেন। এখন কিন্তু আপনার চ্যানেলটি মুভ হয়ে কনভার্ট হয়ে গিয়েছে। আর আপনার চ্যানেলটি প্রোফেশনাল বা ব্যান্ড ইউটিউব চ্যানেলে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়
ইউটিউব যেমন আমাদের কে নিয়মিত বিনোদন দিয়ে আসছে একইভাবে কিছু মানুষের জীবিকার মাধ্যমে হিসেবে কাজ করছে এই ইউটিউব। আপনার মাথায় যদি এমন কোন কনটেন্ট থাকে যা আপনি মনে করছেন মানুষের কাছে শেয়ার করলে খুব ভালো সাড়া পাওয়া যাবে, তাহলে চাইলেই আপনি ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন।
গোটা পৃথিবীতে হাজার হাজার লোকজন রয়েছে যাদের প্রত্যেকেরই ছোট বড় ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে এবং ইউটিউবের মাধ্যমে মাসে ছয় সংখ্যার পেমেন্ট পাচ্ছি। আজকে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার ৫টি উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায় :
ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনার কন্টেন যদি ভাল হয়, সফলতা আসবেই। ওই চ্যানেল থেকে ইনকাম আসবেই একদিন না একদিন। তবে তার জন্য মূল কয়েকটি বিষয় আপনাকে জানতে হবে। যেমন ইউটিউব থেকে ইনকামের ক্ষেত্রে অনেকগুলো মাধ্যম আছে যেখান থেকে মূলত আইগুলো আসে সেগুলো আপনাকে জানতে হবে। তার মধ্যে সেরা ৫টি উপায় নিচে দেওয়া হল :
1. বিজ্ঞাপন থেকে আয়
ইউটিউবার হিসেবে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা একদম প্রাথমিক একটি উপায়। ইতিমধ্যে আপনারা হয়তো জানেন বেশিরভাগ ইউটিউব ভিডিও দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করে থাকেন। ভিন্ন ইউটিউব ভিডিও শুরু হওয়ার আগে বা ভিডিও চলাকালীন সময়ে আমরা যে বিজ্ঞাপন দেখতে পাই সেখান থেকে এই আই হয়ে থাকে।
তবে প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপন থেকে মূলত কি পরিমাপ আয় হয় এই ব্যাপারটি গুগল নিজেওর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। ইউটিউবার জানতেও পারে না তারা যে বিজ্ঞাপনটি থেকে কি পরিমাপ আয় করছেন। গুগলে ইউটিউব থেকে কি পরিমান আয় করছে তার কোন কিছুই উল্লেখ করা নেই।
তবে একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায় যে প্রতি এক হাজার ভিউ থেকে প্রায় ৩ ডলার থেকে ১০ ডলার আয় হয়ে থাকে। ইউটিউবের একটি মজার ব্যাপার হলো এই যে আপনার কোন ভিডিও যদি একবার জনপ্রিয় হয়ে যায় তাহলে এই ভিডিও যতদিন আপনার চ্যানেলে থাকবে ততদিন আপনার আয়ু হতে থাকবে।
যতদিন আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে ততদিন পর্যন্ত আপনারা আই হতেই থাকবে। সাধারণত বেশিরভাগ ইউটিউবার প্রথম থেকে ইউটিউবে এভাবে আয় করে থাকে। এই জন্যই এটিকে বলা হয় ইউটিউব থেকে আয় করার একটি প্রাথমিক উপায়। ইউটিউবে আপনার বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে আলাদা করে কিছু করতে হবে না।
তবে আপনি কিন্তু চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করি সাথে সাথে আয় করতে পারছেন না। তাই এটাকে সহজ উপায় বলা হলেও যত সহজ বলে মনে হচ্ছে বিষয়টা কিন্তু ততটা সহজে উপায় না। কেননা এই আয়ের জন্য আপনার চ্যানেলটিকে একটি যোগ্যতার পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। তার জন্য আপনাকে ভিন্ন কিছু নিয়ম পালন করতে হবে।
আর সেটি হল ব্যক্তিগত এক বছরের মধ্যে আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াজ টাইম থাকতে হবে এবং আপনার চ্যালেনে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার হবে। তাছাড়া আপনার ইউটিউবে যতক্ষণ না ১০০ ডলার আয় হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই আই আপনার ব্যাংকে একাউন্টে আসবে না তাই এটা সহজ উপায় মনে হলেও ততটা সহজ ভাবে নেওয়া যাবে না।
2. অ্যাফিলিয়েটি লিংক এর মাধ্যমে ইনকাম
যেহেতু বিজ্ঞাপন থেকে আয় আপনি যে পরিমাপ চাইবেন সব সময় তেমন পরিমাণে হয় না। তাই ইউটিউবাররা আরো ক্রিয়েটিভ উপায়ে আয় করার উপায় বের করছেন। এই জন্য কোন কোম্পানির সাথে আপনাকে চুক্তিতে যেতে হবে, আর তাদের পণ্যের লিংক আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশনে দিয়ে রাখতে হবে এবং ভিডিওর মধ্যে এই পণ্যটির কথা আপনাকে বলে দিতে হবে।
তখন এই লিংকে যে ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করবেন তার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি কমিশন হিসেবে পেয়ে যাবেন। এতে কোম্পানির লাভের সাথে সাথে আপনারও লাভ হয়ে যাবে। যার মাধ্যমে তাদের কোম্পানির পূর্ণ বিক্রয়ের সাথে সাথে তাদের কোম্পানির মার্কেটিংও হয়ে যাচ্ছে। এতে কোম্পানি বেশি লাভবান হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন; অর্থাৎ পরোক্ষভাবে অন্য কোন কোম্পানির পণ্য প্রচার করছেন সেও তো আপনাকে অবশ্যই একটি পণ্যটি ফেল করার দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ হতে হবে। তাই আপনার ভিডিওটি শুধু দেখতে ভালো হলেই হবে না, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মোশন গ্রাফিক্স ও যথাযথ এডিটিং থাকা প্রয়োজন। নতুবা ভিউয়ার্সদের কাছে আপনার কনটেন্টটি খুব একটা চমকপদ বলে মনে নাও হতে পারে।
3. ডোনেশন এর মাধ্যমে আয়
আপনার চ্যালেনে এর ফ্রেন্ডরা আপনার ভিডিও দেখে আপনাকে কিছু অর্থ নিজেই পকেট থেকে ডোনেট করার প্রক্রিয়াটিকে ইউটিউবে আছে। এই প্রক্রিয়াটির একটি মাধ্যম রয়েছে। এটি হচ্ছে প্যাট্রেয়ন নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি করা হয়েছে মূলত ইউটিউব এর রা তাদের ভিউয়ার্সদের কাছ থেকে তাদের চ্যালেনের জন্য যেন কিছু অর্থায়ন পায়।
যাতে করে ইউটিউবারদের কিছুটা সহযোগিতা হয়ে যায়। কিন্তু এই ডোনেশনের মাধ্যমেও অনেক আয় করা সম্ভব হয় না। কারণ ধরুন আপনি একটি চ্যানেল খুলছেন সেখান থেকে আপনার তেমন কোন আয়ু হচ্ছে না। কিন্তু আপনার ফ্রেন্ডরা চায় যে আপনি নতুন ভিডিও তৈরি করে যান।
সেক্ষেত্রে ফ্যানরা আপনাকে কিছু ডোনেশন দিয়ে যাবে যাতে করে আপনি ভিডিও তৈরি করা চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু ডোনেশন এর মাধ্যমে আপনি কোনদিনও অতি তাড়াতাড়ি বড়লোক হতে পারবেন না। ডোনেশনের মাধ্যমে আপনি শুধু সামান্য কিছু অর্থ আয় করতে পারবেন এবং আপনার চ্যানেলটা চালিয়ে যেতে পারবেন।
4. পণ্য বিক্রয় করে আয়
নিজেদের কোন বিক্রি করে আয় করার একটি সহজ উপায় হলো যেমন ইউটিউবারদের অনেক বেশি ফ্যান থাকে তাদের জন্য এটি সহজ হয়ে থাকে। তখন সেই চ্যানেলের লোগো দিয়ে টি-শার্ট, চাবি রিং, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করে সেটা চ্যানেলের ফ্যানদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে এবং সেটি বিভিন্ন দেশে অনেক বেশি প্রচার হতে পারে। এখন এভাবেই বেশিরভাগ ইউটিউবাররা প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন এবং সহজে অনেক অর্থের মালিক হচ্ছেন। এটি হচ্ছে ইউটিউবারের আয়ের অন্যতম একটি সহজ উপায়।
5. স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে আয় করা
যেসব ইউটিউবারদের চ্যালেনে আগে থেকে অনেক বেশি ভিউয়ার এবং ফ্রেন্ড রয়েছে তাদের জন্য অর্থ আয় করার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো স্পন্সারশিপ। অন্য কোন কোম্পানি আপনাকে টাকা দিবে যাতে করি আপনার ভিডিওতে আপনি সেই কোম্পানির কথা উল্লেখ করেন। এতে করে আপনার অর্থ উপার্জন হল এবং কোম্পানিও লাভ হয়ে গেল।
আবার কোন কোম্পানি আপনাকে এত পরিমাণ টাকা দিবে যাতে করে আপনি এমন ভাবে ভিডিও তৈরি করবেন যেখানে সেই কোম্পানির কথা উল্লেখ থাকবে এবং মানুষের চোখে পড়বে। বিষয়টা অনেকটা এমন যে আপনার একটি টিভি চ্যানেল এবং সেখানে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেউ আপনাকে অর্থায়ন করছেন।
তবে এভাবে আয় করার জন্য আপনাকে চ্যালেনের ভিডিওগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ থাকতে হবে। তাহলে কেবলমাত্র কোন কোম্পানি নিজেদের প্রচার-প্রচারণের জন্য আপনাকে অর্থ আমি করতে ইচ্ছুক হবে। তবে এভাবে আয় করা উচিত খুব সহজ যে বিষয়টি কিন্তু তা না।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম, প্রোফেশনাল বা ব্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার নিয়ম এবং ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করছি এই বিষয়গুলোর প্রতি আর কোন কারো মন্তব্য থাকবে না। ইউটিউব নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্টে বলতে পারেন।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পাওয়ার জন্য, আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে আমাদের পাশেই থাকুন। ধন্যবাদ।।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url