গুগল অ্যাডসেন্স কি? দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৪
গুগল অ্যাডসেন্স কি? দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৪ এসে কেমন হয়েছে অনেই এমন বিষয়ে যানতে চায়। আবার অনেকেই যানতে চায় যে কীভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার একটি মাধ্যম হ্যালো গুগল অ্যাডসেন্স। সাধারণত যারা ব্লক ওয়েবসাইটে কাজ করে বা ব্লক ওয়েবসাইট রয়েছে তারা একটি নির্দিষ্ট সময় পরে গুগল অ্যাডসেন্স তৈরি করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে। অনেকেরই ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা থাকলেও গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কোন ধারনা নেই গুগল এডসেন্স খোলার বিষয়টি নিয়ে কনফিউশন থাকি।
গুগল অ্যাডসেন্স কি? দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় বা কিভাবে অ্যাডসেন্স খুললে অ্যাপ্রভ হবে সে বিষয়টি আমরা খুব ভালোভাবে জানানোর চেষ্টা করব। আমার লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট এর কাজ কি, গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে এবং কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট খুলবেন সেই বিষয়টি জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গুগল এডসেন্স কি দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৪ সম্পর্কে।
সূচিপত্র: গুগল অ্যাডসেন্স কি? দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৪
.
গুগল অ্যাডসেন্স কি
অ্যাডসেন্স হলো ইংরেজি শব্দ (AdSense) এটি হলো google পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। মূলত এটি একটি লাভ অংশীদারী প্রকল্প যার দ্বারা ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হন। একটু ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইডে google নির্ধারিত বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের মাধ্যমে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এই বিষয়টি সারা বিশ্বে ব্যাপক ছাড়া জাগিয়েছে। google ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু ব্যবহারকারীর ভৌগলিক অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়গুলিতে বিজ্ঞাপন দাতাদের সেবা করার জন্য তার প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সাধারণত যারা গুগলের লক্ষ্য বিজ্ঞাপন সিস্টেমের সাথে বিজ্ঞাপনের ইচ্ছুক তারা গুগল এডওয়ার্ড এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হওয়া সম্ভব।
এডসেন্স জনপ্রিয় প্রোগ্রাম গুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে যাও ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন তৈরি এবং বন্যার বিজ্ঞাপন স্থাপন করে, কারণ বিজ্ঞাপনগুলি কম অবাধ্য এবং বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু প্রায় ওয়েবসাইটের সাথে প্রাসাঙ্গিক। অনেক ওয়েবসাইট তাদের ওয়েব কন্টেন্ট থেকে উপার্জন করার জন্য এডসেন্স ব্যবহার করে এবং এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক।
বিজ্ঞাপন দাততের বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের খুঁজে বের করার জন্য সম্পত্তি গুলি ছোট ওয়েবসাইট গুলোতে বিজ্ঞাপন রদবদল করার জন্য বিশেষ করে অ্যাডসেন্সিভ গুরুত্বপূর্ণ। একটু ওয়েবসাইট প্রাসঙ্গিকভাবে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে, ওয়েব মাস্টার ওয়েবসাইটের পৃষ্ঠা গুলোর উপর একটি সংক্ষিপ্ত জাভাস্ক্রিপ্ট কোড রাখুন।
এডসেন্স ওয়েবসাইট প্রকাশক ক্ষেত্রে স্টাডিজে উল্লেখিত, বিজ্ঞাপিত সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট গুলি এই বিজ্ঞাপন প্রোগ্রামের অত্যন্ত সফল হয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন সীমিত নীতি প্রতীক পৃষ্ঠায় তিনটি বিজ্ঞাপন নীতি সরানো হয়েছে। এখন, অ্যাডসেন্স পাবলিশার্স একটি পৃষ্ঠায় অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন সীমাহীন পরিমাণ রাখতে পারেন।
দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৪
কিভাবে দ্রুত গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাবেন এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করতে চলেছি। আমাকে অনেকে প্রায়ই এ বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন, তাই আজকের আর্টিকেলে আমি সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স হলো সবেচেয়ে ভালো advertising company. ওয়েবসাইট বা ব্লগে গুগল এডসেন্স এর advertisements দেখিয়ে টাকা আয় করার জন্য প্রথমেই আমাদের website বা blog গুগল এডসেন্স এর দ্বারা অনুমোদন (approve) করাতে হয়।বর্তমানে একটি ব্লগে এডসেন্স approval পাওয়াটা তেমন কোন কঠিন নয়।
আপনার যদি আগে থেকেই একটি Google AdSense Account রয়েছে এবং সেখানে আপনার একটি ওয়েবসাইট monetize করা হয়েছে তাহলে আপনি সহজেই অন্য একটি ব্লগকে আপনার এডসেন্স একাউন্টে যোগ করে এপ্রুভাল পেয়ে যেতে পারেন। এতে আপনার এপ্রুভাল পেতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
কিন্তু যাদের আগে থেকে approved এডসেন্স একাউন্ট নেই, তারা তাদের ব্লগে দ্রুত গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে যেতে পারেন না। তারা নিজের ওয়েবসাইটকে এডসেন্স অনুমোদন করাতে অনেক সমস্যায় পড়ে যান।যারা ওয়েবসাইট বা ব্লগে তাড়াতাড়ি গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় গুলোর বিষয়ে জানতে চান তাদের আমি নিচে সহজে এডসেন্স পেয়ে যাওয়ার জন্য সেরা কিছু টিপস দিবো।
আপনি যদি একটি নতুন ওয়েবসাইট খুলেছেন এবং সেখান থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান তাহলে কিভাবে ব্লগে খুব তাড়াতাড়ি AdSense এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন এ বিষয়ে নিচে আমি সেরা ১১টি টিপস ভালো করে আপনাদের বলে দিবো।এগুলো follow করে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এডসেন্স apply করলে আশা করি approve পেয়ে যাবেন।
দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়ঃ
1. Use a Top Lavel Domain
আপনার ব্লগের প্রথমেই একটি High lavel domain বেছে নিন। কেননা গুগল এসব ডোমেইনে খুব তাড়াতাড়ি এপ্রুভ পাওয়ার সুযোগ (chance) বেশি থাকে। টপ লেভেল ডোমেইন বলতে .com, .net, .org, .info, .xyz, .me ডোমেইন গুলো ব্যবহার করুন।
যদিও এডসেন্স এপ্রুভাল ডোমেইনের উপরে নির্ভর করে না তারপরেও এসব ডোমেইন আপনার সাইটের জন্য ব্যবহার করুন। যদি আপনি Blogger.com ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার blogspot সাবডোমেইন (subdomain) ব্যবহার না করে উপরে বলা যেকোনো একটি ডোমেইন কিনে custom domain হিসেবে যোগ করে নিন।
https://www.atttmax.com/কেননা ব্লগারে subdomain এর চেয়ে কাস্টম ডোমেইনে এডসেন্স পাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।
2. Creat High-Quality Content
গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি জরুরি সেটি হলো ভালো কনটেন্ট।গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে এটা নিশ্চিত করে নিতে হবে যে, আপনার ওয়েবসাইটে High-quality কনটেন্ট রয়েছে। কিছু সংখ্যক লোক মনে করেন যে, এডসেন্স পাওয়ার জন্য এটা কোন fact না।
কিন্তু আমি এটা বলবো যে, গুগল এডসেন্স পেতে হলে quality content সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গুগল অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে copy এবং paste করা কনটেন্টে কখনোই এডসেন্স এপ্রুভাল দিতে চান না। যদি আপনি ভালো মানের কনটেন্ট আপনার ব্লগে publish করে থাকেন তাহলে এগুলো Google search results পেজে rank হবে, আর এ কারণে গুগল খুব তাড়াতাড়ি আপনার ওয়েবসাইটকে অনুমোদন দিয়ে দিবে।
তাই এডসেন্স এপ্লাই করার আগে সবসময় চেষ্টা করুন ভালো ভালো content বা article লেখার। আর যদি আপনার মাথায় কপি কনটেন্ট post করার মতো কোনো চিন্তা-ভাবনা থাকে তাহলে এখনই সেটা বাদ দিয়ে দিন। কেননা কপি কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনি AdSense approve পেতে পারবেন না এবং এর মাধ্যমে আপনি earning ও করতে পারবেন না। তাই unique article লিখে ব্লগে publish করুন।
3. Publish 20-30 posts on your blog
উপরে আমি high quality article এর বিষয়ে আপনাদের বললাম। যখন আপনি আপনার ব্লগে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করবেন, তার আগে আপনার ব্লগে কমেও ২০ থেকে ৩০ টি ভালো মানের কনটেন্ট অবশ্যই রাখবেন৷ কেননা আপনার ব্লগকে monetize করানোর মতো কিছু কনটেন্ট না রাখলে আপনি এডসেন্স অনুমোদন সহজে পেতে পারবেন না।
তাছাড়াও কনটেন্ট এর lenght এর দিকেও আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আপনাকে সাধারণত ১০০০ শব্দ থেকে ১৫০০ শব্দের ভেতরে আর্টিকেল লিখতে হবে। এর চেয়ে বড় আর্টিকেল আপনি লিখতে পারেন৷ তবে এডসেন্স পাওয়ার আগে কমপক্ষে প্রতিটি আর্টিকেলে ১০০০ শব্দ রাখার চেষ্টা করুন।
কেননা আপনার লিখা আর্টিকেলে যখন অনেক তথ্য যোগ করা থাকবে তখন গুগল সেটাকে high quality ব্লগ হিসেবে অবশ্যই মনে করবে এবং আপনার ব্লগে খুব দ্রুত এডসেন্স অনুমোদন দিয়ে দিবে।
4. Create About and Contact Pages
অনেকেই এই পেজ গুলো তাদের ওয়েবসাইটে তৈরি না করেই এডসেন্স এপ্লাই করে থাকেন। কিন্তু যখন আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করেন, তখন আপনার ব্লগে About এবং Contact পেজ থাকাটা গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ওয়েবসাইটে এডসেন্স অনুমোদন দেওয়ার আগে গুগল এটা দেখতে চায় যে সেই সাইটট বা business এর পেছনে কে রয়েছে।
তাই আপনি About পেজে আপনার সাইটের বিষয়ে এবং নিজের বিষয়ে ভালো করে লিখতে পারেন। আপনার ব্লগ থেকে মানুষ কিভাবে সাহায্য পেতে পারে, কোন information গুলো আপনার ব্লগ provide করে থাকে এসব কিছু ভালো ভাবে এই পেজে উল্লেখ করা দরকার। আর গুগল এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়ার জন্য Contact পেজ থাকাটা খুবই জরুরি।
যখন এডসেন্স টিম আপনার সাইট review করে দেখেন, তখন আপনার সাইটে এই পেজটি আছে কিনা সেদিকে নজর দেন। কেননা যদি আপনার সাইটে একটি Contact পেজ থাকে তাহলে আপনার user দের সাথে আপনার যোগাযোগ করার একটি সহজ system তৈরি হয়ে যাবে ফলে গুগল আপনার সাইটকে একটি ভালো legitimate business হিসেবে ধরে নিবে।
5. Create a Privacy Policy Page
এডসেন্স এপ্রুভালের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই একটি privacy policy পেজ বানানো থাকতে হবে। তবে বেশিরভাগ নতুন ব্লগাররা এই প্রশ্নটি করে থাকেন যে, আমার ব্লগের privacy & policy পেজে কি লিখতে হবে এবং কোন কোন বিষয় গুলো এখানে উল্লেখ করতে হবে? যদি আপনি এরকম সমস্যায় আছেন তাহলে এটি খুবই সহজ কাজ নিজের ব্লগের একটি প্রাইভেসি পলিসি পেজ তৈরি করা।
আপনি অন্যান্য ভালো ব্লগ গুলোর এই পেজটি follow করতে পারেন। তারা যে information গুলো এখানে লিখেছেন আপনি সেগুলো লিখতে পারবেন। তবে সবচেয়ে সহজ হলো আপনি গুগলে সার্চ করলে অনেক গুলো Privacy policy generators ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।
সেখান থেকে খুব সহজে আপনি এই পেজটির লেখাগুলো generate করে নিতে পারবেন এবং শুধু সেগুলো copy করে আপনার পেজের মধ্যে paste করে দিলেই কাজ হয়ে যায়।
6. Don’t Use Copyright Images
কপিরাইট ইমেজ কখনো ব্লগে ব্যবহার করবেন না। আপনার ব্লগে কোনো ইমেজের দরকার হলে যদি সরাসরি গুগল থেকে download করে নিয়ে ব্লগের কনটেন্টে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই কাজটি করা এখনই বাদ দিয়ে দিন। কেননা আপনি যদি সরাসরি গুগল থেকে ইমেজ collect করে আপনার সাইটে ব্যবহার করছেন তাহলে এডসেন্স reject হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
কারণ গুগল এটা অবশ্যই ধরে নিবে, যে ছবি গুলো আপনি ব্যবহার করেছেন সেগুলোর মালিক (owner) আপনি নয়। তো এখন আপনি বলতে পারেন যে, আমি কোন photographer নই এবং ইমেজ কেনার খরচের জন্য আমার কাছে কোন টাকা নেই, তাহলে আমি এখন আপনাকে বলে দিব যে কোথা থেকে আপনি ইমেজ নিবেন।
Pixabay.com থেকে আপনি যেকোনো ধরনের ভালো ভালো ইমেজ ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং এগুলোতে কোনো ধরনের কপিরাইট সমস্যা হবে না। শুধু এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং আপনি যে ধরনের image পেতে চান সেটি লিখে সার্চ করুন এবং আপনার পছন্দমতো ইমেজ ডাউনলোড করে নিন।
7. Don’t write content on the restricted list
অনেক লোকেরাই ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে ভাবেন না যে, কি ধরনের কনটেন্ট তারা তৈরি করবেন। তাই নিজের সাইটে তারা এমন সব কনটেন্ট publish করে দেন যেগুলো গুগল এডসেন্স এর পলিসি বা নিয়মের বাহিরে রয়ছে।মনে রাখবেন, গুগল এডসেন্স এর একটি restricted list রয়েছে।
এখানে যে বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে কনটেন্ট লিখলে আপনি বারবার এডসেন্স থেকে reject হয়ে যেতে পারেন।অনেক গুলো বিষয়ে কনটেন্ট লেখা গুগল এডসেন্স নিষেধ করে দিয়েছে। যদি আপনি এই বিষয়গুলো নিয়ে কনটেন্ট লিখেন, তাহলে আপনার ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভাল পাবেন না।
আপনি যদি গুগল এডসেন্স পাওয়ার আগেই ব্লগে এরকম কনটেন্ট publish করে থাকেন যে, “গুগল এডসেন্স পাওয়ার নিয়ম” তাহলে আপনি এটি ভুল কাজ করেছেন।তাছাড়াও গুগল প্লে স্টোরে নেই এরকম apps বা games এর review নিয়ে কনটেন্ট এডসেন্স পাওয়ার আগে লেখা যাবে না।
এরপর sexual বিষয়ে কোন কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না। ভয়ানক বিষয়ে যেমন, killing, terrorism, recreational drugs, tobacco, guns এবং অ্যালকোহল এরকম ধরনের কোন আর্টিকেল ব্লগে লিখা যাবে না।এছাড়া অনেকে ব্লগে hacking এর বিষয়ে কনটেন্ট লিখে থাকেন। আমি উপরে যে বিষয় গুলো উল্লেখ করেছি, এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার আগে এ বিষয় গুলো না লিখলে দ্রুত এডসেন্স অনুমোদন আপনি পেয়ে যাবেন।
8. Website age (at least 3 months)
বেশিরভাগ সময় ওয়েবসাইটের বয়স এডসেন্স এপ্রুভালের ক্ষেত্রে matter করে না। তবে আপনার সাইট এডসেন্স অনুমোদনের আগে কমেও মাস বয়স হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।কেননা ৬ মাসের আগে আপনার ব্লগে তেমন traffic থাকে না এবং এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে গেলেও তেমন কোন লাগ হয় না।
এর বিপরীতে এড লিমিট এর মতো সমস্যা হয়ে যেতে পারে।তবে এডসেন্স এপ্রুভালের জন্য ওয়েবসাইটের বয়স ৬ মাস হওয়া লাগবেই এ কথাটি সঠিক নয়। এডসেন্স এর সব নিয়ম মেনে মাত্র ১ মাসের মধ্যেই আপনি এডসেন্স পেয়ে যেতে পারেন।তবে এ বিষয়টি আমি আপনাদের বলে দিই যে,
গুগল এটা বলে দিয়েছে যে, Chaina এবং India থেকে কোন ওয়েবসাইটে এডসেন্স পেতে হলে কমেও ৬ মাস হতে হবে। যদি আপনি india তে রয়েছেন তাহলে আপনার এ বিষয়ে জানা দরকার।তবে আমি নিজেও বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২ মাসের মধ্যেই আমার ৩ টি সাইটে গুগল এডসেন্স approval পেয়ে গিয়েছিলাম।
9. Use a fresh theme and speed up your site
আপনার সাইটের ডিজাইনের দিকে অবশ্যই ভালো নজর রাখা দরকার। আপনার সাইটের ডিজাইন অবশ্যই ভালো এবং simple রাখতে হবে।তবে এজন্য আপনাকে কোন premium themes ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
যদি আপনি wordpress ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অনেক ভালো ভালো free themes আপনি পেয়ে যাবেন যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়া যায়।আর আপনার সাইটের loading speed অবশ্যই fast রাখার চেষ্টা করুন। সাইটের ডিজাইন যেন খুব বেশি gorgeous না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।সোজা ভাবে বলতে গেলে, সাইটের user experience উন্নত রাখতে চেষ্টা করুন।
10. Make sure you’re over 18 years old
আপনি যে gmail account দিয়ে Google AdSense account খুলবেন সেই জিমেইলে আপনার বয়স যেনো ১৮ বছর অথবা এর বেশি দেওয়া থাকে।যদি আপনার বয়স ১৮ এর চেয়ে কম হয় তাহলে আপনি এডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন না।আর এজন্য আপনি আপনার parents অথবা পরিবারের বড় ভাই অথবা বোনের নাম দিয়ে এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পারেন।
11. Don’t use other ad network when applying AdSense
যখন আপনি Adsense aply করবেন তখন অন্য কোন এড নেটওয়ার্ক এর এডস আপনার সাইটে ব্যবহার করবেন না। যদি অন্য এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এর advertisements গুলো সরিয়ে নিন।
যদি আপনার সাইটে অন্য কোনো কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখানো হয়ে থাকে এবং adsense specialist আপনার সাইট রিভিউ করার সময় সেসব এডস দেখতে পায় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ খুব কম।
তাই চেষ্টা করুন অন্য এডস ব্যবহার না করার। যদি করে থাকেন তাহলে ১০-১৫ দিনের জন্য সেসকল advertisements off করে রাখুন, যখন আপনার সাইট এডসেন্স এর দ্বারা এপ্রুভ হয়ে যাবে তখন আপনি আবার সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
কেনো গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব
আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হতে পেরেছেন যে কেউ যদি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব পরিচালনা করার মাধ্যমে সাকসেসফুল হতে চাই তাহলে অবশ্যই তাকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলে নিতে হবে। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করার পদ্ধতিটা অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলেছে ইতিমধ্যে এবং মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।
এর অন্যতম কারণ হলো খুব সহজেই অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যায়। যদি গুগল এডসেন্স একাউন্ট সঠিকভাবে করা হয় তাহলে খুব সহজেই গুগল এডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়া যায়। তবে বলা বাহুল্য যে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গুগলের দেওয়া টার্ম এন্ড কন্ডিশনগুলো ভালোভাবে মেনে চলতে হবে।
সর্বপ্রথম আপনাকে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় গুলো খুব ভালোভাবে জানতে হবে। যারা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্লক পোস্ট করতে থাকে তাদের শুরুতে ইনকাম আসে না। একটি নির্দিষ্ট ক্রাইমটেরিয়া লাভ করার পর গুগল এডসেন্সে এর জন্য এপ্লাই করতে হয়। যদি গুগলের প্রতিপক্ষ রিভিউ করার মাধ্যমে উক্ত ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চেলেন এডসেন্স এপ্রুভ এর জন্য যোগ্য হয় তবে কেবলমাত্র অ্যাপ্রভাল দিয়ে থাকি।
গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পরে পরবর্তী সময় ব্লক অথবা ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ইনকাম জেনারেটর হতে থাকে। তাহলে কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বা খুলতে গেলে কি কি জিনিস প্রয়োজন পড়বে সেটি জেনে হওয়া উচিত। চলুন যেনে নেওয়া যাক।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম
কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এই বিষয়টিতে আমরা সর্বপ্রথম কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য কথা উল্লেখ করেছি। যদি সেই তথ্য বা বিষয়গুলো কারো কাছে অ্যাভেলেবল হয় এবং ইউটিউব অথবা ওয়েবসাইট ক্রাইটেরিয়াল গুলো ফিলাপ করা হয়, তাহলে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করা যাবে।
সবকিছু সংগ্রহে আসার পর নির্দিষ্ট পদক্ষেপের ভিত্তিতে এডসেন্সে একাউন্ট খোলা যাবে। যদি ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যে প্রায় ক্রাইটেরিয়া দেওয়া থাকে সেটি ফিলাপ না হওয়া পর্যন্ত গুগল এডসেন্স অ্যাপ বাটন শো করা হয় না।
কিন্তু ওয়েবসাইট অথবা ব্লক সাইট থেকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্য যে কোন সময় এপ্লাই করা যায়। আর এক্ষেত্রে যারা ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্স নিতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
এডসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য :
1. গুগল এডস একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি জিমেইল আইডির প্রয়োজন পড়বে। একটি প্রফেশনাল জিমেইল আইডি ক্রিয়েট করে রাখতে হবে।
2. অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার ক্ষেত্রে একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন পড়বে।
3. ভেরিফিকেশন চিঠি প্রেরনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রয়োজন হবে এবং অবশ্যই ঠিকানাটি সঠিক হতে হবে।
4. পরিশেষে google এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে দরকারি উপকরণ সেটি হল ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল লাগবে।
উপরের বঞ্চিত সকল বিষয়গুলো যদি আপনার সংগ্রহে থাকে তাহলে নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া পূরণ করার প্রেক্ষিতে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইব বা যারা যারা ঘন্টা ওয়াচ টাইম ফিলাপ করলে তবেই কেবলমাত্র গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়।
আর ব্লক সাইট বা ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিষয় যেমন google এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সহ আরো অন্যান্য বিশেষ সমৃদ্ধে অবলম্বন করার মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন করা উচিত। অনেকের মতে কয়েকটি পোস্ট করলেই আর্জেন্টির জন্য অ্যাপ্লিকেশন করা।
এভাবে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদনকার্য সম্পন্ন হবে উপরে বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে পূরণ করা হয় তাহলে এডসেন্স এপ্লাই করার কিছু দিনের মধ্যে google টিম ওয়েবসাইট বাই ইউটিউব চ্যানেল রিভিউ করার পর এপ্রুভাল দেবে কিনা সেটা ইমেইলের মাধ্যমে জানাবে। আর এই প্রসেসটি শেষ হতে কমপক্ষে 15 দিন সময় লাগতে পারে।
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো একটু কঠিন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের কনটেন্ট কোয়ালিটি ভালো তারাই নিয়মিত ভিউজ পাওয়ার পাশাপাশি সেখান থেকে ভালো একটি অ্যামাউন্ট ক্রিয়েট করতে সক্ষম হচ্ছে। অনেকের মতে ফেলানসিং এর এই প্যাসিভ ইনকাম, একটিভ ইনকাম এর চেয়ে অনেকটাই ভালো।
যারা একটিভ ইনকাম করে তাদেরকে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে খুশি করার মাধ্যমে তবেই কেবলমাত্র অর্ডার পেয়ে থাকি। আর যারা ব্লগিং অথবা ইউটিউবিং করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে তাদের ক্লায়েন্ট হান্টিং বা অর্ডার পাওয়ার কোন রকম টেনশন থাকে না।
তাই অনেকেই প্যাসিভ ইনকাম গুগল মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে। গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় হিসেবে সাধারণত এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইট এড শো করানোকেই ধরা হয়।
গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই প্রত্যেকটি আর্টিকেল ইউনিক হওয়ার পাশাপাশি কোয়ালিটি সম্পূর্ণ কন্টেন হতে হবে। বিষয়টি এমন যে একজন ক্রিয়েটর ইউনিক একটি কন্টেন্ট বানালো যা সবার থেকে আলাদা। কিন্তু দেখা গেল কন্টেনের কোয়ালিটি খুব একটা ভালো না।
তাই এক্ষেত্রে আলাদা হয়েও কোনরকম বিট আসবে না। সুতরাং গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় হিসেবে অবশ্যই ভালো মানের ইউনিক কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে। প্রত্যেকটি আর্টিকেল on page SEO কাজ সঠিকভাবে করতে হয়।
আর্টিকেল ইউনিক এবং কোয়ালিটি ফুল হওয়ার পাশাপাশি যদি SEO সঠিকভাবে করানো হয় তাহলে গুগল সেটাকে র্যাঙ্ক করে না। এর জন্য কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এই বিষয়টি জানালেই হবে না। ভালো মানের আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি একজন ভালো মানের seo এক্সপার্ট হওয়া জরুরী।
যদি সঠিকভাবে একটি আর্টিকেল SEO করে পাবলিশ করা হয় তাহলে গুগল সার্চ কনছলে সেটি INDEX হয়ে যাবে। আর যদি গুগলে আর্টিকেল গুলো INDEX হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সেখানে বিটা আসবে। আরবিট আসলে গুগল এডসেন্স থেকে অবশ্যই টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বিন্দু আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি তথ্য আপনাদের অনলাইন থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে দেবে। যদি আপনারা মনে করেন ইউটিউব বা ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই তাহলে কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বার খোলা উচিত সে নিয়ে আপাতত আর কোন কনফিউশন থাকার কথা নয়। পাশাপাশি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় গুলো একটি কার্যকরী টিপস আপনাদের কাছে শেয়ার করা হয়েছে, সেটা একজন ব্লগারের অনেক কাজে আসবে।
এরপর যদি গুগল এডসেন্স সংক্রান্ত আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের উপকারের লক্ষ্য একটি শেয়ার করতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url