উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম জেনে নিন
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম আপনারা অনেকেই হয়তোবা জানেন না। তাছাড়াও অন্যান্য সকল রেজাল্ট দেখার নিয়মের চেয়ে বাউবির রেজাল্ট দেখার নিয়ম অনেকটাই ভিন্ন ধরনের। যার কারণে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট বা বাউবির রেজাল্ট অনেকেই দেখতে পারে না।তাই আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট বা বাউবির সকল রেজাল্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনারা যারা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু কোন নিয়ম জানা নাই বা অনেক জায়গা তো খুঁজেছেন শুধু তাদের জন্যই আজকে আমরা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন, ফলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম আপনি জানতে পারবেন এবং ঘরে বসেই নিজেই নিজে নিজেই মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট বের করতে পারবেন।
সূচিপত্র: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম জেনে নিন
.
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম পড়ে রেজাল্ট দেখার সকল বিষয় আপনি জানতে পারবেন এবং ঘরে বসেই নিজে নিজেই মোবাইল দিও খুব সহজে রেজাল্ট বের করতে পারবেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্তরূপ হল : বাউবি। আর বাউবি রেজাল্ট হলো উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল। বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সিস্টেম টা বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
যাদের আর্থিক বা পারিবারিক অবস্থা খারাপের জন্য বা কোন কারণে রেগুলার প্রাইভেট বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান শিক্ষার গ্রহণ করার সুযোগ হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনার জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি যেকোনো বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করার সুযোগ পাবেন। আপনি চাইলেই যে কোন জেলাতেই ভর্তি হতে পারবেন, কারণ প্রতিটি জেলাতেই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা রয়েছি।
যারা পারিবারিক নানা কাজে ব্যস্ত থাকে যেমন একজন চাকরিজীবী হন অথবা ব্যবসায়িক হন বা আপনার যদি কোন রেগুলার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার সুযোগ না থাকে তাহলে আপনার জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হবে লেখাপড়া করার জন্য উত্ত একটি প্রতিষ্ঠান।
আপনি চাইলে আপনার নিকটস্হ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় খোঁজ নিয়ে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। সাধারণত বাংলাদেশের যেই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে এগুলো তে এসএসসি থেকে শুরু করে মাস্টার পর্যন্ত ভিন্ন প্রোগ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
তাই আপনি যেকোনো কোর্সে আগ্রহী হয়ে ভর্তি হন না কেন আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষার মাধ্যমে পাস করে সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। তবে আপনি যে কোর্সে এই জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন না কেন। পরীক্ষার শেষে আপনাকে অবশ্যই রেজাল্ট দেখতে হবে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করা যায়
আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করা যায় কি না? অবশ্যই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স কমপ্লিট করা যায়। আবার অনেকে প্রশ্ন করেন যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে একাধিক বেশি অনার্স করা যায় কিনা? তাদের জন্য বলছি বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একসাথে একাধিক বিষয়ে অনার্স করা সম্ভব নয়।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী একই সময়ে একাধিক বিষয়ে অনার্স ডিগ্রী করছে ভর্তি হতে পারবে না। এই নিয়মের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া এবং তারা যেন একটি বিশ্বের উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ ও দিতে পারে।
যাদের একাধিক বিষয়ে পড়াশোনার আগ্রহী আছে তারা প্রথম অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরে অন্য একটি বিষয়ের ওপরে দ্বিতীয় ডিগ্রি করতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স শেষ করতে কত বছর লাগে?
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স শেষ করতে সাধারণত চার বছর সময় লাগে। উন্মুক্ত থেকে অনার্স করতে ছয় বছর লেগে যায় নিশ্চিত ধরে রাখতে পারেন। তবে সেশনজাট এ পাঁচ বা ছয় বছর লেগে যায়। অনার্স করার জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভালো হবে, নাকি ডিগ্রী পাস কোর্স ভালো হবে, ভবিষ্যতে বিসিএস দেওয়ার ইচ্ছা আছে, এমন নানা ধরনের প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করার জন্য অনেক ভালো একটি মাধ্যম হতে পারে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স কমপ্লিট করে আপনি সহজেই বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। অল্প খরচে আপনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স কমপ্লিট করতে পারবেন। উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাস করতে কমপক্ষে চার বছর লাগে আর ফুল কোর্সে খরচ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের শেষ কোথায়?
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা সংক্ষেপে বাউবি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশের একমাত্র দূরশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। বিদ্যার্থী তালিকাভুক্তি অনুসারে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন অনুযায়ী দেশের সর্বস্তরের শিক্ষাকে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম। এর মূল ক্যাম্পাস ঢাকা শহরের পাশে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে অবস্থিত।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন ক্যাম্পাস (ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্র, ঢাকা) এবং আউটার ক্যাম্পাস (স্টাডি সেন্টারসমূহ)—দুই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৭টি একাডেমিক অনুষদ বা স্কুল এবং ১১টি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুল একাডেমিক অনুষদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অনুষদ। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুল পরিচালিত চার বছর মেয়াদি আইন অনার্স প্রোগ্রামে দুটি ব্যাচ রয়েছে।
নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য (রবি-বুধ) এবং যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে (শুক্র-শনি) ব্যাচ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রোগ্রামে চলছে তীব্র সেশনজট।
সেমিস্টার ক্লাস নির্ধারিত সময়ে শেষ করার পরও সময়মতো পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা না করা, ফলাফল প্রকাশ করতে বিলম্ব প্রভৃতি সমস্যা রয়েছে।পরীক্ষার ফলাফল সময়মতো প্রকাশ করার জন্য বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
সেশনজট নিরসন, সময়মতো পরীক্ষা এবং ফলাফল ঘোষণার জন্য কিছুদিন আগে ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্র ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও অদ্যাবধি এই বাজে অবস্থার কোনো উত্তরণ ঘটেনি। এমনকি প্রতি সেমিস্টারের পাঁচটি কোর্স পরীক্ষা নিতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে।
তা ছাড়া দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বাউবি আইন প্রোগ্রামের সেমিস্টার ফি প্রায় কয়েক গুণ বেশি এবং বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ নেওয়া হয়। বর্তমানে বাউবিতে আইন প্রোগ্রামে অনার্স করতে ৮ সেমিস্টারে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লাগে, যা মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এই খরচ বহন করা খুবই কষ্টদায়ক।
সেমিস্টার ফি কমানো এবং ৫ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ কমানোর জন্য শিক্ষার্থীরা অনেকবার দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ ক্ষেত্রে শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি।মাঝেমধ্যে আশাহত হয়ে নিজেদের কাছেই প্রশ্ন জাগে, কী হবে দেশের অন্যতম একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ে, যখন নিজেরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হচ্ছি!
এমন অবস্থায় আইন প্রোগ্রামের সব শিক্ষার্থী নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই হতাশার মধ্যে আছেন।স্নাতক শেষ করতে দেরি হওয়ায় বিজেএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া একই সেশনের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণে পিছিয়ে পড়ছেন। অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সুযোগ কমে আসছে।
পুরোপুরিভাবে বাউবি প্রশাসন চলছে নাজুক, হ-য-ব-র-ল অবস্থায়। শিক্ষার্থীদের প্রতি বাউবি প্রশাসনের কোনো দরদ নেই। নেই কোনো ন্যূনতম দায়বদ্ধতা। তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত, নতুন নতুন কোর্স চালু করতে ব্যস্ত। পুরোপুরি শিক্ষাকে তারা একটা ব্যবসায় পরিণত করে ফেলেছে।
এমন অবস্থায় আমরা আইন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেশনজট নিরসন, সময়মতো পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা, ফলাফল প্রকাশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। আর জোর দাবি জানাই স্বতন্ত্র ‘আইন অনুষদ’ আইন প্রোগ্রামের সব সমস্যার দ্রুত সমাধান ঘটবে।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স কমপ্লিট করা যায় কিনা, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স শেষ করতে কত বছর লাগে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে আপনারা যারা উপরোক্ত বিষয় জানতে চান আমার আরটিকে শুধু তাদের জন্য।
আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url