সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা ও সূর্যমুখী বীজের ক্ষতিকর দিক
সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে বলবো কিভাবে সূর্যমুখীর বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা ও সূর্যমুখী বীজের ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা গুলো কি কি এবং কখন কিভাবে এই বীজ ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
সূচিপত্র: সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা ও সূর্যমুখী বীজের ক্ষতিকর দিক
.
সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা
সূর্যমুখী বীজ দিয়ে স্ন্যাকস তৈরি হয়। তৈরি হয়ে আরো অনেক মজাদার খাবার। মিষ্টি বাদাম জাতীয় এই বীজে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপাদান। যেমন : খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও প্রয়োজনে ফ্যাটি অ্যাসিড। সূর্যমুখীর বীজ শরীরের নানা রোগ সারিয়ে তোলে ও নানাভাবে শরীরকে সুরক্ষিত রাখি।
উপরোক্ত, সূর্যমুখীর বীজ হয় ভিটামিন বি সমৃদ্ধ যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন এবং ইয়াসিন, যা আমাদের শরীর সুস্থ স্নায়ুতন্ত্র এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং তামার মত খনিজ গুলির একটি দুর্দান্ত উৎস যা বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়া-কলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন আর দেরি না করে দেখেনি সূর্যমুখী ব্রিজের উপকারিতা কি কি।
এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান
সূর্যমুখী বীজে রয়েছে উন্নত মানের ভিটামিন 'ই' যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে ও শরীরের ভিন্ন অংশের জ্বালাপোড়া কমায়। নিয়মিত এটি খেলে অস্টিওআর্থারাইটিস, অ্যাজমা ও বাথরুম নিরাময় হয়।
হাড় শক্তিশালী করে
হাড়ের সুস্থতার জন্য ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম দুটোই খুব জরুরী। সূর্যমুখীর বিচি খনিজ পদার্থের খুব ভালো উৎস, তাই এটি সুস্থ হার গঠনের সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক
এই বেঁচে আছে উচ্চমানের ফাইটোস্টেরল ও লিগন্যানস যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। এই সব উপাদান শরীরের ক্যান্সারের কোচ তৈরি হতে দেয় না।
বয়সের ছাপ দূর করে
এতে আছে এন্টি-এজিং প্রপার্টিজ যা তোকে বয়সের ছাপ করতে দেয় না। এর মধ্যকার ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন ত্বককে তরুণ্যদীপ্ত করেও উজ্জ্বল্য ধরে রাখে। বিটা ক্যারোটি তত্ত্বের সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে ও ভিটামিন ই ত্বকের বলিরেখা পড়তে দেয় না।
চুল পড়া রোধ করে
সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ভিটামিন এ বি৬ যা মাথার স্কাল্পে অক্সিজেন সাপ্লাই করে চুল পড়া রোধ করে ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে। এতে আরো রয়েছে কপার যা চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে।
ত্বক কোমর রাখে
সূর্যমুখীর বিচি ফাটি এসিডের ভালো উৎস হওয়ার ত্বকের এলাস্টিক ধরে রেখে ত্বকের মসৃণ ও কোমর রাখে।
দাগ দূর করে
এর মধ্যকার ফ্যাটি এসিড ত্বকে কোলাজেন ও এলাস্টিন তৈরি করে দাগ দূর করে। এ তো আরো রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ, যা জীবনের সংক্রমণ থেকে বাঁচায়।
কোলেস্ট্রল কমায়
এই ভিজে রয়েছে ফাইটোস্টেরল যার রক্তের কোলেস্ট্রলের মাত্রা কমায়।
স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখে
এর মধ্যকার ম্যাগনেসিয়াম নার্ভ সেলের অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমিয়ে স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করাতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্য
সূর্যমুখীর বিচিতে রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক একপ্রকার এমিনো এসিড যা শরীরে সেরেটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। সেরিটোনিন হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা ক্লান্ত, দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।
সূর্যমুখী বীজের ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক, ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে। সূর্যমুখী বীজ হলো একটি পুষ্টির পাওয়ার হাউজ যা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খুনিজ এবং স্বাস্থ্যকর-ফ্যাটি সামগ্রিক সরবরাহ করে।
এই ব্রিজগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে, যা শরীরের একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। তেমনি সূর্যমুখী বীজ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে সমস্যাও হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সূর্যমুখী বীজের ক্ষতিকারক দিকগুলো।
1. অনেক বেশি সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার ফলে বমি, পেট ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
2. সূর্যমুখী বীজ অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের মতো লক্ষণগুনি অনুভব করতে পারে বমিফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, ফোলা এবং নিষ্পিশ মুখের চারপাশে।
3. সূর্যমুখীর ডিজে ক্যালোরি বেশি থাকি, তাই বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে।
4. এগুলোতে অল্প পরিমাণে ক্যাডমিয়াম থাকে, যা বেশি পরিমাণে খাওয়ার হলে কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
5. দূষিত অঙ্কুরিত বেঁচে খাওয়ার ফলে সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।
6. সূর্যমুখীর বীজের অত্যাধিক ব্যবহার মহিলাদের মধ্যে সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন তাদের উচ্চ ক্যালরি সামগ্রিক কারণে ওজন বৃদ্ধি বা বিরল ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া।
প্রতিদিন কয়টা সূর্যমুখীর বীজ সর্বোত্তম
বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, প্রতিদিন সূর্যমুখীর বীজ একটি ভালো পরিমাণ প্রায় ১ থেকে ২ টেবিল চামচ (প্রায় ১৫ থেকে ৩০ গ্রাম)। এটি খুব বেশি ক্যালোরি গ্রহণ না করে নির্দিষ্ট খনিজগুলির অতিরিক্ত এক্সপোজারের মত সম্ভাব্য ঝুঁকি ছাড়াই আপনাকে উপকৃত করে। আপনার স্বাস্থ্য চাহিদা অনুযায়ী পরামর্শের জন্য সর্বদা একজন স্বাস্থ্য সেবা প্রধান কারি সাথে যোগাযোগ করুন।
আপনার দিন দিন খাদ্য তালিকায় সূর্যমুখী বীজ কিভাবে অন্তর্ভুক্ত করবেন?
আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সূর্যমুখী বীজ অন্তর্ভুক্ত করা সহজ এবং বেশ কয়েকটি সহজ উপায়ে করা যেতে পারে:
- তাদের উপর স্ন্যাক: খাবারের মধ্যে নাস্তা হিসাবে এক মুঠো সূর্যমুখী বীজ খান।
- সালাদে যোগ করুন: অতিরিক্ত ক্রাঞ্চ এবং পুষ্টির জন্য সালাদের উপরে সূর্যমুখী বীজ ছিটিয়ে দিন।
- স্মুদিতে মিশ্রিত করুন: একটি ক্রিমি টেক্সচার এবং অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য সূর্যমুখী বীজগুলিকে স্মুদিতে ব্লেন্ড করুন।
- সাথে মেশান দই বা ওটমিল: সূর্যমুখীর বীজ দইতে নাড়ুন বা পুষ্টিকর প্রাতঃরাশের জন্য ওটমিলের উপরে ছিটিয়ে দিন।
- বেকিংয়ে ব্যবহার করুন: বাড়তি স্বাদ এবং টেক্সচারের জন্য ঘরে তৈরি রুটি, মাফিন বা গ্রানোলায় সূর্যমুখী বীজ যোগ করুন।
- শীর্ষ স্যুপ বা নাড়ুন-ভাজা: একটি কুঁচকানো মোচড়ের জন্য পরিবেশন করার ঠিক আগে স্যুপ বা নাড়া-ভাজাতে সূর্যমুখী বীজ ছিটিয়ে দিন।
- সূর্যমুখী বীজ মাখন তৈরি করুন: টোস্ট বা স্যান্ডউইচের জন্য স্প্রেড হিসাবে ঘরে তৈরি সূর্যমুখী বীজ মাখন তৈরি করতে সূর্যমুখী বীজ ব্যবহার করুন।
আমাদের শেষ কথা
সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা নিয়ে লেখা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সমস্ত বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশা করছি। আজকে আর্টিকেলের আমরা সূর্যমুখী বীর্যের উপকারিতা ও সূর্যমুখী নিজের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন হ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url