বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সিম্পল। বর্তমানে সকল এয়ারটেল, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, টেলিটক এবং রবি গ্রাহকগণ বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন নিজের ফোনের বিকাশ অ্যাপ থেকেই। বিকাশ অ্যাপস ডাউনলোড করে অ্যাপ থেকে ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা থাকলে।
তাই আপনাদের কথা ভেবে আমরা বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। বিকাশ একাউন্ট এই ডিজিটাল যুগে টাকা লেনদেন করার বড় একটি মাধ্যম। যা আমাদের সকলেরই একবার না একবার প্রয়োজন পড়েছে। এখন ইচ্ছা করলে আপনার হাতে থাকাই স্মার্ট ফোন দিও আপনি নিজেই নিজের বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। এবং জেনে নেওয়া যাক বিকাশে কান খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
.
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ বাংলাদেশ জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। ব্যক্তিগত ও ব্যবসাহিক লেনদেনের জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি এখনো বিকাশ একাউন্ট না খুলে থাকেন, তাহলে চিন্তা নেই ! এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে মোবাইল বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। চলুন দেরি না করে মূল ট্রফি কে যাওয়া যাক।
বিকাশ এপস এর মাধ্যমে একাউন্ট খুলুন:
বিকাশ এপস এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে যা লাগবে-
1. স্মার্ট ফোন
2. জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি
পদ্ধতি :
1. বিকাশ অ্যাপ এ গিয়ে লগইন / রেজিস্টার- এ ট্যাপ করুন।
2. অপারেটর বেঁচে নিয়ে আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিন।
3. মোবাইল নাম্বারে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে পরের ধাপে যান।
4. শর্তাবলি পড়ে সম্মতি দিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
5. আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সাম্যের ও পেছনের অংশের ছবি তুলুন।
6. প্রয়োজনীয় তথ্য চেক করে এগিয়ে যান।
7. ফোনের ক্যামেরা দিয়ে নিজের চেহারার ছবি তুলুন।
8. এবার তথ্য সাবমিট করে এগিয়ে যান।
9. ভেরিফিকেশন কনফার্মেশন এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করুন। এই তথ্য যাচাই করতে বিকাশের ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
10. কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিন সেট করতে হবে। পিন সেট করতে অ্যাপে এসে পিন সেট করুন - এ ট্যাপ করে পাঁচ সংখ্যার পিন দিয়ে নিশ্চিত করুন।
11. এবার বিকাশ অ্যাপ লগইন করুন।
* আপনার পিন নাম্বারটি সব সময় গোপন রাখুন।
সকল প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনার মোবাইল নাম্বারটি আপনার বিকাশ একাউন্ট নাম্বার হিসেবে গণ্য হবে। আপনার অ্যাকাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় হওয়ার পর *247# ডায়াল করে অথবা বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে সাত দিন বিকাশের সকল সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
বিকাশ স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলবো কিভাবে
এতদিন ১৮ বছর বয়স না হলে কিংবা এনআইডি কার্ড না থাকলে বিকাশ একাউন্ট খোলার উপায় ছিলো না। অবশেষে বিকাশ নিয়ে এলো স্টুডেন্ট একাউন্ট, যার কল্যাণী এনআইডি কার্ড ছাড়া শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং মা-বাবার বিকাশ একাউন্ট ধারা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন শিক্ষার্থীগণ। শুধু তাই নয় নতুন স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলে পাওয়া যাচ্ছে বোনাস !
জন্ম সনদ ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলে পাওয়া যাবে ১৩০ টাকা পর্যন্ত ওয়েলকাম অফার। এন আই ডি ছাড়া স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলে শিক্ষার্থীরা রিচার্জ বাস সেন্ট মানে করতে পারবেন সাধারণত বিকাশ একাউন্ট এর মতই। বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে যা যা প্রয়োজন :
শর্তাবলীঃ
১। বিকাশ লিমিটেড ( পরবর্তীতে "বিকাশ" নামে উল্লেখিত )- এর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ( বিকাশ সেবা ) গ্রহণকারী বিকাশ গ্রাহক নামে পরিচিত হবেন এবং একমাত্র উক্ত গ্রাহকের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্টির ব্যবহারকারী হবেন।
২। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্তনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস সরবরাহের জন্য প্রযোজ্য বিধি, বিধান, নীতিমালা, সার্কুলার এবং আদেশ নির্দেশ অনুযায়ী বিকাশ সেবা এবং বিকাশ একাউন্ট এর লেনদেন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট নাম্বারটি (যা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট SIM-এর MSISDN নাম্বার) বিকাশ সংক্রান্ত সব রকম দলিলে/ফরমেসঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। ভুল নাম্বার উল্লেখের কারণে কোনো রকম ক্ষয়-ক্ষতির জন্যে বিকাশ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
৪। বিকাশ একাউন্ট-এ পর্যাপ্ত ব্যালেন্সের অভাবে লেনদেন সম্পন্ন না হলে তার জন্য বিকাশ দায়ী থাকবে না।
৫। বিকাশ গ্রাহক কাউন্টার ত্যাগ করার পূর্বে তার উদ্দিষ্ট বিকাশ একাউন্ট-এ অথবা বিকাশ একাউন্ট থেকে যথাযথ পরিমাণ ক্যাশ ইন/ক্যাশ আউট/পেমেন্ট ইত্যাদি সম্পন্ন হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন। পরবর্তীতে কোনো প্রকার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
৬। বিকাশ গ্রাহক বিকাশ সেবা ব্যবহার করে প্রতিটি লেনদেনের পূর্বে প্রাপকের যথার্থতা নিশ্চিত হয়ে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট নাম্বার, টাকার পরিমাণ, গোপন নাম্বার এবং লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়ার সময় সতর্ক থাকবেন। লেনদেন করার সময় কোনো ভুল তথ্য বা নির্দেশনা প্রদান করলে বা কোনো প্রকার প্রলোভন, মিথ্যা উপস্থাপনা বা প্রতারণার শিকার হয়ে কোনো লেনদেন করলে, এর জন্য একমাত্র গ্রাহকই ব্যক্তিগত এবং এককভাবে দায়ী থাকবেন। বিকাশ কোনো ক্ষেত্রেই উক্ত লেনদেনকৃত অর্থ ফেরত প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ কিংবা বহন করবে না।
৭। বিকাশ সেবা সংশ্লিষ্ট সকল ফি এবং/অথবা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ সময়ে সময়ে নির্ধারণের ক্ষমতা বিকাশ সংরক্ষণ করে এবং এই সকল ফি অথবা চার্জ বিকাশ একাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হবে।
৮। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২, সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত সার্কুলার/নীতিমালা অনুযায়ী বিকাশ গ্রাহক বিকাশ-এর চাহিদা মোতাবেক যেকোনো তথ্য বিকাশ-কে প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন।
৯। বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট ও লেনদেন সংক্রান্ত সকল তথ্যের ক্ষেত্রে বিকাশ সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখবে। তবে নিম্নবর্ণিত যেকোনো ক্ষেত্রে বিকাশ গ্রাহক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য প্রকাশ/প্রদান করার ক্ষমতা বিকাশ সংরক্ষণ করে:-
১০। বিকাশ-এর উপর এখতিয়ারপ্রাপ্ত, নিয়ন্ত্রণকারী, তত্ত্বাবধানকারী অথবা সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনে;
১১। আদালতের আদেশ অথবা আইন দ্বারা অনুমোদিত কোনো ব্যক্তির প্রয়োজনে;
১২। বিকাশ-এর বিভিন্ন অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যেকোনো সেবা প্রদানকারী অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নিকট;
১৩। বিকাশ গ্রাহক তার বিকাশ একাউন্ট-এর গোপন নাম্বার (PIN) কখনোই কারো কাছে প্রকাশ করবেন না এবং এর সর্বোচ্চ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এবং এককভাবে দায়ী থাকবেন। গোপন নাম্বারের গোপনীয়তা ভঙ্গ বা অপব্যবহারের আশঙ্কা দেখা দিলে অবিলম্বে তা পরিবর্তন করে ফেলবেন। বিকাশ গ্রাহক কর্তৃক অবহেলা, অসতর্কতা, ভুল বা গোপন নাম্বারের গোপনীয়তা ভঙ্গ করার ফলে অথবা গোপন নাম্বারের কোনো প্রকার অপব্যবহারের কারণে বিকাশ গ্রাহক কোনোভাবে প্রতারিত এবং/অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিকাশ কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না। মোবাইল ফোন অথবা সিম হারিয়ে গেলে বিকাশ গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ হেল্পলাইনে (16247)-এ ফোন করে বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে দিবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্যে বিকাশ-এর সাথে যোগাযোগ করবেন।\
১৪। বিকাশ গ্রাহক সর্বদা তার বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে যেকোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকবেন। বিকাশ গ্রাহক যদি এই ফরমের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে বা প্রতারণা করে বা করার চেষ্টা করে অথবা বিকাশ-এর বিবেচনায় বিকাশ গ্রাহকের লেনদেনের আচরণ সন্দেহজনক হলে, গ্রাহকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, নিরাপত্তা জনিত বা অন্য যেকোনো যুক্তিসংগত কারণে কোনো পূর্ব ঘোষণা প্রদান ব্যতিরেকে বিকাশ যেকোনো সময় বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করা, বাতিল করা, বন্ধ করা বা বিকাশ-এর বিবেচনায় সঠিক অন্য যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ যেকোনো প্রকার শাস্তিমূলক বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকার সংরক্ষণ করে। এক্ষেত্রে বিকাশ-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ও গ্রাহকের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।
১৫। বিকাশ গ্রাহক সর্বদাই বিকাশ কর্তৃক যেকোনো মাধ্যমে তার কাছে প্রেরিত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। অন্যথায়, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিকাশ উক্ত বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করা বা বাতিল করা সহ গ্রাহকের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রকার সংশোধনমূলক বা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বিকাশ-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ও গ্রাহকের জন্য বাধ্যতামূলক বলে গণ্য হবে। তদন্ত চলাকালীন সময়েও বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করে রাখার অধিকার বিকাশ সংরক্ষণ করে। তবে এসএমএস বা ফোনকলের মাধ্যমে যদি গ্রাহককে কোনো লেনদেন করতে, নির্দিষ্ট সংখ্যা চাপতে কিংবা গোপন নাম্বার বা বিকাশ একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশ করতে বলা হয়, তবে বিকাশ গ্রাহক তা বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যাচাই করা ব্যতীত কোনোভাবেই করবেন না।
১৬। বিকাশ একাউন্ট সংশ্লিষ্ট সিম কার্ড এবং সিম কার্ড প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদির জন্য একমাত্র বিকাশ গ্রাহকই দায়ী থাকবে। বিকাশ এই সংক্রান্ত কোনো দায়দায়িত্ব কখনোই বহন করবে না।
১৭। বিকাশ একাউন্ট সংশ্লিষ্ট সিম কার্ড প্রতিস্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর-এর কাছ থেকে প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পর বিকাশ উক্ত বিকাশ একাউন্টটির কার্যক্রম স্থগিত করে দিবে। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্দেশনা অনুসারে অন্তত ২৪ ঘণ্টা উক্ত বিকাশ একাউন্টটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
১৮। বিকাশ গ্রাহককে কোনো পূর্ব ঘোষণা প্রদান ব্যতিরেকে বিকাশ যেকোনো সময়ে যেকোনোভাবে বর্তমান নিয়মাবলী সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্ধন ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
১৯। বিকাশ উপযুক্ত নিয়ম-নীতি অনুসারে যেকোনো সময় বিকাশ গ্রাহকের কাছে প্রচার সংক্রান্ত আইভিআরস (IVRs), ফোন কল অথবা এসএমএস পাঠানোর অধিকার সংরক্ষণ করে।
২০। বিকাশ গ্রাহক তার বিকাশ একাউন্ট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে চাইলে, উক্ত একাউন্ট-এ জমাকৃত টাকা শুধুমাত্র যেকোনো বিকাশ সেবা ব্যবহার করা সাপেক্ষে শূন্য (nil balance) করে একাউন্ট বন্ধ করার আবেদন করতে পারবেন।
২১। বিকাশ একাউন্ট-এ জমাকৃত টাকার উপর কোনো প্রকার সুদ প্রদান করার মানদন্ড বা হার নির্ণয় করার যাবতীয় অধিকার বিকাশ সংরক্ষণ করে। বিকাশ গ্রাহক সুদ গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক হলে বিকাশ হেল্পলাইন (16247)-এ ফোন করে তা বন্ধ করতে পারবেন।
২২। কোনো প্রকার অপ্রত্যাশিত অথবা অনিবার্য কারণবশত গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট চালু করতে বা কোনো সেবা প্রদান করতে বিলম্বের কারণে বিকাশ কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই দায়ী হবে না। বিকাশ কোনো প্রকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ না হয়ে বিকাশ সেবা সফলভাবে প্রদান করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে যাবে।
২৩। বিকাশ গ্রাহক, বিকাশ সেবা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ বিকাশ সেন্টার বা বিকাশ কেয়ার-এ এসে কিংবা বিকাশ হেল্পলাইন (16247)-এ ফোন করে অথবা support@bkash.com-এ ই-মেইল করে জানাতে পারেন। বিকাশ সবসময়ই বিকাশ গ্রাহকের লেনদেন সম্পর্কিত কোনো দ্বন্দ্ব বা অভিযোগ মীমাংসা করার জন্য তদন্ত পরিচালনা, অভিযোগকারী এবং/অথবা অভিযুক্ত বিকাশ গ্রাহককে বিকাশ-এর প্রধান কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো, বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করা, বন্ধ করা, নিষ্পত্তি করা সহ বিকাশ-এর বিবেচনায় সঠিক যেকোনো সংশোধনমূলক বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
২৪। বিকাশ তার কোনো গ্রাহকের ব্যক্তিগত বা লেনদেনের তথ্য কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ (তথ্য যাচাই বাদে) বা বিক্রি করবে না। তবে, বিকাশ তার গ্রাহকের লেনদেনের ধরন পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যে কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করতে পারে যেন উক্ত গ্রাহককে উন্নত সেবা বা পণ্য প্রদান করতে পারে এবং তার অভিজ্ঞতা আরও নিরাপদ ও সহজ করতে পারে।
বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য বিশেষ নিয়ম ও শর্তাবলিঃ
১। বৈধ ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ ও সক্রিয় সিম এর MSISDN নাম্বার ব্যবহার করে, এবং গ্রাহকের মা অথবা বাবার অনুমতি নিয়ে (মা/বাবার সক্রিয় বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে), গ্রাহক (১৪-১৮ বছর বয়সের) সেলফ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারে (অতঃপর বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে)।
২। বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টে সীমিত বিকাশ সেবা পাওয়া যাবে যেমন ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, সেন্ড মানি, রিসিভ মানি, পেমেন্ট ইত্যাদি। বিকাশ সময়ে সময়ে বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টে থেকে এর সেবা যুক্ত করা অথবা বাদ দেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
৩। বিকাশ স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের লেনদেনের লিমিট ও সংখ্যা সাধারণ বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ভিন্ন হবে।
৪। বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টধারী গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ এবং *247# এর মাধ্যমে বিকাশ এর সেবাগুলো পেতে পারবেন।
৫। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সময়, অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ, গ্রাহককে তার মা/বাবার (এখন থেকে "অভিভাবক" হিসেবে উল্লেখ করা হবে), যেকোনো একজনের, বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং মা/বাবার সম্মতি হিসেবে তার বিকাশ নাম্বারে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোড প্রদান করতে হবে।
৬। প্রতিটি সাধারণ বিকাশ অ্যাকাউন্টের সাথে ৩ টি (তিনটি) পর্যন্ত বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট সংযুক্ত থাকতে পারবে।
৭। অভিভাবক বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টের নমিনি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
৮। অভিভাবক বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্টের সকল লেনদেনের বিবরণী তার বিকাশ অ্যাপে দেখতে পারবেন ।
৯। বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য অভিভাবকের স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করা হবে।
১০। অভিভাবকের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা যাবেনা যখন কোনো বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট যুক্ত থাকে। সেইসাথে কোনো স্টুডেন্ট একাউন্ট বন্ধ করা যাবে না যদি ওই একাউন্টের সাথে কোনো অভিভাবকের বিকাশ একাউন্ট যুক্ত থাকে।
১১। গ্রাহকের দ্বারা যেকোনো অপরাধ / অন্যায়ের জন্য অভিভাবক দায়ী থাকবেন এবং অভিভাবকের বিরুদ্ধে যেকোনো আইনি পদক্ষেপ সহ সমস্ত উপযুক্ত প্রতিকার নেওয়া হবে।
১২। প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে এবং বিকাশ স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে বিকাশ সম্ভাব্য গ্রাহকের জন্ম নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত তথ্য তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার করবে।
আমি এই মর্মে নিশ্চিত করছি যে, বিকাশ লিমিটেড –এর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর একজন গ্রাহক হবার জন্য একাউন্ট খোলা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার সাথে সম্পর্কিত সকল নিয়ম এবং উপরে উল্লিখিত শর্তাবলি আমি পড়েছি, বুঝেছি এবং মেনে চলার অঙ্গীকার করছি।
এই কেওয়াইসি ফরমে প্রদত্ত সকল তথ্য এবং দলিলাদি সত্য, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ এবং কোনো তথ্য আমি গোপন করিনি। জ্ঞাতব্য, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ধারা ৮(১) "কোনো ব্যাক্তি জ্ঞাতসারে অর্থের উৎস বা নিজ পরিচিতি বা হিসাব ধারকের পরিচিতি সম্পর্কে বা কোনো হিসাবের সুবিধাভোগী বা নমিনি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করিবেন না"
এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৮(২) "কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি অনধিক ০৩ (তিন) বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনুর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন" ।
বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সুবিধার ক্ষেত্রে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম তুলে ধরব। অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন কেনাকাটায় পেমেন্ট মানেই বিকাশ। বিশেষ করে ব্যবসায়ী জনগোষ্ঠীদের বিকাশের ধারা আর্থিক লেনদেনের রয়েছে অনেক সুবিধা।
ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তর ব্যবসায়ীরা বিকাশ মার্চেন্ট এর মাধ্যমে সহজে কাস্টমারদের সাথে আর্থিক লেনদেন করতে পারে। তবে ২০২৪ সালে এসে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলাও হয়ে গেছে কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আগের মত মিলছে না মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট। সবকিছু ঠিক থেকেও কোথাও যেন ঠিক নেই।
আসলে বিষয়টি কি? কোন পাওয়া যাচ্ছে না মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট? সে সব কিছু জানাবো আজকের আর্টিকেলটিতে। পাশাপাশি জানাবো সঠিক ভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। যাতে করে তোর দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতেও ব্যবহার করতে পারেন।
উক্ত কাজটি করতে প্রথমে যেকোনো ব্রাউজার থেকে চলে যেতে হবে বিকাশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। অথবা সরাসরি এখানে ক্লিক করে চলে যেতে পারেন কাঙ্খিত পেজটিতে। এবার সেখানে একটি ফরম দেখতে পাবেন যা আপনাকে পূরণ করার মাধ্যমে মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে হবে।
ফরম পূরণের নিয়ম ঃ
ধাপ ১) এখানে প্রথমে আপনার মার্জেন্ট / দোকানের নাম দিয়ে দিবেন। দোকানের লোকেশন তথা জেলা ও এলাকা সিলেট করে দিবেন।
ধাপ ২) যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল দিন। পাশাপাশি অন্য কোন পরিচয় ( যা আপনাকে খুঁজে পেতে সহায়ক হবে ) চাইলে দিয়ে দিতে পারেন।
ধাপ ৩) এবার আপনার কি জাতীয় পরিচয় পত্র আছে কিনা সেই বিষয়ে জানাবেন। বলে রাখা ভালো যে, মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার অবশ্যই এনআইডি থাকতে হবে।
ধাপ ৪) পাশাপাশি "ট্রেড লাইসেন্স " আছে কিনা সেটা জানানোর পর থাকলে টেড লাইসেন্সের নাম্বার ও মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে জমা দিন অপশনে ক্লিক করুন।
ব্যাস, আবেদন সংক্রান্ত কাজ শেষ। এবার অপেক্ষা করুন কেননা তাদের প্রতিনিধি নিচ থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এই বিষয়ে নেক্সটে ধাপে যাওয়ার জন্য। তারা যখন আপনার কাছে আসবে তখন আপনাকে আরো বেশ কিছু তথ্য ডকুমেন্ট তাদের দিতে হবে যে বিষয় ইতি মত জানানো হয়েছে। তবে এটা ছিল ফরম্যাল দিকনির্দেশনা।
প্রকৃত বিষয়ে এই যে ইদানিং তাদের কাছে অনেক আবেদন জমা হলেও তারা রেস্পন্ডস করছে না। আর এর পিছনে দায়ী বিকাশ না হলেও বিকাশের সাথে যুক্ত স্থায়ী ডিস্টবিউটাররা। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় হবে নিজ থেকে এলাকায় বিকাশ এজেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে উক্ত বিষয় জানান দেওয়ার মাধ্যমে বিকাশ মার্জিন অ্যাকাউন্ট খোলার কার্যক্রম করা।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ
আপনারা মনে মনে একটা কথা ভাবেন বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত? এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করলে গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা *২৪৭# ডায়াল করে বাড়ির পাশের এজেন্ট পয়েন্টে থেকে ক্যাশ আউট করতে পারেন যখন প্রয়োজন। আরপিও এজেন্ট সেট করে, ডাবল সুবিধার প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করুন হাজারে মাত্র ১৪.৫০ টাকা। আর অন্য এজেন্ট ক্যাশ আউট করুন হাজার ১৮.৫০ টাকায়।
লেখক এর মন্তব্য
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে এবং বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কে সকল বিষয়বস্তু এই আর্টিকেল এর মধ্যে দেখানো হয়েছে আপনার যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অনুরোধ রইলো আপনার বন্ধুদের সাথে ও সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুকে শেয়ার করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। (ধন্যবাদ)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url