আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

আমলা বা আমলকীকে আপনারা আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে চিনে থাকেন। আমরা বামলকি অনেকেই খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকি আবার অনেকেই ওষুধ হিসেবে খেয়ে থাকি। এই ফলটি সাধারণত ছোট্ট আকারের এবং টক স্বাদযুক্ত হয়ে থাকি। আমলা বা আমলকি স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকার।
আমলকিতে রয়েছে খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বিনামূল্যে র‍্যাডিকেল থেকে সেল অক্সিডেশন প্রতিরোধ করি। এছাড়াও মানুষের মরণ বৃদ্ধি রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মত রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা আমরা বা আমলকি সাথে সকলি পরিচিত। কিন্তু এর উপকারিতার ও অপকারিতার দিক কয়জনই বা জানে। আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ও কার্যকর উপাদান। যা আমাদের শরীর থেকে নানা ধরনের রোগ জীবাণ ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকি। 

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা গুলি আমাদের সকলের জানা উচিত। আপনারা যারা নানা জায়গায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে খুঁজছেন আমার আর্টিকেল শুধু তাদের জন্য। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পরে জেনে নিন আমলকি উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলকির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা কি জানেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল থেকে শুরু করে সুন্দর ত্বক এবং শরীরের জন্য নানা উপকারে আসে আমলকি। আয়ুর্বেদে আমলকি কে প্রকৃতির আশীর বলে মনে করা হয়। আমলকিতে ভিটামিন শের সেরা উচ্চ হিসেবে গণনা করা হয়। 

এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। আমলকি কে অনেকেই রোগের জন্য চিকিৎসার প্রধান করে থাকে। বড় বড় গবেষকরা গবেষণা করে পেয়েছি আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা, ক্যারোটিন, এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সর মত অনেক খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমলকি সুবিধা :

১/ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মধু সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে পান করলে চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্য খুবই উপকারে আসে। গবেষকদের মতে আমলকি চোখের ভিতরে চাপকে বাস করে, দূরের জিনিস দেখতে পায় এবং সানি চোখে করতে দেয় না। ভিটামিন এবং ক্যারোটিনকে মেলাননিক রাতের অন্ধত্ব কমাতে এবং আপনার দৃষ্টিকে শক্তিশালী করে।

২/ ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারি উপাদান হচ্ছে আমলকি। আমলকি বিচ্ছিন্ন গ্রুপের কোষকে উদ্দীপত করে, যা শরীরের হরমোনটি ইনসুলিনকে বারতে দেয় না এবং ডায়াবেটিসে রক্তের গ্লুকোজ হ্রাস করে এবং শরীরেকে সুষম ও সুস্থ রাখে। এতে উপস্থিত ক্রোমিয়ম শরীরের এলডিএল কোলেস্টেরলকে কমায় যা হৃদগত স্বাস্হ্যের জন্য ব্যবহ্নত হয়, যা বিটা-ইনহিবিটারের প্রভাবকে বাড়ায়।

৩/ আমলকিকে ফাইবারে প্রদান উপাদানো ধরা হয়ে থাকে। আমলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা অন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্য বহন করতে সহায়তা করে এবং ডায়রিয়া কমাতে পারে।

৪/ আমলকি হৃদপিন্ডের জন্য খুবই উপকারী। এটি হৃদয়ের পিসিকে শক্তিশালী করে তোলে। আমলকি হৃদপিন্ডে কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। আমলকিতে আরো রয়েছে ক্রোমিয়াম যা এথেরোস্কালোরোসিসের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে থাকে তার সাথে রক্তনালী এবং ধমনীতে পর্দায় চর্বির উৎপাদন কমাতে পারে।

৫/ আমলকিতে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেটা চুলের জন্যও খুবই উপকারী। চুলের বৃদ্ধি এবং ঘন কালো করতে সাহায্য করে আমলকি। যার জন্য আমলকি অনেকেই চুলের টনিক গুলোতে ব্যবহার করে থাকে। আমলকি কে পাটায় বেটে পেস্ট তৈরি করে গোড়ায় তাজা আমলা পেস্ট ব্যবহারের ফলে চুলের বৃদ্ধি এবং রঙ উন্নত হয়।

৬/ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা মেটাবলিক ক্রিয়াকলাপেয়ে সাহায্য করে থাকে। প্রোটিন সেলুলার ডেভিলপমেন্ট, পেশীবহুল উন্নয়ন, অঙ্গ-স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিপাকীয়া ক্রিয়া-কলাপের বিস্তৃ জন্য অপরিহার্য।

৭/ আমলকি প্রসাবের পরিমাপ বৃদ্ধি করে থাকে এবং আমাদের কিডনি সুস্থ রাখে। মূত্রাশয় সংক্রমণ এবং গর্ভাবস্হায় সংক্রমণ রাখতে আমলকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮/ আমলকিতে থাকা উপস্থিত কিছু খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন মাসিক ঋতুচক্রের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যৌথভাবে উপকারে আসে।

৯/ আমলকিতে থাকা পুষ্টিগুণ গুলো আমাদের দেহের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। যেহেতু এতে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুমুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে, তাই আমলকি শরীরের সংক্রমনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে থাকে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। আমলকিতে উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের শ্বেব রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়।

১০/আমলকিতে শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে শরীরের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত হাইপারলিপিডেমিয়া বন্ধ করে। মুক্ত কোষ গুলো যেমন বলিরেখা এবং বয়সের ছোপ পড়ে না। তাই বেশি বশি আমলকি খাওয়া প্রয়োজন।

আমলকির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া -

আমলকি ব্যবহারে কোন বিষাক্ত অবদান নেই বা নেতিবাচক প্রভাবের উল্লেখ নেই। তবুও আমলকি ব্যবহারের সম্পর্কিত কিছু হালকা প্রতিকূল, প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন -

  • অনেক সময় হাইপারঅ্যাসিডিটি ট্রিগার করতে দেখা যেতে পারে। আপনাদের যদি হাইপার অ্যাসিডিটি বা ভিটামিন সি খাবারের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে কোন ইতিহাস থাকে বা আগে অসুবিধা থেকে থাকে তবে আপনাকে এই ফলটি খাওয়া উচিত নয়।
  • যদি আপনি অধিক পরিমাণে আমলকি খান তাহলে মোটা হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • হাইপারগ্লাইসেমিক মানুষের জন্য পরামর্শ হলো যে বীজ মুক্ত ফল ব্যবহার এড়াতে কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্য অবস্থা খারাপ হতে পারে।
  • আমরা কি খাওয়ার ফলে কিছু জনের মধ্যে যে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সেগুলো হলো ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, লবনতা এবং মুখের ফুসকুড়ি, মুখের লোভ, ত্বকের চামড়া এবং মুখ প্রশ্বাস সাথে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং হালকা অভিজ্ঞতা হতে পারি।

আমলকি খেলে কি কি ক্ষতি হয়,

আমলকিতে তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। প্রয়োজনের বাহিরে অতিরিক্ত আমলকি খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে জেনে নিন ?

  • উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, রক্তচাপের মাত্র বেশি থাকলে আমলকি না খাওয়াই ভালো।
  • অম্বল হজম ক্ষমতা ভালো রাখার জন্য আমলকি ভরসা করেন অনেকে।
  • শরীরের আর্দ্রতা কমে যায়।
  • ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনি যদি আমলকি অতিরিক্ত মাত্রায় খান তাহলে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারি। আমাদের দেহের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী আমলকি চেয়ে থাকবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

খালি পেটে আমলকির রস খেলে কি হয়

আমলকিতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। ডায়রিয়া, জন্ডিস এবং প্রদাহের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ের জন্য আমলকি হওয়া যেতে পারি। সাধারণত আমলকি কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্নভাবেও পাওয়া যেতে পারে। 
যেমন আমলকির আচার, আমলকির ক্যান্ডি, আমলকির গুড়া, আমলকির জুস ইত্যাদি। আমলকির রস খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে বেশি। বেশিরভাগ জনগণি এটি খালি পেটে খেয়ে থাকে। 

আবার অনেকেই বিশ্বাস করে যে আমলকি রস দিয়ে দিন শুরু করলে তা পুষ্টির শোষণ বারায় এবং হজমের স্বাস্থ্য কে উন্নত করে । খালি পেটে আমলে কি রস খেলে পিন্টু উপকার পেয়ে যাবেন যেমন :

১/ শরীরের ডিটক্সিফিকেশন

আমলকির রস দিয়ে আপনার দিন শুরু করলে তার শরীরকে ডিটক্সিফাই করার সামগ্রিক উপায়ে অবদান রাখতে পারে। খালি পেটে খাওয়া হলে আমলকির প্রাকৃতি ভাবে ডিটক্সিফিকেশন বৈশিষ্ট্য গুলো সবচেয়ে কার্যকর হয় বলে মনে করা হয়। 

আমলকির রস শরীরের হজম প্রক্রিয়ার সহজ করে, যা টক্সিনকে আরো দক্ষভাবে নির্মূল করে। আমলকির উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রী ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেলের প্রভাব দূর করে আরো ডিটক্সিফিকেশন সাহায্য করে।

২/ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

আমলকির জুস শরীরের বিপাক এবং খোদার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। যে কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে আমলকির জুস পান করলে তার শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। হলে আমাদের শরীর আরও দক্ষতার সঙ্গে ক্যালোরি পোড়াতে পারে। সেই সঙ্গে এর উচ্চ ফাইবার সামগ্রিক দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতি তৈরি করে, যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস কমে।

৩/ পুষ্টি শোষণ করে

খালি পেটে আমলে কি রস খাওয়ার অভ্যাস পুষ্টির ভালো শোষণে সাহায্য করে, বিশেষ করে ভিটামিন সি শোষণে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। পেট খালি থাকলে পুষ্টির শোষণের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কম পদার্থ থাকে, যা শরীরের নির্দিষ্ট পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। 

ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি ভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য পরিচিত, যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য। তাই সুস্থতার জন্য খালি পেটে আমলকি রস খেতে পারেন।

খালি পেটে আমলকির রস খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া -

১/ অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে

আমলকি সাধারণত ক্ষারকীয় প্রকৃতির হয়ে থাকে। সাধারণত যাদের পেট সংবেদনশীল তারা আমলকির রস খেলে অ্যাসিডিটির বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রাইটিসের ইতিহাস রয়েছে তাদের জন্য এটি সমস্যাযুক্ত হতে পারে এবং তারা খালি পেটে আমলকির রস খাওয়ার থেকে বিরত থাকবেন।

২/ ঝাঁঝালো স্বাদ

আমলকির রসে তীব্র ও টক স্বাদ পেতে গেলে সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। আপনাদের কাছে এই স্বাদ খুব তীব্র মনে হলে তা সহনশীল করার পদ্ধতি আছে। আমলকি রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন বা আমলকি রসের সাথে মধু মিশিয়ে সাতটি মিষ্টি করতে পারেন। এতে আপনি সহজেই পুষ্টিগত সুবিধাগুলো থেকে উপকৃত হতে পারেন।

৩/ রক্তের শর্করার মাত্রা উঠানামা করতে পারে

রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য আমলার বা আমলকির সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা উচিত, বিশেষত ডায়াবেটিক যুক্ত ব্যক্তিদের ধারা। আমলকির একটি হাইপোগ্লাইসেমিক। এতে রক্তের শর্করা হ্রাসকারী প্রভাব থাকতে পারি। 

জার্মানি এটি রক্তের গ্লুকোজের মাঠটাকে প্রভাহিত করতে পারে। যাদের ডায়াবেটিকস আছে তাদের ডায়েটে আমলকির রস অন্তর্ভুক্ত করার সময় রক্তের শর্কর করার নিবিড়ণভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, বিশেষ করে খালি পেটে। নিরাপদ এবং কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে, একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।

আমাদের শেষ কথা

ইতিমধ্যে আমরা আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অন্যান্য দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা আমলকির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান আমাদের এই আর্টিকেল শুধু তাদের জন্য। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে জেনে নিন আমলকির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা সবাই আমলকির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন আসসালামু আলাইকুম।।।।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url