ম্যাচিউরিটি অর্থ কি - ম্যাচিউরিটি নিয়ে উক্তি

ম্যাচিউরিটি অর্থ কি এর সম্পর্কে কি কোন কিছু জানা আছে আপনাদের? যদি অনেক সময় ব্যক্তির আচার ব্যবহার ও গুণাবলী দেখে ম্যাচিউরিটি বোঝা যায় তারপরও যদি পূর্ব থেকে আপনার এ বিষয়ে কোন ধারণা থাকে তাহলে ওই ধারণাকে পরিস্থিতির সাথে খুব সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন।
ম্যাচিউরিটি হতে হলে এক জন ব্যক্তি যা যা প্রয়োজন আর যদি সেই গুণাবলী গুলো একজন ব্যক্তির মধ্যে থেকে থাকে তাহলে তা খুব সহজেই প্রকাশিত হয়। কারণ একজন ম্যাচিউরিটি ব্যক্তি সব সময় পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে কাজ করি।

ম্যাচিউরিটি অর্থ কি

ম্যাচিউরিটি অর্থ কি বা এর সংজ্ঞা বলতে এক কথায় যদি বলা যায় তাহলে যেই কথাটি মাথায় রাখতে হয় যা বিষের ভাগ লোকের মাঝেই লক্ষ্য করা যায়। একজন ম্যাচিউরিটি ব্যক্তি তারা নিজের জীবনকে পরিবর্তন করার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক থাকে। 

আরেকজন অম্যাচিউরিটি ব্যক্তি নিজেকে বদলে ফেলার কথা বাদ দিয়ে অন্য কারো জীবনকে পরিবর্তন করার অনেক বেশি প্রকাশ করে থাকি, যা একজন ম্যাচিউরিটি ব্যক্তি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সব সময় নিজেকে উন্নত করে তুলতে ব্যস্ত থাকে। 

সাধারণত চলাফেরা কথাবার্তায় কারো ফ্যামিলি নিয়ে খোটা দেওয়া মন-মানসিকতা দূর হলে ম্যাচিউরিটি ধাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। একজন ম্যাচিউরিটি কখনো কোন ব্যক্তির সাথে খারাপ আচরণ করতে পারবে না। অন্য কাউকে খুব সহজে কষ্ট দিয়ে কথা বলবে না। 

কারন সে এটি করার পূর্বে অনেক চিন্তা ভাবনা করবে। যার মাধ্যমে তার ম্যাচিউরিটি প্রকাশ প্রায়। এক কথায় বলতে গেলে যখন একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছায় তখন তার মধ্যে কিছু বিষয়ে পরিবর্তন ঘটে। যারা কোন কিছু করার আগে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়ে থাকি তাদের মধ্যে অবশ্যই ম্যাচিউটির বিষয়টা রয়েছে।

ম্যাচিউরিটি নিয়ে উক্তি

ম্যাচিউরিটি প্রকাশ পায় কোন ব্যক্তির আচার-আচরণ বা তার চিন্তাভাবনা কেমন নির্দেশ করে তার মাধ্যমে। সাধারণত এটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে, ব্যক্তির যে কোন সমষ্টি রয়েছে তার ওপর। ম্যাচিউরিটি এমন একটি গুণ জান ব্যক্তির নিজ থেকে তৈরি হয়ে থাকে। 

আর যেই ব্যক্তির মধ্যে চিন্তাভাবনার, আচার-আচরণে পরিবর্তন যদি না হয় তাহলে তারপর যতই হোক না কেন তার মধ্যে ম্যাচিউরিটি কখনোই তার মধ্যে আসে না। প্রথমত আপনাকে অন্যকে পরিবর্তন করার কথা বাদ দিয়ে আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে। 

অন্যের প্রতি দৃষ্টি না রেখে নিজের প্রতি দৃষ্টি রেখে বাস্তব্ধর্মী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের উন্নতি সাধন করা এবং সকলের সাথে আচার ব্যবহার। ভালো করে সকলের সাথে নিলে চলে কি ম্যাচিউরিটি বলে থাকে। নিজের স্বপ্নগুলোকে মেরে ফেলে বাস্তবতার মাঝে এসে পরিস্থিতি কে মুখ বুজে সহ্য করা কি ম্যাচিউরিটি বলে। অনেক মানুষের কাছেই এটি কঠিন বাস্তবতা। 

জীবনে কি আসলেও গেল সে বিষয় নিয়ে ভেঙে না পড়ে কষ্ট না দিয়ে মেনে চলাই হল ম্যাচিউরিটি। আপনার দেহে নয়, মনের বয়স যখন বাড়ি সাধারণত তখনই আসল ম্যাচিউরিটি। কষ্ট পেয়ে লুকিয়ে সিগারেটের দোয়ায় কষ্টকে উড়ানো, সে তো দুঃখ বিলাসিতা এটা কোন ম্যাচিউরিটি হতে পারে না। 

যেইদিন আপনার মা বাবা আপনার চিন্তা ঘুম হবে না, বরঞ্চ উল্টা আপনার চিন্তা হবে যে আপনার মা বাবা ঘুমিয়েছি কিনা, বা তাড়াতাড়ি নিজের যত্ন নিচ্ছে কিনা; ম্যাচিউরিটি তখন থেকেই তৈরি হয়। 

আপনার খারাপ সময় গুলো কে খুশিমনে মেনে নেওয়া এবং সামনের লোকটিকে বুঝতে না দেওয়া যে আপনার খারাপ সময় পার হচ্ছে, এই ক্ষুদ্র চেতনাকে ম্যাচিউরিটি বলে।

কল্পনা নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস

কল্পনা নিয়ে উক্তি যদি মানুষের মধ্যে নাই থাকতো তাহলে আজকে গোটা পৃথিবীকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে পারত না। গোটা পৃথিবীতে যত কিছু আবিষ্কার হয়েছে তা অতীতে কেউ না কেউ পরিকল্পনা করে সব করেছিলো বলেই হয়তো আছে এরও অস্তিত্ব আছে। 

আজ পরিকল্পনা যদি নাই থাকতো তাহলে এই সুন্দর পৃথিবী কখনোই ঘুরে আসা সম্ভব হতো না। জনগণের কল্পনাই হলো, বাস্তব জীবনের আসল ম্যাজিক, যার মাধ্যমে আমরা যেকোনো জায়গায় চলে যেতে পারি। 
পৃথিবীতে যত জনগণ রয়েছে সকলেই কল্পনার মাধ্যমে অজানা এক জায়গা জগতে বেঁচে থাকি। একজন ব্যক্তির জীবন-যাপন করার জন্য জ্ঞানের যেমন প্রয়োজন তেমনি আরো বেশি প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ণ হলো কল্পনা। জ্ঞান হলো সীমিত কিন্তু কল্পনা সারা বিশ্বকে ঘিরে রেখেছে। 

কল্পনার মাধ্যমে আমরা অদৃশ্য জিনিসগুলোকে দেখার চেষ্টা করে যাই। আসলে বলতে গেলে যে মানুষগুলোর মধ্যে কল্পনামূলক চিন্তা ভাবনা নেই তাদের কোনও ডানা নেই। অথচ কল্পনার জগতে আমরা মন খুলে ডানা মেলে উড়তে পারি। 

আমরা আমাদের সুখ দুখ আশা নিহত থাকে আমাদের কল্পনায় এবং যারা সাহসী হয় তারা কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারি।

কল্পনা নিয়ে কিছু কথা

কল্পনা নিয়ে কিছু কথা বলতে গেলে দেখা যায় আমরা প্রায়শই যতটুকু না ব্যথা পেয়ে থাকি তার চেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যায়, এবং দেখা যায় মানুষ বাস্তবতার চেয়ে কল্পনাতে বেশি ভুগি। সাধারণত বাস্তবতার জীবন সীমিত হয়ে থাকি যা আমাদের মনের মধ্যে বাস করে। 

যদি আপনি আপনার কল্পনা শক্তিকে ব্যবহার করেন, তাহলে দেখতে পাবেন যে আপনার সম্ভাবনা গুলিও সীমাহীন হয়ে যায়। আপনারা জানেন কিনা শিশুদের মধ্যে অবশ্যই এক মূল্যবান জিনিস আছে যাকে কল্পনা কল্পনা বলা হয়ে থাকে। 

যেখানে তাদের কল্পনা এমন জীবন তো প্রাণী ও বিভিন্ন জিনিস আছে যা কখনো পৃথিবীতে ছিলই না। আমরা অনেকেই শুনে থাকি বা বলে থাকি যে বাস্তবে তোমায় না পেলেও, কল্পনাতে তুমি শুধু আমার। কল্পনাশক্তি এমন একটা শক্তি যে আমাদের দৃষ্টিশক্তি যতটুকু দেখতে পারি তার চেয়ে কল্পনাশক্তি আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে অনেক দূরে নিয়ে যায়।।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, আপনাদের মধ্যে যদি ম্যাচিউরিটি এর কোনরকম ঘাটতি থাকি তাহলে এই ঘাটেটুকু পূরণের জন্য আপনি আমাদের আর্টিকেল অনুশীল করতে পারে। যার মাধ্যমে আপনি ম্যাচিউরিটি খুব সহজেই এটি পার্টি উড়তে পারবেন। তার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে ম্যাচিউরিটি অর্থ কি? অর্থাৎ যখন আপনি বুঝতে পারবেন ম্যাচিউরিটি অর্থ কি তখন নিজেই নিজের মধ্যে ম্যাচিউরিটি এর ধারাবাহিকতা ধারণ করতে পারবেন। এই সম্পর্কে আপনার যদি কোন মূল্যবান মতামত থাকি তাহলে আমাদের পোষ্টের নিচে মন্তব্য করুন। ধন্যবাদ।।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url