মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় জেনে নিন
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছে যে একজন ব্যক্তির আজীবন সুস্থের গোপন চাবিকাঠি হল লাইফস্টাইল মেনটেইন করা। যা খুবই সহজ। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ডায়েটের পরিবর্তন আনতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
নিয়মিত শরীর চর্চা করার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। যেমন রক্তচাপ স্বাভাবিক করে, চর্বিহীন পেশী উন্নতি করে, করেস্টেরল কমা এবং হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করে। আপনি সুস্থ থাকার জন্য আপনার সুস্বাস্থ্য কিভাবে বজায় রাখবেন তা সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার জরুরি।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন উপায় পাচ্ছেন না।
অনেক জায়গায় খুঁজেছেন স্বাস্থ্য মেইন্টেন করার উপায়, কিন্তু সঠিক পদ্ধতি পান নাই। তাই আপনাদের কথা ভেবে আজকে আর্টিকেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যারা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানেন না আমার আর্টিকেল শুধু তাদের জন্যই।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পরে জেনে নিন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় কী?
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায়
আপনারা কি জানেন নিয়মিত দাঁত মাজা, গোসল করা, খাবার খাওয়ার মত আরো কিছু অভ্যাস আছে যায় একজন ব্যক্তির সুস্থ মনের জন্য খুবই দরকারি। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আপনারা যেমন অনেকেই ব্যায়াম কে যেমন গুরুত্ব দেন, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্যায়ামের মত নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যা আমাদের জানা নেই।
সাধারণত শরীরে কোন অসুখ বাঁধলে যত সহজেই তা উপসর্গ ধরা পড়ে, তেমনি মনের অসুখ উত্তরটা আড়াল থেকে যায়। একজন ব্যক্তির জন্য মানসিক স্বাস্থ্যর সুস্থতা জীবন ও জীবিকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষ চাই যে একদম চাপহীন ও রোগহীন সুখী জীবন যাপন করার জন্য।
আর এমন জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিকল্প নেই। আপনাদের কোন কোন মানসিক সমস্যা আপনাদের বংশগত বা জিনগত হতে পারে। আবার জীবন যাপনে চাপ, যত্নের অভাব, পর্যাপ্ত আলো, ঘুম না হওয়া এগুলো থেকেও মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয় ।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় হল :
১/ মন স্থির করতে মেডিটেশন : প্রতিদিন আপনাকে কয়েক মিনিট মনোযোগের সঙ্গে মেডিটেশন করতে হবে। এই অভ্যাস নিজেকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করবে। মানসিক চাপ কমাবেন এবং আত্মসচেতনতা বোধ বাড়িয়ে দিবেন।
২/ কুড়িল চর্চার বিকল্প নেই : আপনার যে ব্যায়াম করতে ভালো লাগে সেই ব্যায়াম অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সেটা হতে পারে হাটা, যোগাসন অথবা ভরপুর শরীরচর্চা। ব্যায়াম করলে শারীরিক ও মানসিক ব্যথা উপশমকারী এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। এতে প্রফুল্ল থাকে।
৩/ ঘুম কম হওয়া যাবে না : প্রতিদিন রাতে নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে আধ ঘন্টা গভীর ঘুম দিতে হবে। প্রতিদিনের ঝামেলা সামলাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুবই জরুরী শরীরের জন্য।
৪/ বন্ধু সংঘ উপভোগ : পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের যত্ন করতে হবে। ভালোবাসা মানুষের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ে। এতে আপনার সামাজিক যোগাযোগ আরও পুক্ত হয়।
৫/ পরিমিত স্ক্রিন টাইম : আপনাকে অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার তে সময় কাটানো যাবে না প্রতিদিন কতক্ষণ সোশ্যাল মিটারে সময় কাটাবেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খবর দেখার, শোনা ও পড়া থাকবে সীমার মধ্যে। কারণ অতিরিক্ত নেতিবাচক তথ্য মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৬/ ধন্যবাদ দিন : আপনাকে প্রতিদিন এমন কোন তিনটি কাজ করতে হবে যার মাধ্যমে আপনার মনের মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোর্ড জাগিয়ে তোলে। যেমন ডাইরি লেখার মত অভ্যাসে ফেরা যায় ইত্যাদি। এতে করে চিন্তা ভাবনা ইতিবাচক হয়।
৭/ রুটিন মেনে চলা : কাজ, বিশ্রাম, নিজের যত্ন এসব কিছু একটি রুটিন মেনে করা খুবই ভালো। এতে করে প্রতিদিন অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জীবন ফিরে পাবে ছন্দ।
৮/ নিজেকে প্রকাশ : আপনাকে নিজেকে সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে যাতে করে আপনার প্রকাশ ঘটে। যেমন ছবি আঁকা, লেখা অথবা গানের মধ্যে দিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করতে হবে। এই অভ্যাস এক রকম থেরাপীর মত কাজ করে।
৯/ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন : যদি মনের দিক থেকে নিজেকে বেসামাল মনে হয়, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেকেই আছে চিকিৎসকের কাছে যেতে দ্বিধাবোধ করে, এটা করা যাবে না। সুস্থ থাকতে কাউন্সিলিং, থেরাপির খুবই কার্যকর।
১০/ অ্যালকোহল পান করবেন না : অ্যালকোহল শরীরের টক্সিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের গতি অনিয়মিত করে তোলে, মস্তিষ্ক নিজেকে ত্বরান্বিত করে এবং লিভারে এটি কে বিপাক করার চেষ্টা করে ওভারড্রাইভ করে।
এগুলো ছাড়াও আরো খারাপ দিক রয়েছে যা মানসিক স্বাস্থ্য, শরীরের ওজন, ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে। অ্যালকোহল শরীর ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আমাদের শেষ কথা
ইতিমধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আপনারা যারা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে চান আমার এই আর্টিকেল শুধু তাদের জন্যই।
আশা করছি ইতিমধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url