দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ কী দেখে বুঝবো

একটি বয়সের পর মানুষ ঠিকমতো দাঁতের যত্ন নেয় না আর এই জন্যই দাঁতের নানা রকম সমস্যা দেখা যায় তার মধ্যে দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ অন্যতম। আমরা অনেকে আছি যারা দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সার দেখা দিলে বুঝতে পারিনা বা দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কেন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অনেকেরি অজানা। আপনারা যারা দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ ও অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনাকে পুরো পোস্টটা মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তাহলে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর অনেক মানসিক ভুগছে। এটি একটি মরণব্যাধি রোগ তাই আমাদের আগে থেকে সতর্ক হতে হবে। যাতে দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ দেখে বুঝতে পারি এবং সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ কী দেখে বুঝবো?

ভূমিকা

দাঁত হচ্ছে মানুষের সৌন্দর্যের একটি অংশ এবং মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একটু ভূলের জন্য বা কিছু কিছু কারনে আমাদে দাঁত নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা পড়তে হয়। আজকে আমরা জানবো, দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ কি দেখে বুঝবো, দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়, দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমানোর উপায়, দা, ব্যথা হলে করণীয় উপায় এবং দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো আপনাদের মাজে একে একে তুলে ধরবো।

দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ

দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝবো কীভাবে? আমাদের মনে এমন প্রশ্ন জাগে। এমন প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক কারণ দাঁতের মাড়ির ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা কয়জনই বা জানি। চলুন যেনে নেওয়া যাক দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে। অনেক ক্ষেত্রেই মাড়ির কোন অংশ থেকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হবে। 


আবার দেখা যাবে মাড়ির নিচের দিকে মাংস বেড়ে যেতে কিংবা অস্বাভাবিক ফুলে ওঠেছে। এ ক্যান্সারে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাথা থাকে না। সাধারনত আমরা দাঁতে মাড়িতে ঘা বা ব্যথার অনুভব হলে তেমন একটা পাত্তা দেই না। কারণ এগুলো সামান্য যত্নে সেরে ওঠে। কিন্তু এটাকে ছোট করে নিলে চলবে না, দাঁতের মাড়িতে ব্যথা বা মুখের মধ্যে ঘা অনেক সময় ক্যান্সারের পূর্বাভাস। 

তবে অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে মাথা থেকে ঘাড়; এই অংশের মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে কম। তবে, বিরল হলেও দাঁতের মাড়ি, মুখ, গলা কন্ঠনালি, লালাগ্রন্থি, নাকের গর্ত এবং সাইনাস ক্যান্সার পরিসংখ্যান অনেকটাই বেশি। 

তাই আমাদের উচিত বছরে দুইবার দাঁতের আশেপাশের অঞ্চল পরীক্ষা করে সতর্ক থাকা উচিত। পরীক্ষার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা ডেন্টিস্টের কাছে ধরা পড়ে। ফলে ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে তা অনেক সময় সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব হয়।

দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে করণীয় কি জেনে নেই

দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন এটি একটি মারাত্মক সমস্যা। এখন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষি মাড়ির নানা সমস্যায় ভুগছে এর মেইন কারণ হচ্ছে আমরা মুখের পরিচর্যা বা দাঁত ব্রাশ করে থাকি এটি অনেক সময় টিক মতো হয় না সময় মতো হয় না। যার কারনে হয় কী মুখের ভিতরে ডেটলপ্লাক, প্লাক মানে হচ্ছে পিচ্ছিল খাবার যেটার মাধ্যমে জীবাণু বাসা বাদে। 

এই জীবাণুর জন্য দাঁতের উপরে এবং মাটির উপরে প্রলেপ পড়ে। প্রলেপের পিচনে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো জমে থাকে। ব্যাকটেরিয়া গুলো মাড়ির উপরে সংক্রমণ করে যার কারনে ইনফেকশন হয় এবং মাড়ি ফুলে যায়। আবার আমরা কিছু আঠালো খাবার খেয়ে থাকে। আঠালো খাবার গুলো মাড়ির চারিদিকে জমে থাকে তার কারোনে মাড়িতে খাবার গুলো জমে শক্ত হয় যায় এবং ধীরে ধীরে এটি পাথরে রূপান্তরিত হয়। 

যার কারনে মাড়ি ফুলে যায়, মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে এবং মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। এভাবে আমাদের মাড়িতে ইনফেকশন হয়ে যায়। একজন ইনফেকশন আক্রান্ত রোগীর করণীয় হলো নাস্তা খাওয়ার আগে কুলি করে নিতে হবে এবং খাওয়ার পরে ভালো করে ব্রাশ করে নিতে হবে এবং রাতে শোবার আগে ব্রাশ করে নিতে হবে। যতটা দাঁত এবং মাড়িকে ফ্রেশ রাখা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। 

এছাড়াও যদিও কিছু মাউথওয়াশ এর কথা বলা হয় সাময়িক অল্প সময়ের জন্য মাউথওয়াশ করা যায় এবং মুখে যদি পাথর বা প্লাগ থেকে কারনে ইনফেকশন আক্রান্ত হয় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁত স্কিলিন করে নেয়া উচিত। 

যদি আপনি বছরে একবার দাঁত স্কিলিন করে নেন তাহলে দাতে ইনফেকশন হওয়া সম্ভাবনা থাকবে না। আপনাকে সময় মতো এবং ভালো করে দাঁতের পরিচর্যা করতে হবে। তাহলে ইনফেকশন ও অন্যান্য সমস্যা থেকে বিরত থাকবেন।

মাড়ির ইনফেকশন সারতে কতো দিন লাগে

আমাদের সবার মনে একটি প্রশ্ন বার বার সারা দেয় যে মাড়ির ইনফেকশন বা জিঞ্জিভাইটিস সারতে কতো দিন লাগে? চলুন যেনে নেওয়া যাক মাড়ির ইনফেকশন বা জিঞ্জিভাইটিস সারতে করো দিন লাগে। নিয়মিত দৈনিক যত্ন সহকারে দুই থেকে তিন সপ্ত ভালো করে মাড়ির বা দাঁতের যত্ন নিলে মাড়ির ইনফেকশন বা জিঞ্জিভাইটিস সারতে পারবে। 

আবার দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে জিঞ্জিভাইটিস উল্টে যেতে পারি। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস না করা হয় তবে এটি দ্রুত পিরিয়ডোনটাইটিসে পরেণত হয় । তখন যে ক্ষতি হয়ে যাবে সেটি কখনো আপনি ফিরি আনতে পারবেন না। তাই আগে ভাগে ডাক্তারের পরামর্শ দাঁতের যন্ত্র নিতে হবে

ঘোরোয়া পদ্ধতিতে মাড়ির রোগ দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আলোচনা হয়ে গিয়েছে দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ, দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে করণীয় এবং তাতেদিন ইনফেকশন সারতে কতদিন লাগে। কেমন হয় ঘোরোয়া পদ্ধতিতে মাড়ির রোগ দূর করার উপায় যানা থাকে। 

চলুন যেনে নেওয়া যাক গণপতিতে মাড়ির রোগ দূর করার উপায়। প্রতি দিনি আমাদের মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করে যাতে যত্ন নিতে হবে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবার খেতে হবে খাবার খাওয়ার পরে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে এবং ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে। 

এভাবে প্রতিদিন দুইবার করে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে এবং দাঁত সব সময় ফ্রেস রাখতে হবে। আবার মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ। যা ব্যবহারে ফলে আমপার মুখের ভিতরে থাকা জীবাণু ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

আমাদের শেষ কথা

ইতিমধ্যে দাঁতের মাড়ির ভিবিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায় আপনার জেনে গিয়েছে আগে যেগুলো আপনার অজানা ছিলো আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরছেন। এখন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো দিয়ে আমাদের সাথে থেকে জেনে নিন অজানা তথ্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url