নিয়মিত আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন
নিয়মিত আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশে বহু মানুষ রয়েছে যারা আদা-চা খেতে একটু বেশি পছন্দ করি থাকে। পরিবার বা বন্ধু বান্ধব দের সাথে আড্ডা দিয়ে অনেক ভালো লাগে তার সাথে যদি এক কাপ আদা-চা হয় তাহলে তো আর কোনো কথা নাই।
আমরা কম বেশি সকলেই আদা-চা খেয়ে থাকি কিন্তু কয় জন জানি নিয়মিত আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে কী না। চলুন যেনে নেওয়া যাক নিয়মিত আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আলোচনা করা হবে আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও চা এর অন্যান্য দিক নিয়ে। আদা-চা খেলে আমার কী কী উপকার পেয়ে থাকি, আচা-চা বানানোর নিয়ম, লাল চা খেলে কী হয় এমন এমন গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে যানেন না আমার আর্টিকেলস তাদের জন্য। মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেল গুলো পড়ে জেনে নিন আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা।
নিয়মিত আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিত
আমাদের মধ্যে অনেক আছে যে চা খেতে খুব পছন্দ করে থাকে। এক কাপ লাল চায়ের সাথে যদি ছোট এক ঠুকর আদা পাওয়া যায় তাহলে তো আর কোনো কথাই নাই। চাও খাওয়া হলো এবং আদার গুনে শরীরের নানা ছোটবড় রোগ থেকে মুক্তি পেলো কারন আদাতে রয়েছে ঔষধি গুন। আদাতে পাওয়া যায় ভিটামিন এ, সি, ই এবং বি-কমপ্লেক্সের ভালো উৎস রয়েছে আদাতে।
আরো পাওয়া যায় ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিম্ক এবং বিটা ক্যারোটিন পর্যন্ত পরিমাণে পাওয়া যায় আদা থেকে। প্রতি দিন সকালে উঠে যদি এক কাপ আদা-চা খাওয়া যায় তাহলে একাধিক রোগ-ব্যাধি মানব দেহ থেকে দূরে থাকবে। এছারাও কী কী সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? চলুন যেনে নেওয়া যাক।
১/ ওজন এবং ব্লাডে সুগার কমিয়ে থাকে
আপনার শরিরে অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য ডাক্তার থেকে পরামর্শ নিলে ডাক্তার সর্বপ্রথম আদা দেখিয়ে দিবে কারন শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে অন্তত কার্যকরী হলো আদা। আর এই আদা সারা শরীর কয় জনি বা খেয়ে থাকে বেশি ভাগ মানুষি আদা চার সাথে ব্যবহার করে খেয়ে থাকে। আদাকে চার সাথে মিশিয়ে খেলে এটি থেকে আরো বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
১/বাম চোখ লাফালে কি হয় ইসলাম কী বলে
২/ঈদ উপলক্ষে Suzuki কত টাকা ডিসকাউন্ট দিচ্ছে জেনে নিন
আদা-চা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরের থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে থাকে এবং নতুন করে ফ্যাট হতে বাধা দেয়। তাই আপনার শরীরের ওজন কমাতে চাইলে আদা-চা হতে পারে এক মাত্র উপায়। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও আদা-চা এর কোন বিকল্প নেই।
আদা-চা মানব দেহের ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বেশি বেশি আদা-চা খাওয়ার কারনে মানব দেহের সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করতে বাধা দেয় যায় কারনে
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই প্রয়োজনের উপাদান আদা-চা।
২/ ব্যথানাশক রোখ থেকে মুক্তি দেয়
বতর্মান প্রতি টা পরিবারে ব্যথায় আক্রান্ত রোগি পাওয়া যায়। বিশেষত মহিলা এবং বয়স্ক লোকদের মধ্যে এই রোগে প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। আমরা কিন্তু অনেক যানি না বা যানলে অবাক হবেন যে এই রোগ থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারেন আদা-চা খেয়ে। আদাতে পাওয়া যায় জিঙ্জেরল নামক উপাদান।
এই উপাদানটি মানব দেহের ব্যথা কোমানোর পাশাপাশি প্রদাহনাশ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা ব্যথায় ভূগছেন তারা প্রতি দিন এক কাপ আদা-চা খেয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৩/ ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী
ক্যানসার এই রোগ টির কথা শুনলে বুক কেপে উঠে কার এই রোগে আক্রান্ত কারীর জীবনের কষ্টের সীমা থাকে না। ক্যানসার রোগীর পাশাপাশি ভুগতে হয় তার পরিবারের লোকজন কেও। কেমন হয় যদি কোনো প্রকারে ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি ভালো করার উপায় পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়।
ক্যান্সারের আশঙ্কা থেকে মুক্তি দিতে পারে এক কাপ আদা চা। আদা নিয়ে ভিবিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এবং গবেষকরা প্রকাশ করেছে যে আদায় থাকে জিজ্ঞেরল ও শ্যাগল নামক দুইটি উপাদান পাওয়া যায় যা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে থাকে। এমন কী দেহ থেকে মৃত কোষ গুলাকে বের করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই দুইটি উপাদান। ফলে ক্যান্সারের আশঙ্কা থেকে অনেকটা সুবিধা পাবেন আদা-চা থেকে।
৪/ মস্তিষ্কের বন্ধু আদা-চা
বতর্মানে একটু বয়স হলে মস্তিষ্ক থেকে পুরোনো স্মৃতি সব হারিয়ে যায়। মস্তিষ্কের দারুন ক্ষমতা হারিয়ে যাই এই রোগ কে ডিজেনারেটিভ ডিজেজ রোগ বলে থাকে। মূলতো অক্সিডেটিম স্ট্রেস ও প্রদাহজনিত কারণে এমনটা হয়ে থাকে। এর রোখের আক্রান্ত রোগি ধীরে ধীরে সব কিছু ভূলে ফেলে। আচা-চা মস্তিষ্কের ডিজেনারেশন রোধ করতে সক্ষম হয়। যার ফলে এই ধরনের রোগ লোক দের কাছে থেকে দূরে থাকে।
৫/ ব্লাড প্রেশার কমাতে সিদ্ধহস্ত
আমাদের উচিৎ প্রতি দিন এক থেকে দুই কাফ আদা-চা খাওয়। এতে মানব দেহের একাধিক উপকারে আশে। বিশেষ করে যাদের ব্লাড প্রেশার রোগ ভুগছেন তারা অবশ্যই আদা চা খান। নিয়মিত আদা চা খেলে আপনার ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
এমন কী রক্তে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে থাকে। যার কারনে রোগীর হার্ড সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আদা-চা। তাই ব্লাড প্রেসার এর মত এবং হার্ট সুস্থ রাখতে নিয়মিত আদা-চা খাওয়া উচিত।
আদা-চা কখন খাওয়া ভালো
আমরা ইতিমধ্যে নিয়মিত আদা-চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন থেকে কম বেশি সবাই আদা-চা খাওয়ার চেষ্টা করবো প্রতি দিন তাই আমাদের যানতে হবে আদা-চা কখন খাওয়া ভালো। চলুন যেনে নেওয়া যাক আদা-চা কখন খাওয়া ভালো। আদা-চা হলো ঔষধি ক্ষমতা সম্পূর্ণ একটি উপাদান।
এটি আমাদের নানা ছোটখাটো রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং হজমে সহায়তা করে থাকে। তাই আমরা খালি পেটে বা খাবারের আগে কিংবা সকালে আদা-চা খাওয়া বেশি ভালো হবে। আমরা সকলে চেষ্টা করব সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ আদা চা খাওয়ার জন্য।
আদা-চা তৈরি নিয়ম
বর্তমানে কমবেশি সবাই আদার চা খেতে পছন্দ করি। তার জন্য আদা-চা খাওয়ার জন্য আমাদের বাজারে বা কোনো টি স্টলে যেতে হয়। কেমন যদি বাড়িতে আদা-চা তৈরি করা যায়। চলুন যেনে নেওয়া যাক আদা-চা তৈরি নিয়ম। প্রথমে একটি পাত্র পরিমাপ কত পানি নিন। পানি নেওয়া হয়ে গেলে পরিমাণ মতো আদা নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিনি।
তার পরে আদা টাকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিনি।এবার পানিতে দিয়ে আদার টুকরো গুলো ভালোকরে ফুটিয়ে নিন। এবার পানিতে পরিমাণ মতো গ্রিন টির ব্যাগ ও কয়েক টুকরো দারুচিনি ফেলে দিন। মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে তার পরে গরম থাকা অবস্থায় আদা-চা পান করবেন। এভাবে চা তৈরি করে দিনে দুইবার আদা-চা খেতে পারে শরিরের ভোলো ফল পাওয়ার জন্য।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকেরে আর্টিকেলে নিয়মিত আদা চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপনারা যারা নিয়মিত আদা চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না আমার এই আর্টিকেল শুধু তাদের জন্যই।
আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা নিয়মিত আদা চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url