ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ড্রাগন ফল অতি জনপ্রিয় একটি ফল, তাই ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। এই ড্রাগন ফলটি বাহিরের দেশের হলেও আমাদের দেশের জন সমাজে জায়গা করে নিয়েছে। এখন আমাদের দেশের কৃষকেরা বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে থাকে। এটি আমাদের দেশি ৪টি কালারে দেখতে পায় যেমন : লাল,সাদা, গোলাপী এবং হলুদ হয়ে থাকে
সাধারনত ড্রাগন ফল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জনপ্রিয় একটি ফল তার পাশাপশি আমাদের দেশেও তার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ড্রাগন ফল চাষ করার আগে অবশ্যই ড্রাগন ফল চাষ পথের সম্পর্কে বিস্তারিত চিহ্নিত হবে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
ভুমিকা
প্রিয় পাঠক আমাদের এয়ার টিকেটের মধ্যে অতি জনপ্রিয় একটি ফল ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না আমার এই আর্টিকেল শুধু আপনাদের জন্য
ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি জেনে যদি আমরা চাষাবাদ করি তাহলে এই বাহিরে দেশের ফলটি সহজেই চাষ করি ভালো ফলন ফলাতে পারবো। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ যা আমাদের দেহকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ড্রাগন ফলটি বেশি চাষ হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবিয়ান, অস্ট্রেলিয়া, মেছো আমেরিকা এবং বিশ্বের গ্রীষ্মের মন্ডলীয় ও উপক্রান্তি অঞ্চলে।
এখন এটি আমাদের দেশের কৃষকের মন জয় করে নিয়েছে। সর্বপ্রথম আমাদেরকে ভালো মানের ড্রাগন ফলে চারা নির্বাচন করে নিতে হবে। ভালো মানের ফল উৎপাদন করতে হলে অবশ্যই ভালো মানের যারা নির্বাচন করতে হবে এবং জাত নির্বাচন করতে হবে। ড্রাগন ফল চাষ করার আগে চাঁদ সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত। কারণ ড্রাগন ফলের ভালো জাত চেনা না থাকলে যারা সংরক্ষণ করতে গিয়ে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে। উন্নত মানের ড্রাগন ফলের জাতগুলো নিচে দেওয়া হল।
১/ ড্রাগন ফলের জাত নির্বাচনঃ
- বারি ড্রাগন ফল - এক
- বাউ ড্রাগন ফল -১(সাদা)
- বাউ ড্রাগন ফল -২(লাল)
- বাউ ড্রাগন ফল-৩
এই জাত গুলা হলো ড্রাগন ফরের উচ্চ ফলনশীলের জাত যা চাষ করে অনেক কৃষক লাভ বান হচ্ছে। জাত নির্বাচন হয়ে গেলে এরপর আমাদের ডাগন ফল চাষ করার জন্য জমিয়ে নির্বাচন করতে হবে। ভালো জমি না নির্বাচন করতে পারলে কখনোই ড্রাগন ফল টাচ করে লাভবান হতে পারবে না।
২/ ড্রাগন ফল চাষের জন্য জমি নির্বাচনঃ
ড্রাগন ফল চাষের জন্য জমি নির্বাচন করার সময় আমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে জমিটা যাতে উঁচ হতে হবে যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে এবং জমিটা যথেষ্ট পরিমাণে উর্বর হতে হবে। যদি জমি উর্বর না মনে হয় তাহলে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার এবং রাসায়নিক ব্যবহার করে জমি ভালো করে পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে চাষ করে নিতে হবে।
জমিটা সুন্দরভাবে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে যাতে কোন আগাছা ড্রাগন ফলে জমিতে না হয়। জমিতে ভালো করে ২ থেকে ৪ মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে হবে। তুমি তৈরি করা হয়ে গেলে এখন জমিতে ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করতে পারে।
ড্রাগন ফলের চারা রোপন পদ্ধতি
ড্রাগন ফলে চারা রোপণ করার জন্য জমিতে আগে গর্ত তৈরি করে নিতে হবে। একটি গর্ত থেকে আরেকটি গর্তের দূরত্ব হবে 3 মিটার থেকে 3.50 মিটার পযর্ন্ত এর চেয়ে বেশি না দেওয়া বা এর চেয়ে কম না দেওয়াই ভালো। সম্পূর্ণ জমিতে গর্ত হয়ে গেলে কিছু দিন ফেলে রেখে দেন যাতে গর্ত ভিতরে পোকামাকড় যাতে মারা যায়।
কিছু দিন যাওয়া পরে কিছু জৈব সার এবং রাসায়নিক সার দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে দিতে হবে। গর্তের ভিতর যে পরিমাণের সার দিতে হবে যেমন :
- ৩০ থেকে ৪০ কেজি পচা গোবর
- আড়াইশো থেকে ৩০০ গ্রাম টিএসপি
- আড়াইশো গ্রাম এমওপি
- 50 গ্রাম জিংক সালফেট
প্রতিটা গর্তে এভাবে জৈব ওর রাসায়নিক সার দিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। ভরাট করার ১০ থেকে ১৫ দিন পরে চারা রোপন করতে পারেন। যারা রোপন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে একটি চারা থেকে আরেকটি তারার দূরত্ব কমপক্ষে ৫০ সেমি দূরে হয়ে থাকে। এভারে দূরত্ব বজায় রেখে একটি গর্তে ৪ টি করে চারা রোপন করতে হবে। সঠিক নিয়ম মেনে ড্রাগন ফল চাষ করলে আশা করি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা
ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এতো কখন আমরা ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ড্রাগন ফল চাষ করতে হলে আমারদের ড্রাগনফল পরিচর্যা সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। চলুন যানা যাক ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে। ড্রাগন গাছে যখন সেচের দরকার হবে তখন খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো ভাবে ড্রাগন গাছের গোড়াই যাতে সেচের পানি জমে না থাকে সেই দিখে লক্ষ রাখতে হবে।
ড্রাগন গাছের গোড়াই যদি পানি জমে থাকে তাহলে ড্রাগন গাছের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ড্রাগন গাছের ডালপাতা লতার মতো হয়ে থাকে এতে ড্রাগন গাছ মাটিয়ে পরে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে এবং পরে যায়। মাটিতে ড্রাগন ফলে গাছ পরে গেলে ফলের এবং গাছে দুইটারি ক্ষতি হবে। যাতে ড্রাগন ফলের গাছ মাটিতে পরে না যায় তার জন্য ড্রাগন গাছ হালকা বেড়ে উঠার সাথে সাথে গাছের জন্য শক্ত খুঁটির বেবস্থা করতে হবে।
ড্রাগন ফলের জমি সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবে। এবং নিয়ম অনুযায়ী গাছে সার দিতে হবে ড্রাগন ফলের গাছে। আর খেয়াল রাখতে হবে পাতা জেনো হলুদ /বাদামী না হয় যদি হয় তাহলে সংশোধন করার জন্য মাটিতে ফ্লাশ করুন।
ড্রাগন ফলের গাছের রোগ নির্ণয়
ড্রাগন ফল চাষ করতে যেমন ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে তেমনি এখন ফল চাষ করতে হলে ড্রাগন ফলের গাছের রোগ নির্ণয় করাও জানতে হবে। যদি ড্রাগন ফল গাছের রোগ নির্ণয় আয় করতে পারি তাহলে বুঝবো কিভাবে যে ড্রাগন ফল গাছে রোগে আক্রান্ত করেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের গাছের রোগ নির্ণয় করার উপায়। ড্রাগন ফলের কাছে একটি রোগ বেশি দেখা যায় কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ এই রোগটি হয়ে থাকে।
কাণ্ড ও গোড়া পঁচা রোগ নির্ণয় করার উপায় : এই রোগটি সাধারণত ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হতে পারে। এই রোগ হলে আমরা দেখতে পারবো গাছের কান্ডে হলুদ ভাব এবং পরে কালকে ভাব ধারণ করেছে। হলুদ ভাব থেকে কালসে বা কালো রঙে চলে আসলে ওই অংশে পছন্দ ধরা শুরু হয়ে যায়। ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ তাই এটা ধীরে ধীরে গোটা বাগানে ছড়িয়ে যায়। কাণ্ড বা ঘোরা প্রচারক দমন করার জন্য যেকোনো ছত্রাক নাশক(বেভিস্টিন, রিদোমিল, থিওভিট) ইত্যাদি প্রয়োগ করার মাধ্যমে এই রোগ দমন করা যায়।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমাদের আমাদের এই আর্টিকেল এর মধ্যে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপনারা যারা ড্রাগন ফল চাষ পদে সম্পর্কে জানেন না তাহলে আমার এই আর্টিকেল শুধু আপনাদের জন্যই।
আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গিয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটা বল দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url