ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
ড্রাগন ফল অতি জনপ্রিয় একটি ফল, এই ড্রাগন ফলটি বাহিরের দেশের হলেও আমাদের দেশের জন সমাজে জায়গা করে নিয়েছে। এখন আমাদের দেশের কৃষকেরা বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে থাকে তাই ড্রাগন ফলের উনকারিতা সম্পর্কে যানার আগ্রহ থাকে। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা যা মানব দেহের জন্য খুবই প্রয়োজন।
ড্রাগন ফলে রয়েছে বিভিন্ন মরণবেদী রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা। সারা দেশের জনগণ এই ফলটি কে নানা নামে নানা ভাবে চিনে। কিন্তু ড্রাগনে ফলের উপকারিতা সম্পর্কে কয় জন যানে। চলুন যেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আমার এই আর্টিকেলের মধ্যে ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর আলোচনা করা হয়েছে ডাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ আরো বিভিন্ন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে ও অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেল শুধু আপনার জন্যই।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। ড্রাগন ফল কেন খেতে না পছন্দ করে এমন লোক পাওয়া মুশকিল। ড্রাগন ফল খাওয়া আগে ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন দেরি না করে যেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফলটি হলো এক ধরনে ফনিমনিসা প্রজাতির ফল।
আমরা এই ফলটিকে ড্রাগন ফল মানে চিনে থাকি যা আজ কাল জনগণের মন জয় করে নিয়েছে ফলটি। সাধারণ ড্রাগন ফলটি বেশি চাষ হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবিয়ান, অস্ট্রেলিয়া, মেছো আমেরিকা এবং বিশ্বের গ্রীষ্মের মন্ডলীয় ও উপক্রান্তি অঞ্চলে। আজকে আলোচনা করা হবে ড্রাগন ফলের উপকারিতা নিয়ে।
আমরা অনেক ড্রাগন ফল সম্পর্কে অনেক কিছূ যানি আমার অনেক কিছুই যানি না। যারা জানেন না আমার এই আর্টিকেল তাদের জন্য। ড্রাগন ফলটি হলো কোম ক্যালোরি যুক্ত এবং ফাইবার বেশি প্রচুর পরিমানের ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে আর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী ফল।
আমাদের দেশে ড্রাগন ফল চারটি রংয়ের পাওয়া যায় যেমন, লাল, সাদা, গোলাপী এবং হলুদ রংয়ের ড্রাগন ফল দেখতে পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল ত্বক উজ্জ্বল, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। আবার ড্রাগন ফলটি হার্ড কে সুস্থ রাখতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে।
কারন এই ফলটির মধ্যে রয়েছে আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুন আর শক্তি যা মানুষের রক্তে খারাপ কোরেস্ট্রলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল ওজন কমাতেও আদর্শ খাবার। ড্রাগন ফলের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ নেই বললেই চলে আর ড্রাগন ফল শরিরকে সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং তার সাথে সাথে পাকস্থলীর প্রক্রিয়া পরিষ্কার রাখি।
ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিয়ে থাকি। ডাইবেটিক নিয়ন্ত্রণেও কিন্তু ড্রাগন ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ড্রাগন ফল রক্তের শতকরার মাত্রা কমায় এবং চিনির মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন পাওয়া যায় যা ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আবার ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার জুকি একে বারে কমে যাবে। ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা হারকে মজবুত এবং শক্তিশালী করে তুলে এবং চুল পড়া রোধ করতেও এই ফল এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমরা নিয়েমিতো ড্রাগন ফল না খেতে পারলেও সপ্তাহে ১ থেকে ২ টা ড্রাগন ফল খেলে এই রোগগুলো থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে। আশা করছি ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের ধারনা চলে এসেছে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
আমরা ইতিমধ্যে ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আমরা কমবেশি সকলি ড্রাগন ফল খেতে পছন্দ করে থাকি। ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম। প্রথম এ ড্রাগন ফল গুলো ভালো ভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এতে ফলের গায়ে জমে থাকা ধুলো বালি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাপরে খোসা ফেলে দিয়ে সাধারণ ফলের মতো করে কেটে নিয়ে খেতে পারেন তবে রান্না করে না খাওয়াটাই ভালো হবে। কারণ ড্রাগন ফল রান্না করলে এর গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায় তাই ড্রাগন ফল রান্না করে না খাওয়াটাই ভালো।
এছাড়া জুস করেও খেতে পারেন খোসা ফেলে দিয়ে ব্লেন্ডার এ 100 থেকে 150 গ্রাম পানি দিয়ে তার পর এক থেকে দুইটা ড্রাগন ফল ব্যালেন্ডার দিয়ে জুস করে খেতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য ফল যেভাবে খায় এটাও ঠিক সেই ভাবে কেটে নিয়ে খাওয়া যাবে। ড্রাগন ফল সালাতের মত কেটেও খেতে পারেন আবার ড্রাগন ফলটি মাঝামাঝি ভাগ করে চামচ দিয়ে তুলে নিয়ে খেতে পারেন তাতে কোনো সমস্যা নাই।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছি যে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম। আপনারা কী এটা যানেন গর্ভাবস্থায় থাকা কালিন ড্রাগন ফলের উপকারিতা কেমন। আসলে এই বিষয়ে তেমন কারো আইডি নাই। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিটা সম্পর্কে। সম্ভবত অনেক মা রয়েছে যারা গর্ভবতী অবস্থায় এখন তো খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।
ড্রাগন ফলে রয়েছে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ যেমন ভিটামিন, খনিজ এবং আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে থাকে। রক্তের শতকরা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারী ফল এতে ভিটামিন বি, ফলেড এবং আইরন রয়েছে তাই এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। ভিটামিন বি এবং ফলেট নবজাতক কে ত্রুটি রোড করতে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় শক্তির সহায়তা করে থাকে ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলে আরো পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম যা নবজাতকের হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং গর্ভবতী মায়ের শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল খেলে হার্ডে সমস্যাও খুব কম হয়। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিটা। তাই গর্ব অবস্থায় থাকাকালী ড্রাগন ফল খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং গর্ভাবস্থায় ডাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপনারা যারা এ বিষয়ে কেমন জানেন না আমাদের এই আর্টিকেল শুধু আপনাদের জন্য।
আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url