কাঁচ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঁচ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা কয়জন জেনে খেয়ে থাকি? উপকার চেয়ে উপকারিতায় বেশি পাওয়া যায় কাঁচ আমরা তা যানি না। এমন কয়জন মানুষ রয়েছে যারা কাঁচ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা ও কলা খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে জানি। সাধারণত আজকে আমরা কাঁচ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব এবং কাঁচকলা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হবে।


আপনারা যদি নিয়মিত কাঁচ কলা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা বা জানতে হবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন কাঁচ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কাঁচ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঁচ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে শুনে তারপরে আমাদের নিয়মিত কাঁচকলা খাওয়া দরকার। আমরা প্রতিদিন যে সকল সবজি রান্না করে খেয়ে থাকি তাদের মধ্যে কাঁচ কলা উন্নতমো সবজি। কাঁচ কলাতে রয়েছে পচুর পরিমাণে পুষ্টিগুনের উপাদান যা অন্যান্য সবজি থেকে এতো পুষ্টিগুন এক বারে পাওয়া যায় না যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

কাঁচ কলাতে অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানি ইত্যাদি যা আমাদের স্বাস্থ্য কর রাখতে সাহায্য করে। কাঁচকলা সুবিধার মধ্যে অন্যতম হলো এটি কোরেস্ট্রল রাস করতে সাহায্য করে যেহেতু কাচা কলাতে প্রচুর পরিমানে উপকারী স্টার্টস রয়েছে এটি হজমের উন্নত করে তবে তার পাশাপাশি খারাপ কোরেস্ট্রল রাস করতেও সাহায্য করে। 

হৃদরোগের ঝুকি রাস করে তাই যাদের শরীরে বাজে কোলেস্ট্রল এর পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে তারা খাদ্যের তালিকায় কাঁচকলা রাখুন। কাঁচকলা মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে পারি কাঁচা কলা সেবন করলে মাথাব্যথা তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায় কারণ এতে উপস্থিত পুষ্টির উপাদান গুলো মেজাজ পরিবর্তন ও ভালো রাখতে পাশাপাশি ব্যথা নিরাময় সাহায্য করে থাকি। 

কিছু গবেষণা অনুযায়ী কাঁচা কলাতে প্রচুর পরিমাণে যৌগ থাকে যা ব্যথা কমায় ব্যথা কি শিথিল করে। কাঁচকলাতে উচ্চ পরিমাণ ফাইবার পাওয়া যায়, কাঁচা কলাতে যে পরিমাণের ফাইবার রয়েছে তা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। সিদ্ধ কাঁচা কলাতে প্রচুর ফাইবার থাকে। 

সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে কাঁচকলা আমাদের ডায়াবেটিস ঝুঁকিকে রাস করতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত ডায়েটে কাঁচ কলা অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে গ্যাস এসিডিটি সমস্যা যেমন কম হয় বাউল মুভমেন্ট ভালো হয় এবং নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে। কাঁচকলা পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে থাকে। 

                              ্আ‌রো পড়ুনঃপাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাnull

কাঁচকলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে যা মাংসপেশির সমস্যা দূর করে থাকি। তাই যাদের মাংসপেশিতে সমস্যা বা ব্যথা রয়েছে তারা সবজি হিসেবে কাঁচা কলা নিয়মিত খেতে পারেন। কাঁচ কলা ডায়রিয়া অপশনে দারুন উপকারী কাঁচা কলার মধ্যে এন্টি ডায়রিয়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কাঁচা কলা খাওয়ার আগে ভালো করে পরিষ্কার ধুয়ে নিন তারপরে সেদ্ধ করে এটি কাঁচ কলা খান। 

এটি সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাল সংক্রমণ রোধ করে। এছাড়া ডায়রিয়ার অনেক ক্লান্তি ও পেটের ব্যথার সমস্যা হলে তাও দূর করতে সাহায্য করে কাঁচকলা। কাঁচ কলা মানব দেহের চর্বি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কাঁচ কলার উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকি। 

এই পটাশিয়াম রক্তনালী ও ধমনীর চাপ কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ফলে প্লাগ জমে ধমনী শুরু হয়ে যাওয়ায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুকি একে বারেই কমে যায়। কাঁচ কলা আমাদের শরীরের পুষ্টি শশুর বাড়ায়, কাঁচ কলার মধ্যে যে শর্ট চেন ফ্যাটি এসিড রয়েছে তা শরীরের পুষ্টির সহয়তা করে থাকে। 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এ ধরনের ফ্যাটি এসিড শরীরের পুষ্টি শোষণের বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং ক্যালসিয়ামের শোষণ ভারাতেও সাহায্য করে থাকে। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা খেলে হারের বিভিন্ন রোগ ও ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হয় সাথে দাঁত ও হার মজবুত করতেও সাহায্য করে।

কাঁচ কলায় ডায়াবেটিসের উপকারিতা

কাঁচ কলা আমরা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি কিন্তু জানিনা কাঁচ কলা আমাদের দেহে কোন কোন রোগ নিরাময় করে। কাঁচকলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরেরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকি। কাঁচ কলায় ডাইবেটিসের উপকারিতা অনেক যা আমরা সকলে যানি না। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচ কলায় ডাইবেটিসের উপকারিতা। কাঁচ কলা খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী। কাঁচ কলা মিষ্টি হয় না এটি রক্তের সুগারের পরিমাণ রাস করে। রক্তের সুগারের পরিমাণ হ্রাস করলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ থাকি। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা কমু তে খাবারের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হয়। 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়ম কাঁচকলা খেতে পারলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় থাকে। এবং কাঁচকলা আমাদের হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। আমাদের শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং পেটের সংক্রমণ রোধ করে। যাদের পেটে ব্যথা অথবা যাদের পেটে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে পাচন প্রক্রিয়া উন্নতি ঘটবে। 

আর যানলে অভাক হবেন যে কাঁচ কলা ওজন কমাতে দারুন ভূমিকা পালন করে থাকি। কাঁচা কলা খেলে দীর্ঘক্ষন পর্যন্ত পেট ভরা থাকে যার পর ফলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি হয় না পেট ভরা থাকে খাবার চাহিদা কম হয় এবং ওজনু নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কাঁচ কলা খাওয়ার নিয়ম

কাঁচ কলা সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত এবং সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। কিন্তু আমার কেউ তেমন যানিনা কাঁচ কলা খাওয়ার নিয়ম। কাঁচ কলা খাওয়ার আগে কাঁচ কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচ কলা খাওয়ার নিয়ম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একটি বড় সাইজের কাঁচ কলা অথবা দুইটি মাঝারি সাইজের কাঁচ কলা সিদ্ধ করে খেতে পারেন। 

শিশুদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা আরেকটু কমিয়ে দিবেন। কাঁচা কলা অল্প আছে সেদ্ধ করার পরে এটিকে চড়িয়ে দিবেন। এটিকে ভালো করে চটকে এভাবে রোগীকে খাওয়ানো অনেক ভালো। তবে খেতে যদি বিষাদ অনুভূতি হয় অল্প পরিমাণে বিট লবণ ও গোলমরিচের গোরা মিশ্রণ করে খেতে পারেন। 

এছাড়া কাচা কলা খাওয়ার আর একটি পদ্ধতি রয়েছে। কাঁচা গলা খুব ভালোভাবে চটকে এরমধ্যে কাঁচা পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ মিশ্রিত করে ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন। এই দুই ভাবি কাঁচা কলা খাওয়া বেশি উপকারী তবে যখনই কাঁচা কলা খাবেন টাটকা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

অর্থাৎ যখনই আপনি কাচা কলার খাবার তৈরি করবেন বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলবেন। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত রেখে অথবা ফ্রিজে রেখে এর উপকারিতা পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই বলে এই না যে কাঁচ কলা অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলবে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই মানব দেহের জন্য ভালো নয়।।।।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে কাঁচকলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপনারা যারা কাঁচকলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না আমার এয়ার টিকেট শুধু তাদের জন্য।

আশা করি ইতিমধ্যে আপনারা কাঁচকলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটা ভিজিট করতে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url