কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো

মুসলিমদের জন্য বছরের দুইটি উৎসব হল সবচেয়ে বড় উৎসব এক নাম্বার হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর আর দুই নম্বরে পবিত্র ঈদুল আযহা। পবিত্র ঈদুল আজহার মহিমা হল পশু কুরবানী দেওয়া। এই ঈদুল আজহা কে আবার বলা হয় ত্যাগের মহিমায়।


মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এর উপর আল্লাহ তায়ালা একটি কঠিন পরিক্ষা নিয়েছিলেন। পরিক্ষাটি ছিলো মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এর পুত্র ইসমাইল (আ.)কে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেওয়া। সেই করব কোরবানি করার স্মৃতিকে ধরে রাখতে বিশ্বের মুসলিমরা প্রতিবছর আল্লাহর নামে পরশু কুরবানী দিয়ে থাকে।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ওই দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল শুধু আপনার জন্য। আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও জানতে পারবেন কাদের জন্য কোরবানি দেওয়া ফরজ আর কাদের জন্য কোরবানি দেওয়া ফরজ না। এই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আজকে আলোচনা করা হবে।

কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ও দোয়া

পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে আমরা আল্লাহকে খুশি করার জন্য আল্লাহর নামে পশু কুরবানী করে থাকি। কোরবানি করার আগে আমাদের সকলকে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানতে হবে। এ আর্টিকেল এর মধ্যে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রিয় পাঠক আজ আমরা জানবো কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে এবং পশু জবাই দেওয়ার সময় কোন দোয়া পড়তে হয় এবং পরে কোন দোয়া পড়তে হয় সে সম্পর্কে। 

 বুখারী এবং মুসলিম এক যুগে বর্ণনা করেছে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম তার নিজের কোরবানির পশু তার নিজের হাতে জবাই করেছেন এবং বিভিন্ন হাদিস থেকে এই বিষয়ে আমরা উৎসাহ পাই যে নিজের কোরবানির পশুর নিজের হাতে জবাই করা হয়। যদিও অন্যের মাধ্যমে কোরবানি করা হলে ওই কুরবানী হও বিশুদ্ধ হবে তাতে কোনো সমস্যা নাই। 

কিন্তু নিজের হাতে কোরবানি দেওয়া সবচেয়ে উত্তম। আমরা অনেকেই কুরবানী দিতে সাহস পায় না বা কোরবানি দেওয়ার পদ্ধতি জানিনা এবং কি দোয়া পড়তে হয় জানিনা। মূলত কুরবানীর বিষয়গুলো অন্তত অনেক সহজ একটি বিষয়। কোরবানির পশু জবাই করার ক্ষেত্রে আপনাকে দুটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে এই দুইটি বিষয় যদি আপনি খেয়াল করেন তাহলে আপনার কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। 

প্রথম বিষয়টি হলো আপনি বিসমিল্লাহ বলে জবাই করবেন এটি হলো জরুরি বিষয়। আল্লাহ ছাড়া আর কারো নামে যেন জবাই করা না হয় সেই বিষয়টি খেয়ার রাখতে হবে। আর জবাইয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে যে পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালী এবং দুই পাশে থাকা থাকা দুইটি চিকন নালি এই সকল নালি গুলো যদি কাটা যায় তাহলে কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে গেল। 

এই ছোট কাজগুলো খেয়াল রেখে পশু জবাই করলেই এবং নিয়ত ঠিক থাকলে কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে কোরবানির আগে বা পরে কিছু দোয়া আছে যেগুলো করলে কোরবানিটা আরো উত্তম হয়ে যাবে। কিন্তু এই দোয়ার উপরে কুরবানী শুদ্ধ অশুদ্ধ হওয়া কোন নির্ভর করবে না। আর যারা কোরবানি দিবে তাদের খেয়াল রাখতে হবে যে ছুরি দিয়ে জবাই করা হবে ছুরিটা যেন ধারানো হয়। 

তাই পশু জবাই করার আগে শরীরটা ভালো করে ধার করে নিতে হবে। একটি কাজ থেকে বিরত থাকবেন এটা হল একটি পশুকে আরেকটা পশুর সামনে জবাই করা এবং পশুর সামনে শরীর ধার দেওয়া এগুলো হলো অনৈতিক কাজ এগুলো করা যাবে না। যাই হক এর পরে আমারদের যা করতে হবে পশুকে পশুর বাম কাদ করে তাকে সোয়াতে হব এভাবে সোয়ালে পশু জবাই করতে সুবিধা হয় এবং তার পা গুলো কেবলার দিকে থাকবে। সোয়ানোর পর একটি দোয়া বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

দোয়াটি হলো: আল্লাহুম্মা ইন্নি ওয়াঝঝাহতু ওয়াঝহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা আলা মিল্লাতি ইবরাহিমা হানিফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া মাহইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বির আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বি-জালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিনকা ও লাকা।

এই দোয়া পরা শেষ হলে বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলে কুরবানীর পশু জবাই করতে হবে।

পশু কোরবানি দেওয়ার সময় এই দোয়া পড়বেন : আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা।।।।।
এই দোয়া পরা শেষ হলে বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলে কুরবানীর পশু জবাই করতে হবে। জবাই করা হয়ে গেলে আরকটি দোয়া পরতে হয় ।

জবেহ করার পরে দোয়াটি হলো : আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদিন ওয়া খলিলিকা ইবরাহিমা আলাইহিমাস সালাম।'

আর নাম গুলো জপা এটা জরুরী বিষয় না নিয়োগ ঠিক থাকলে কোরবানি হয়ে যাবে।এই দোয়া ও নিয়ম মেয়ে কোরবানি দিলে আপনার কোরবানি বিশুদ্ধ ভাবে সম্পন্ন হবে। যেই বিষয়টি কে আমাদের খেয়াল করতে হবে যে পশুর রক্ত এগুলো যাতে কোনো ভাবে কোনো যায় গাতে না পরে থাকে এতে বায়ু দূষিত হয় বা পরিবেশ দূষিত হয়। তাই রক্ত গুলো পরিষ্কার করে ফেলবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url