শসা খাওয়ার উপকারিতা ও উপকারিটা

শসা অতি পরিচিত একটি ফল বা সবজি। কম বেশি সকলে খেতে এটা পছন্দ করি কিন্তু শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা নেই আমাদের। চলেন জেনে নেওয়া যাক শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।



শসা খাওয়ার যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে অপকার চেয়ে উপকারে বেশি শসা তে। আবার অতিরিক্ত শসা খেলে সমস্যা হতে পরে। তাই শসা খাওয়ার আগে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যেনে নেই।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আমাদের এই আর্টিকেল এর মধ্যে আলোচনা করা হবে। যেমন শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কিনা, শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আমরা অনেকেই শসা খাওয়ার সময় বা রান্না করার সময় বাকোলটা ফেলে খেয়ে থাকি এই যে বাকোলটা থাকে তার মধ্যে ফাইবারের পরিমানটা খুব বেশি থাকে তাই আমরা বাকল সহকারি শসা খাই তাহলে ফাইবারের পরিমাপটা পেয়ে যাচ্ছি তাই আমরা শশুর বাকল ফেলবো না।

তাছাড়া শসার মধ্যে ৮০ থেকে ৯০% জলীয় পদার্থ থাকে তাই এই গরমের মধ্যে শসা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের জলের ঘাটতি কমিয়ে দিতে বা পূর্ণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়াও ৬ সাথে পাওয়া যায় Vitamin-K আর Vitamin-C এই দুইটি উপাদান পাওয়া যায়। Vitamin-K আমাদের দেহের হারকে মজবুত করতে এবং রক্ত জমাট বাধার যে প্রক্রিয়াটা তাকে সঠিক রাখতে কিন্তু বেশ সহায়। 

আর Vitamin-C আমাদের শরীর বা ত্বকে এর সব কথা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অনেক সময় দেখা যায় বাজার থেকে আমরা বিউটি প্রোডাক্ট কিনে থাকলে তার গায়ে লেখা থাকে যে তার মধ্যে শসা বা কেউ কামবার ব্যবহার করা হয়েছে। ভাইটামিন ছাড়াও তার মধ্যে মিনারেলস পাওয়া যায় যা যার মধ্যে Potassium থাকে, Magnesium থাকে, Manganese থাকে যা আমাদের ব্লাডভেসেল ব্লাড প্রেসার কে কন্ট্রোল করতে তাছাড়া আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শসার মধ্যে থেকে আরো পাওয়া যায় এন্টিঅক্সিজেনের মতো গুণ যা আমাদের ক্ষতিকার ফ্রিরেডিক্যালস এর সাথে লড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের জটিল ক্যান্সার জনিত রোগ সেটা কিন্তু সহায়ক। তাছাড়াও শসার মধ্যে থাকে ক্যাফেক এসিড যা আমাদের চোখের শুষ্কতা বা চোখের পাশে যে ফোলা ফোলা ভাব তাতে কিন্তু অনেকটাই সহায়তা করে এবং চোখকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

শসার মধ্যে ক্যালরির পরিমাপ কম থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। ফাইবার জাতীয় খাবার আমরা যখন খাই তখন আমাদের আমাদের পেটের মধ্যে গিয়ে বেশি সময় ধরে থাকে বা তার যেয়ে হজম প্রক্রিয়াটা সেটা একটু ধীর গতিতে হয় আমাদের বারবার খাবারের যে প্রবণতা সেটা একটু কম হয়।

তাতে কী হয় আপনি একটু কম খাবেন আপনার পেটটা ভর্তি ভর্তি মনে হবে তাতে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য এই শসার ব্যবহার খুব বেশি উপকারী। শসার অপকারিতা বলতে তেমন কিছু নেই। তবুও অতিরিক্ত কোন কিছুই দেহের জন্য ভালো না।

গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কিনা

গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন শসা খাওয়া যাবেনা এমন কিছু কোথাও পাওয়া যায়নি। বরংচ গরমে সুস্থ থাকতে বা গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে শসার সহায়তা করে থাকে। শসা তে ৮০ থেকে ৯০% জলজ পদার্থ পাওয়া যায় যা শরীরের জলের ঘাটতি দূর করে।

 শসা থেকে আরে নানারকম পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় গর্ভাবস্থায় ভ্র‍ণকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং মানসিক চাপ কমাতে মন ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমরা গর্ভাবস্থায় কাউকে শসা খাওয়াতে পারি।

শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ত্বকে ব্যবহার করার আগে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। প্রথমে আমাদের একটি সত্তেজ ভালো শসা বেছে নিতে হবে। শসা টিকে খোসা সহ ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে এখন এটি কে ভালো করে কিসে নিতে হবে বা ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ডার করে নিতে পারে।

তারপরে ব্যালেন্ডার করা শসা থেকে শসার রস বের করে নিতে হবে। শসাতে রয়েছে ভিটামিন ই পটাশিয়াম এবং এন্টিঅক্সাইডেন যা ব্রণের দাগ চোখের দাগ তুলতে ভালো কাজ করে এবং রোদে পোড়া দাগ তুলে ত্বকে উজ্জলতা বাড়িয়ে দিতে কাজ করে থাকে। শসা ত্বকের ক্ষতিকর মহিলা গুলো তুলে ত্বকে ফর্সা করতে সহায়তা করে।

শসা থেকে রস বের করার হয়ে গেলে এবার এর সাথে একটা চামচ কনফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রূপচর্চায় কনফ্লাওয়ারে ব্যবহার অনেকেই জানেন না। কর্নফ্লাওয়ার ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব দূর করতে ফর্সা করতে সাহায্য করে। ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে কনফ্লাওয়ার ভালো সহায়তা করে। এই দুইটি উপাদান একত্রে মিস করে তোকে ব্যবহার করতে পারি। এই দুইটির মধ্যে শসার গুরুত্ব অপরিসীম। শসা না দিলে এটি কোনো কাজে আসবে না।

শসা খাওয়ার সঠিক সময়

শসা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকার। শুধু শসা খেলেই হবে না শসা খাওয়ার সঠিক সময় আমাদের জানতে হবে। এখন আলোচনা করব শসা খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি।

শসা খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা বা 3 মধ্যে যেই সময় পাবেন তার মধ্যে শসা খাওয়া উত্তম রাতে শসা খাওয়া একদমই প্রয়োজন নেই। তাতে কি হবে আপনার যে হজম শক্তিটা খুব তীব্র থাকে যার জন্য সঠিক ভাবে আপনার শরীরে ব্যবহার করে থাকে। তাই আমাদের সকাল ১০ টা থেকে তিনটার মধ্যে শসা খাওয়া সঠিক সময়।

লেখক এর মন্তব্য

শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপনারা যারা শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে জানেন না আমার আর্টিকেল শুধু তাদের জন্য।

আশা করি ইতিমধ্যে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url